প্রণোদনার অর্থ পৌঁছে দিতে হবে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে

করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় দুই হাজার ৭০০ কোটি টাকার আরও দুটি প্রণোদনা প্যাকেজ অনুমোদন করেছে সরকার। এ প্যাকেজের আওতায় দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং কুটির শিল্প খাতে গতি সঞ্চার, গ্রামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অতিদরিদ্র, বয়স্ক ও বিধবাদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা হবে।

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কল্যাণের লক্ষ্যেই নতুন প্রণোদনা প্যাকেজটি ঘোষণা করা হয়েছে। করোনার শুরুতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকট মোকাবিলায় সরকার এক লাখ ১১ হাজার ১৩৭ কোটি টাকার ২০টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। এরমধ্যে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তাদের সহায়তায় ২০ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। সময় এবং প্রয়োজন বিবেচনায় উদ্যোগটি সঠিক ছিল। তবে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে যে সুবিধা থাকার কথা তা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে সরকারি ব্যাংকগুলোর অসহযোগিতার কারণে অনেক উদ্যোক্তাই ঋণ পাননি।

প্যাকেজ ঘোষণার চেয়ে বাস্তবায়ন জরুরি। ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তারা যেন সুবিধাটা সঠিক সময়ে পান সেটা নিশ্চিত করতে হবে

প্যাকেজ ঘোষণার চেয়ে বাস্তবায়ন জরুরি। ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তারা যেন সুবিধাটা সঠিক সময়ে পান সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এমন একটি পদ্ধতি বের করতে হবে যাতে ক্ষতিগ্রস্তরা সহজেই প্রণোদনার টাকা পান। কৃষি খাতে প্রণোদনা যেন প্রান্তিক কৃষকরাই পান তা নিশ্চিত করতে হবে। সার-বীজ যেন তাদের কাছেই পৌঁছায়।

প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে ব্যাংকের পাশাপাশি এনজিওর মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। করোনাকালে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের তারা ঋণ দেবে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে। সরকার এই ঋণের বিপরীতে এনজিওগুলোকে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ হারে ভর্তুকি দেবে। তবে এ হারে শেষ পর্যন্ত ঋণ দেয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদরা। এ সংশয় দূর করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্টদের। তাদেরই প্রমাণ করতে হবে যে, সংশয়টা অমূলক। প্রয়োজনে প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন কৌশল পরিবর্তন করতে হবে। বিতরণকৃত ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে গ্রাহক পর্যায়ে মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে।

মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১ , ৫ মাঘ ১৪২৭, ৫ জমাদিউস সানি ১৪৪২

প্রণোদনার অর্থ পৌঁছে দিতে হবে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে

করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় দুই হাজার ৭০০ কোটি টাকার আরও দুটি প্রণোদনা প্যাকেজ অনুমোদন করেছে সরকার। এ প্যাকেজের আওতায় দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং কুটির শিল্প খাতে গতি সঞ্চার, গ্রামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং অতিদরিদ্র, বয়স্ক ও বিধবাদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা হবে।

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কল্যাণের লক্ষ্যেই নতুন প্রণোদনা প্যাকেজটি ঘোষণা করা হয়েছে। করোনার শুরুতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকট মোকাবিলায় সরকার এক লাখ ১১ হাজার ১৩৭ কোটি টাকার ২০টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। এরমধ্যে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তাদের সহায়তায় ২০ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। সময় এবং প্রয়োজন বিবেচনায় উদ্যোগটি সঠিক ছিল। তবে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে যে সুবিধা থাকার কথা তা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে সরকারি ব্যাংকগুলোর অসহযোগিতার কারণে অনেক উদ্যোক্তাই ঋণ পাননি।

প্যাকেজ ঘোষণার চেয়ে বাস্তবায়ন জরুরি। ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তারা যেন সুবিধাটা সঠিক সময়ে পান সেটা নিশ্চিত করতে হবে

প্যাকেজ ঘোষণার চেয়ে বাস্তবায়ন জরুরি। ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তারা যেন সুবিধাটা সঠিক সময়ে পান সেটা নিশ্চিত করতে হবে। এমন একটি পদ্ধতি বের করতে হবে যাতে ক্ষতিগ্রস্তরা সহজেই প্রণোদনার টাকা পান। কৃষি খাতে প্রণোদনা যেন প্রান্তিক কৃষকরাই পান তা নিশ্চিত করতে হবে। সার-বীজ যেন তাদের কাছেই পৌঁছায়।

প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে ব্যাংকের পাশাপাশি এনজিওর মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। করোনাকালে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের তারা ঋণ দেবে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে। সরকার এই ঋণের বিপরীতে এনজিওগুলোকে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ হারে ভর্তুকি দেবে। তবে এ হারে শেষ পর্যন্ত ঋণ দেয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদরা। এ সংশয় দূর করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্টদের। তাদেরই প্রমাণ করতে হবে যে, সংশয়টা অমূলক। প্রয়োজনে প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন কৌশল পরিবর্তন করতে হবে। বিতরণকৃত ঋণের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে গ্রাহক পর্যায়ে মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে।