নারী নির্যাতন মামলায় ৫ জন গ্রেপ্তার

হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামে এক ব্যক্তিকে উলঙ্গ করে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল ঘটনায় মামলা দায়ের ও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নোয়াখালী পুলিশের হাতিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক জানায়, হাতিয়া উপজেলার ২নং চর চানন্দী ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামে একই এলাকার একরাম হোসেনের স্ত্রী জ্যো¯œা আক্তারের (৩২) সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগে এলাকার মহিউদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে একদল যুবক বেদম মারধর করে উলঙ্গ অবস্থায় মোবাইলে তার ছবি ধারণ করে। পরবর্তীতে তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল করলে জেলা পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় হয়ে যায়। ছবি ভাইরালের খবর শুনে শনিবার হাতিয়া পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক, ওসি আবুল খায়ের ঘটনাস্থলে যায় এবং রোববার নোয়াখালী পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেনও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ ব্যাপারে ভিকটিম মহিউদ্দিন রোববার রাতেই হাতিয়া থানায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জিয়া ওরফে জিহাদ, ফারুখ, আবু তাহের, আলমগীর, নবীর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে গতকাল সকাল ১০টায় গ্রেপ্তারকৃতদের হাতিয়া থানায় নিয়ে যায়। সহকারী পুলিশ সুপার জানান, অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ভিকটিম মহিউদ্দিন জানায়, গত ১ জানুয়ারি সে তার প্রতিবেশী একরামের ঘরে গেলে এলাকার সন্ত্রাসীরা ওই ঘর ঘেরাও করে তাকে মারধর করে এবং উলঙ্গ করে মোবাইলে ছবি তুলে তা ভাইরাল করে। আমি এ ব্যাপারে রোববার হাতিয়া থানায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা করলে পুলিশ সন্ত্রাসী দলের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আত্মীয়স্বজনরা এখন আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। মহিলাকে নির্যাতন করে ভিডিও ভাইরালের মামলা প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, আসলে মহিউদ্দিনের মামলাই আসল ঘটনা। মহিউদ্দিন ওই গৃহবধূর ঘরে অসামাজিক কর্মকা-ে গিয়ে ধরা পড়লে এলাকাবাসী মহিউদ্দিনকে মারধর ও উলঙ্গ করে টানা হেছড়া করে। তখন গৃহবধূ চিৎকার ও চেঁচামেচি করছিল। তারপরও যেহেতু আদালতে মামলা হয়েছে তাই আদালতের নির্দেশেই সহকারী পুলিশ সুপার তদন্ত করছেন। তদন্তধীন মামলার ব্যাপারে তিনি এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি।

মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১ , ৫ মাঘ ১৪২৭, ৫ জমাদিউস সানি ১৪৪২

হাতিয়া

নারী নির্যাতন মামলায় ৫ জন গ্রেপ্তার

প্রতিনিধি, নোয়াখালী

হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামে এক ব্যক্তিকে উলঙ্গ করে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল ঘটনায় মামলা দায়ের ও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নোয়াখালী পুলিশের হাতিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক জানায়, হাতিয়া উপজেলার ২নং চর চানন্দী ইউনিয়নের আদর্শ গ্রামে একই এলাকার একরাম হোসেনের স্ত্রী জ্যো¯œা আক্তারের (৩২) সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগে এলাকার মহিউদ্দিন নামের এক ব্যক্তিকে একদল যুবক বেদম মারধর করে উলঙ্গ অবস্থায় মোবাইলে তার ছবি ধারণ করে। পরবর্তীতে তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল করলে জেলা পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় হয়ে যায়। ছবি ভাইরালের খবর শুনে শনিবার হাতিয়া পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক, ওসি আবুল খায়ের ঘটনাস্থলে যায় এবং রোববার নোয়াখালী পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেনও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ ব্যাপারে ভিকটিম মহিউদ্দিন রোববার রাতেই হাতিয়া থানায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জিয়া ওরফে জিহাদ, ফারুখ, আবু তাহের, আলমগীর, নবীর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে গতকাল সকাল ১০টায় গ্রেপ্তারকৃতদের হাতিয়া থানায় নিয়ে যায়। সহকারী পুলিশ সুপার জানান, অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ভিকটিম মহিউদ্দিন জানায়, গত ১ জানুয়ারি সে তার প্রতিবেশী একরামের ঘরে গেলে এলাকার সন্ত্রাসীরা ওই ঘর ঘেরাও করে তাকে মারধর করে এবং উলঙ্গ করে মোবাইলে ছবি তুলে তা ভাইরাল করে। আমি এ ব্যাপারে রোববার হাতিয়া থানায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা করলে পুলিশ সন্ত্রাসী দলের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আত্মীয়স্বজনরা এখন আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। মহিলাকে নির্যাতন করে ভিডিও ভাইরালের মামলা প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, আসলে মহিউদ্দিনের মামলাই আসল ঘটনা। মহিউদ্দিন ওই গৃহবধূর ঘরে অসামাজিক কর্মকা-ে গিয়ে ধরা পড়লে এলাকাবাসী মহিউদ্দিনকে মারধর ও উলঙ্গ করে টানা হেছড়া করে। তখন গৃহবধূ চিৎকার ও চেঁচামেচি করছিল। তারপরও যেহেতু আদালতে মামলা হয়েছে তাই আদালতের নির্দেশেই সহকারী পুলিশ সুপার তদন্ত করছেন। তদন্তধীন মামলার ব্যাপারে তিনি এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি।