দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট

ঘন কুয়াশায় ১০ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ

ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে দীর্ঘ সাড়ে ১০ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। পারাপারের অপেক্ষায় ছিল সহস্রাধিক যানবাহন। এতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশ হ্যাচারি পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম ভোগান্তির শিকার হন ঘাটে আটকেপড়া যাত্রীরা। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে শিশু ও বয়স্করা।

বিআইডব্লিউটিসি’র ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, ঘনকুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে রোববার রাত পৌনে ১২টা থেকে গতকাল সকাল ১০টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ৫টি ফেরি মাঝ নদীতে নৌঙর করে থাকতে বাধ্য হয়। গতকাল সকাল ১০টার দিকে কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হয়।

জানা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশ দ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরি ঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে নদী পারের অপেক্ষায় আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, যাত্রীবাহি বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ সহস্রাধিক যানবাহন। দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীবাহী কোচগুলো নদী পার হতে না পারায় আটকেপড়া যাত্রীরা সারারাত তীব্র শীতের মধ্যে সড়কেই অবস্থান করতে বাধ্য হয়েছে। যাত্রীরা জানান, তারা সারারাত গাড়িতে বসে রাত কাটিয়েছেন। আশপাশে টয়লেট নেই, খাবার হোটেল নেই। যাত্রী পিন্টু খান বলেন, ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। সকালে অফিস করার কথা। রোববার রাত ১১টার দিকে ঘাটে এসে আটকা পড়ি। সারারাত বাসেই বসে সময় কাটিয়েছি। এখন আর থাকতে পারছি না। তাই লঞ্চ বা বিকল্প উপায়ে নদী পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করছি।

পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় যানজট এড়াতে উথলী মোড় থেকে আরিচার দিকে মহাসড়কের উপর পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে আটকে রাখা হয়।

বিআইডব্লিটিসির দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আবু আবদুল্লাহ রনি বলেন, ছোটবড় ১৬টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসি’র ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, রাতে আসা যাত্রীবাহী নৈশ কোচগুলোকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১ , ৫ মাঘ ১৪২৭, ৫ জমাদিউস সানি ১৪৪২

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট

ঘন কুয়াশায় ১০ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ

প্রতিনিধি, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)

image

গোয়ালন্দ : কুয়াশায় বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। ফলে ঢাকামুখী দীর্ঘ যানজট। অন্যদিকে ওপারের যানজটের ফলে এক লেইন ফাঁকা -সংবাদ

ঘন কুয়াশার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে দীর্ঘ সাড়ে ১০ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। পারাপারের অপেক্ষায় ছিল সহস্রাধিক যানবাহন। এতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে বাংলাদেশ হ্যাচারি পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম ভোগান্তির শিকার হন ঘাটে আটকেপড়া যাত্রীরা। তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে শিশু ও বয়স্করা।

বিআইডব্লিউটিসি’র ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, ঘনকুয়াশার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে রোববার রাত পৌনে ১২টা থেকে গতকাল সকাল ১০টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ৫টি ফেরি মাঝ নদীতে নৌঙর করে থাকতে বাধ্য হয়। গতকাল সকাল ১০টার দিকে কুয়াশা কেটে গেলে ফেরি চলাচল শুরু হয়।

জানা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশ দ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরি ঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে। দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া প্রান্তে নদী পারের অপেক্ষায় আটকা পড়ে অ্যাম্বুলেন্স, যাত্রীবাহি বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পণ্যবাহী ট্রাকসহ সহস্রাধিক যানবাহন। দৌলতদিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীবাহী কোচগুলো নদী পার হতে না পারায় আটকেপড়া যাত্রীরা সারারাত তীব্র শীতের মধ্যে সড়কেই অবস্থান করতে বাধ্য হয়েছে। যাত্রীরা জানান, তারা সারারাত গাড়িতে বসে রাত কাটিয়েছেন। আশপাশে টয়লেট নেই, খাবার হোটেল নেই। যাত্রী পিন্টু খান বলেন, ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। সকালে অফিস করার কথা। রোববার রাত ১১টার দিকে ঘাটে এসে আটকা পড়ি। সারারাত বাসেই বসে সময় কাটিয়েছি। এখন আর থাকতে পারছি না। তাই লঞ্চ বা বিকল্প উপায়ে নদী পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করছি।

পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় যানজট এড়াতে উথলী মোড় থেকে আরিচার দিকে মহাসড়কের উপর পণ্যবাহী ট্রাকগুলোকে আটকে রাখা হয়।

বিআইডব্লিটিসির দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আবু আবদুল্লাহ রনি বলেন, ছোটবড় ১৬টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসি’র ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, রাতে আসা যাত্রীবাহী নৈশ কোচগুলোকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।