জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৯

আজীবন সম্মাননা পেলেন সোহেল রানা ও সুচন্দা

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ও সর্বোচ্চ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে গতকাল। ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ৪৪তম এ আসর বসে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বিজয়ীদের হাতে তুলে দিয়েছেন অনুষ্ঠানের সভাপতি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, তথ্য সচিব খাজা মিয়াসহ চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি অঙ্গনের নবীন-প্রবীণ শিল্পী-অভিনেতা ও নির্মাতারা প্রতিবছরের মতো এবারও রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রটির চারপাশ সাজানো হয়েছিল সিনেমা জগতের তারকাদের নতুন-পুরনো ছবি ও পোস্টার দিয়ে।

২০১৯ সালে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্য থেকে ২৫টি ক্যাটাগরিতে ছয়টি যুগ্মসহ মোট ৩১ জনকে জাতীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। যুগ্মভাবে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেতা মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) ও অভিনেত্রী কোহিনুর আক্তার সুচন্দা। প্রধান চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার গ্রহণ করেন তারিক আনাম খান (আবার বসন্ত)।

প্রধান চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার গ্রহণ করেন সুনেরাহ বিনতে কামাল (ন ডরাই)।

শ্রেষ্ঠ মেকআপ ম্যান মো. রাজু (মায়া দ্য লস্ট মাদার)। পোশাক ও সাজসজ্জায় পুরস্কার পেয়েছেন খন্দকার সাজিয়া আফরিন (ফাগুন হাওয়ায়), শব্দগ্রাহক রিপন নাথ (ন ডরাই), চিত্রগ্রাহক সুমন কুমার নাথ সরকার (মনের মতো মানুষ পাইলাম না), যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক রহমত উল্লাহ বাসু ও ফরিদ আহমেদ (মনের মতো মানুষ পাইলাম না), সম্পাদনা পুরস্কার পেয়েছেন জুনায়েদ আহমেদ হালিম (মায়া দ্য লস্ট মাদার), সংলাপ রচনায় জাকির হোসেন রাজু (মনের মতো মানুষ পাইলাম না), চিত্রনাট্যে মাহবুবুর রহমান (ন ডরাই), কাহিনীকার হিসেবে পেয়েছেন মাসুদ পথিক (মাসুদ রানা) (মায়া দ্য লস্ট মাদার)।

যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ গীতিকারের পুরস্কার পেয়েছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ ‘ইস্টিশনে জন্ম আমার...’ গানের জন্য (কালো মেঘের ভেলা) ও কবি কামাল চৌধুরী (কবি কামাল চৌধুরী) ‘চল হে বন্ধু চল...’ গানের জন্য (মায়া দ্য লস্ট মাদার), যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ সুরকারের পুরস্কার পেয়েছেন প্লাবন কোরেশী (আবদুল কাদির) ‘বাড়ির ওই পূর্বধারে...’ গানের জন্য ও তানভীর তারেক ‘মায়া, মায়া রে...’ গানের জন্য (মায়া দ্য লস্ট মাদার), শ্রেষ্ঠ গায়িকা মমতাজ বেগম ‘বাড়ির ওই পূর্বধারে...’ গানের জন্য (মায়া দ্য লস্ট মাদার) ও ফাতেমা তুজ জোহরা ঐশী ‘মায়া, মায়া রে...’ গানের জন্য (মায়া দ্য লস্ট মাদার), শ্রেষ্ঠ গায়ক মৃণাল কান্তি দাশ ‘তুমি চাইয়া দেখো...’ গানের জন্য (শাটল ট্রেন), সংগীত পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান ইমন (মায়া দ্য লস্ট মাদার), নৃত্য পরিচালক হাবিবুর রহমান (মনের মতো মানুষ পাইলাম না), শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী হিসেবে নাইমুর রহমান আপন (কালো মেঘের ভেলা) ও আফরিন আক্তার (যদি একদিন), খল চরিত্রে জাহিদ হাসান (সাপলুডু), পার্শ্ব চরিত্রে অভিনেত্রী নার্গিস আক্তার (হোসনে আরা) (মায়া দ্য লস্ট মাদার), পার্শ্ব চরিত্রে অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু (ফাগুন হাওয়ায়), ‘নারী ও জীবন’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য পুরস্কার গ্রহণ করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের নির্বাহী পরিচালক। ‘যা ছিল অন্ধকারে’ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের জন্য পুরস্কার গ্রহণ করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এসএম হারুন অর রশীদ ও প্রযোজক আওয়াল চৌধুরী, শ্রেষ্ঠ পরিচালক তানিম রহমান অংশু (ন ডরাই), শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ‘ন ডরাই’র জন্য প্রযোজক মাহবুবুর রহমান ও ‘ফাগুন হাওয়া’র জন্য প্রযোজক ফরিদুর রেজা সাগর পুরস্কার গ্রহণ করেন।

সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১ , ৪ মাঘ ১৪২৭, ৪ জমাদিউস সানি ১৪৪২

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০১৯

আজীবন সম্মাননা পেলেন সোহেল রানা ও সুচন্দা

নিথর মাহবুব

image

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ও সর্বোচ্চ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে গতকাল। ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ৪৪তম এ আসর বসে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বিজয়ীদের হাতে তুলে দিয়েছেন অনুষ্ঠানের সভাপতি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, তথ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, তথ্য সচিব খাজা মিয়াসহ চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি অঙ্গনের নবীন-প্রবীণ শিল্পী-অভিনেতা ও নির্মাতারা প্রতিবছরের মতো এবারও রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রটির চারপাশ সাজানো হয়েছিল সিনেমা জগতের তারকাদের নতুন-পুরনো ছবি ও পোস্টার দিয়ে।

২০১৯ সালে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্য থেকে ২৫টি ক্যাটাগরিতে ছয়টি যুগ্মসহ মোট ৩১ জনকে জাতীয় পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। যুগ্মভাবে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেতা মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) ও অভিনেত্রী কোহিনুর আক্তার সুচন্দা। প্রধান চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার গ্রহণ করেন তারিক আনাম খান (আবার বসন্ত)।

প্রধান চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার গ্রহণ করেন সুনেরাহ বিনতে কামাল (ন ডরাই)।

শ্রেষ্ঠ মেকআপ ম্যান মো. রাজু (মায়া দ্য লস্ট মাদার)। পোশাক ও সাজসজ্জায় পুরস্কার পেয়েছেন খন্দকার সাজিয়া আফরিন (ফাগুন হাওয়ায়), শব্দগ্রাহক রিপন নাথ (ন ডরাই), চিত্রগ্রাহক সুমন কুমার নাথ সরকার (মনের মতো মানুষ পাইলাম না), যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক রহমত উল্লাহ বাসু ও ফরিদ আহমেদ (মনের মতো মানুষ পাইলাম না), সম্পাদনা পুরস্কার পেয়েছেন জুনায়েদ আহমেদ হালিম (মায়া দ্য লস্ট মাদার), সংলাপ রচনায় জাকির হোসেন রাজু (মনের মতো মানুষ পাইলাম না), চিত্রনাট্যে মাহবুবুর রহমান (ন ডরাই), কাহিনীকার হিসেবে পেয়েছেন মাসুদ পথিক (মাসুদ রানা) (মায়া দ্য লস্ট মাদার)।

যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ গীতিকারের পুরস্কার পেয়েছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ ‘ইস্টিশনে জন্ম আমার...’ গানের জন্য (কালো মেঘের ভেলা) ও কবি কামাল চৌধুরী (কবি কামাল চৌধুরী) ‘চল হে বন্ধু চল...’ গানের জন্য (মায়া দ্য লস্ট মাদার), যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ সুরকারের পুরস্কার পেয়েছেন প্লাবন কোরেশী (আবদুল কাদির) ‘বাড়ির ওই পূর্বধারে...’ গানের জন্য ও তানভীর তারেক ‘মায়া, মায়া রে...’ গানের জন্য (মায়া দ্য লস্ট মাদার), শ্রেষ্ঠ গায়িকা মমতাজ বেগম ‘বাড়ির ওই পূর্বধারে...’ গানের জন্য (মায়া দ্য লস্ট মাদার) ও ফাতেমা তুজ জোহরা ঐশী ‘মায়া, মায়া রে...’ গানের জন্য (মায়া দ্য লস্ট মাদার), শ্রেষ্ঠ গায়ক মৃণাল কান্তি দাশ ‘তুমি চাইয়া দেখো...’ গানের জন্য (শাটল ট্রেন), সংগীত পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান ইমন (মায়া দ্য লস্ট মাদার), নৃত্য পরিচালক হাবিবুর রহমান (মনের মতো মানুষ পাইলাম না), শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী হিসেবে নাইমুর রহমান আপন (কালো মেঘের ভেলা) ও আফরিন আক্তার (যদি একদিন), খল চরিত্রে জাহিদ হাসান (সাপলুডু), পার্শ্ব চরিত্রে অভিনেত্রী নার্গিস আক্তার (হোসনে আরা) (মায়া দ্য লস্ট মাদার), পার্শ্ব চরিত্রে অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু (ফাগুন হাওয়ায়), ‘নারী ও জীবন’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য পুরস্কার গ্রহণ করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের নির্বাহী পরিচালক। ‘যা ছিল অন্ধকারে’ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের জন্য পুরস্কার গ্রহণ করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এসএম হারুন অর রশীদ ও প্রযোজক আওয়াল চৌধুরী, শ্রেষ্ঠ পরিচালক তানিম রহমান অংশু (ন ডরাই), শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ‘ন ডরাই’র জন্য প্রযোজক মাহবুবুর রহমান ও ‘ফাগুন হাওয়া’র জন্য প্রযোজক ফরিদুর রেজা সাগর পুরস্কার গ্রহণ করেন।