সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু

একাদশ জাতীয় সংসদের ১১তম (শীতকালীন) অধিবেশন গতকাল শুরু হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেলে বছরের প্রথম এ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভাষণ দেন। এর আগে ৫ সদস্যের সভাপতিম-লীর মনোনয়ন দেন স্পিকার। এরপর তিনি শোক প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অধিবেশনের আসন বিন্যাস করা হয়। প্রথম সারিতে প্রধানমন্ত্রীর ডান পাশে একটি করে আসন ফাঁকা রেখে জেষ্ঠ্য সদস্যদের মধ্যে বেগম বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও তোফায়েল আহমেদ আসন গ্রহণ করেন।

সভাপতিমণ্ডলীর মনোনয়ন

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গতকাল বিকেলে অধিবেশনের শুরুতে ৫ সদস্যের সভাপতিম-লীর মনোনয়ন দেন। সভাপতি ম-লীর সদস্যরা হচ্ছেন- নজরুল ইসলাম, আশরাফ উদ্দিন সরকার, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আবদুস সালাম মুর্শেদি ও বেগম মমতাজ। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে নামের অগ্রবর্তিতা অনুযায়ী উপস্থিত সদস্য বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।

সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাব গ্রহণ

সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও সংসদ সদস্য শওকত আলী, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আ. খ. ম. জাহাঙ্গীর হোসাইন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য মো. খালেদুর রহমান টিটোসহ আরও নয়জন সাবেক সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতভাবে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। সংসদের নিয়ম অনুযায়ী স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গতকাল এ শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

মৃত্যুবরণকারী সাবেক সংসদ সদস্যদের মধ্যে আরও রয়েছেন শাহ-ই-জাহান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আবু হেনা, সাবেক সংসদ সদস্য এমএ হাসেম, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, সাবেক সংসদ সদস্য দেলোয়ার হোসেন খান, সাবেক সংসদ সদস্য সামসুদ্দীন আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য নুরজাহান ইয়াসমিন ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট খালেদা পান্না। এছাড়া সংসদ সচিবালয়ের কামরা পরিচারক মো. কোরবান আলী মৃত্যুবরণ করেন।

পরে সংসদ থেকে তাদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে সমবেদনা জ্ঞাপন এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ভাই শহীদ শেখ আবু নাসেরের সহধর্মিণী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচি, সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন ও সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের মা এবং সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের দাদি শেখ রাজিয়া নাসের, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বড় জা রওশন আরা ওয়াহেদ রানী, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট নারী নেত্রী আয়শা খানম, স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ভাষাসৈনিক মো. জাহিদ হোসেন মুসা মিয়া, সাবেক সচিব, বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক কবি ও গবেষক মনজুরে মওলা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক মুহ. আবদুল হান্নান খান, একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি, নাট্যব্যক্তিত্ব আলী যাকের, উপমহাদেশের প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ শাহাদাৎ হোসেন খান, বীর উত্তম ক্যাপ্টেন আকরাম, বিশিষ্ট অভিনেতা আবদুল কাদের এবং বাংলা চলচিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে সংসদ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।

প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশ-বিদেশে যেসব চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসন, পুলিশের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, গণমাধ্যমকর্মী, ব্যবসায়ী ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি কর্মচারী মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের মৃত্যুতে সংসদ গভীর শোক প্রকাশ করেছে।

এছাড়া দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে জাতীয় সংসদ গভীর শোক প্রকাশ, সবার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে।

এরপর শোক প্রস্তাবগুলো সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। পরে সব বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও মাগফিরাত কামনা করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।

দিনের কার্যসূচি শেষে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন স্পিকার। আজ রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর সংসদে ধন্যবাদ প্রস্তাব আনার পর সংসদ সদস্যরা ভাষণের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন।

সংসদ সচিবাল সূত্রে জানা গেছে, করোনার কারণে এবারের অধিবেশনের কার্যদিবস সংক্ষিপ্ত হবে। শুধু কোভিড-১৯ পরীক্ষায় নেগেটিভ সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও সংসদের সংশ্লিষ্টরা সেখানে প্রবেশের অনুমতি পাবেন। প্রতি বছর শীতকালীন এ অধিবেশন সাধারণত দীর্ঘ হলেও এবারের এ অধিবেশন বিরতি দিয়ে ১০ থেকে ১২ কার্যদিবস চলতে পারে।

সূত্র জানায়, অধিবেশনে অন্তত ১০টি বিল পাস এবং ৫ থেকে ৭টি বিল উত্থাপিত হবে। ইতোমধ্যে আইন শাখায় ছয়টি বিল জমা পড়েছে এবং আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে আরও বেশ কয়েকটি বিল জমা পড়বে বলে জানা গেছে। যেসব বিল ইতোমধ্যে জমা পড়েছে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো- শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০২১, ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২১, আয়োডিনযুক্ত লবণ বিল-২০২১, বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ, সংশোধন) বিল-২০২০, কোম্পানি আইন বিল-২০২০ ইত্যাদি।

এর আগে মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের দশম ও বিশেষ অধিবেশন গত ৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয়ে ২০ নভেম্বর রাতে শেষ হয়। এ অধিবেশনে মোট ৯টি সরকারি বিল পাস করা হয়। একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে আরেকটি অধিবেশন বসার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১ , ৫ মাঘ ১৪২৭, ৫ জমাদিউস সানি ১৪৪২

সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু

image

শুরু হলো সংসদের শীতকালীন অধিবেশন

একাদশ জাতীয় সংসদের ১১তম (শীতকালীন) অধিবেশন গতকাল শুরু হয়েছে। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেলে বছরের প্রথম এ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভাষণ দেন। এর আগে ৫ সদস্যের সভাপতিম-লীর মনোনয়ন দেন স্পিকার। এরপর তিনি শোক প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অধিবেশনের আসন বিন্যাস করা হয়। প্রথম সারিতে প্রধানমন্ত্রীর ডান পাশে একটি করে আসন ফাঁকা রেখে জেষ্ঠ্য সদস্যদের মধ্যে বেগম বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও তোফায়েল আহমেদ আসন গ্রহণ করেন।

সভাপতিমণ্ডলীর মনোনয়ন

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গতকাল বিকেলে অধিবেশনের শুরুতে ৫ সদস্যের সভাপতিম-লীর মনোনয়ন দেন। সভাপতি ম-লীর সদস্যরা হচ্ছেন- নজরুল ইসলাম, আশরাফ উদ্দিন সরকার, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আবদুস সালাম মুর্শেদি ও বেগম মমতাজ। স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে নামের অগ্রবর্তিতা অনুযায়ী উপস্থিত সদস্য বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।

সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাব গ্রহণ

সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও সংসদ সদস্য শওকত আলী, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আ. খ. ম. জাহাঙ্গীর হোসাইন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য মো. খালেদুর রহমান টিটোসহ আরও নয়জন সাবেক সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতভাবে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। সংসদের নিয়ম অনুযায়ী স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী গতকাল এ শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

মৃত্যুবরণকারী সাবেক সংসদ সদস্যদের মধ্যে আরও রয়েছেন শাহ-ই-জাহান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী, সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আবু হেনা, সাবেক সংসদ সদস্য এমএ হাসেম, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, সাবেক সংসদ সদস্য দেলোয়ার হোসেন খান, সাবেক সংসদ সদস্য সামসুদ্দীন আহমেদ, সাবেক সংসদ সদস্য নুরজাহান ইয়াসমিন ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট খালেদা পান্না। এছাড়া সংসদ সচিবালয়ের কামরা পরিচারক মো. কোরবান আলী মৃত্যুবরণ করেন।

পরে সংসদ থেকে তাদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে সমবেদনা জ্ঞাপন এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। এছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ভাই শহীদ শেখ আবু নাসেরের সহধর্মিণী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচি, সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন ও সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলের মা এবং সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের দাদি শেখ রাজিয়া নাসের, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বড় জা রওশন আরা ওয়াহেদ রানী, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট নারী নেত্রী আয়শা খানম, স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ভাষাসৈনিক মো. জাহিদ হোসেন মুসা মিয়া, সাবেক সচিব, বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক কবি ও গবেষক মনজুরে মওলা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক মুহ. আবদুল হান্নান খান, একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি, নাট্যব্যক্তিত্ব আলী যাকের, উপমহাদেশের প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ শাহাদাৎ হোসেন খান, বীর উত্তম ক্যাপ্টেন আকরাম, বিশিষ্ট অভিনেতা আবদুল কাদের এবং বাংলা চলচিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে সংসদ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।

প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশ-বিদেশে যেসব চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসন, পুলিশের সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, গণমাধ্যমকর্মী, ব্যবসায়ী ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি কর্মচারী মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের মৃত্যুতে সংসদ গভীর শোক প্রকাশ করেছে।

এছাড়া দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে জাতীয় সংসদ গভীর শোক প্রকাশ, সবার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে।

এরপর শোক প্রস্তাবগুলো সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। পরে সব বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও মাগফিরাত কামনা করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।

দিনের কার্যসূচি শেষে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন স্পিকার। আজ রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর সংসদে ধন্যবাদ প্রস্তাব আনার পর সংসদ সদস্যরা ভাষণের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন।

সংসদ সচিবাল সূত্রে জানা গেছে, করোনার কারণে এবারের অধিবেশনের কার্যদিবস সংক্ষিপ্ত হবে। শুধু কোভিড-১৯ পরীক্ষায় নেগেটিভ সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও সংসদের সংশ্লিষ্টরা সেখানে প্রবেশের অনুমতি পাবেন। প্রতি বছর শীতকালীন এ অধিবেশন সাধারণত দীর্ঘ হলেও এবারের এ অধিবেশন বিরতি দিয়ে ১০ থেকে ১২ কার্যদিবস চলতে পারে।

সূত্র জানায়, অধিবেশনে অন্তত ১০টি বিল পাস এবং ৫ থেকে ৭টি বিল উত্থাপিত হবে। ইতোমধ্যে আইন শাখায় ছয়টি বিল জমা পড়েছে এবং আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে আরও বেশ কয়েকটি বিল জমা পড়বে বলে জানা গেছে। যেসব বিল ইতোমধ্যে জমা পড়েছে তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো- শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বিল-২০২১, ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২১, আয়োডিনযুক্ত লবণ বিল-২০২১, বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ, সংশোধন) বিল-২০২০, কোম্পানি আইন বিল-২০২০ ইত্যাদি।

এর আগে মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের দশম ও বিশেষ অধিবেশন গত ৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয়ে ২০ নভেম্বর রাতে শেষ হয়। এ অধিবেশনে মোট ৯টি সরকারি বিল পাস করা হয়। একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার পর ৬০ দিনের মধ্যে আরেকটি অধিবেশন বসার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।