এনআইডি তৈরির ব্যবস্থা হতে হবে নিশ্ছিদ্র

রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া থামছেই না। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ভোটার হয়েছে অনেক রোহিঙ্গা। এজন্য অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে। রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার বিষয়টি উপজেলা নির্বাচন অফিসও জানে। তারা বলছে, তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভোটব্যাংক তৈরির লক্ষ্যে একশ্রেণির স্থানীয় জনপ্রতিনিধি রোহিঙ্গাদের ভোটার করছে। ভোটার হওয়া মানে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া। শরণার্থী রোহিঙ্গার বহু বছর ধরেই অবৈধভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র নিচ্ছে। রীতিমতো তারা শরণার্থী থেকে বাংলাদেশের নাগরিক বনে গেছে। অসংখ্য শরণার্থী রোহিঙ্গা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বা জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে আগ্রহী। এর বড় একটি লক্ষ্য হচ্ছে পাসপোর্ট করা, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পাড়ি জমানো।

স্থানীয় একটি শক্তিশালী দালালচক্র টাকার লোভে রোহিঙ্গাদের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র আর পাসপোর্ট তুলে দিচ্ছে। অতীতে এর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের একশ্রেণীর কর্তাব্যক্তির সম্পৃক্ত থাকার কথা জানা গেছে। বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী রোহিঙ্গারা বিদেশে ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সৌদি আরব এ কারণে সেখানে বসবাসরত অনেক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাচ্ছে।

শরণার্থী রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া বন্ধে নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে বলে প্রতীয়মান হয় না। কে বা কারা শরণার্থীদের ভোটার করছে সেটা তদন্ত করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার বিষয়টির গুরুত্ব নির্বাচন কমিশন তো বটেই, সরকারকেও অনুধাবন করতে হবে। কারণ এর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নও জড়িত। রোহিঙ্গারা এখন ভোটার হতে পারছে। এতে বোঝা যায় যে, জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি থেকে শুরু করে বিতরণের স্তরের কোথাও না কোথাও অসঙ্গতি আছে। সংশ্লিষ্টদেরকে সেই অসঙ্গতি খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতীয় নিরাপত্তা যেন হুমকির মুখে না পড়ে সেজন্য এনআইডি তৈরির ব্যবস্থা হতে হবে নিñিদ্র।

বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১ , ৬ মাঘ ১৪২৭, ৬ জমাদিউস সানি ১৪৪২

এনআইডি তৈরির ব্যবস্থা হতে হবে নিশ্ছিদ্র

রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া থামছেই না। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে ভোটার হয়েছে অনেক রোহিঙ্গা। এজন্য অভিযোগের আঙ্গুল উঠেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে। রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার বিষয়টি উপজেলা নির্বাচন অফিসও জানে। তারা বলছে, তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভোটব্যাংক তৈরির লক্ষ্যে একশ্রেণির স্থানীয় জনপ্রতিনিধি রোহিঙ্গাদের ভোটার করছে। ভোটার হওয়া মানে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া। শরণার্থী রোহিঙ্গার বহু বছর ধরেই অবৈধভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র নিচ্ছে। রীতিমতো তারা শরণার্থী থেকে বাংলাদেশের নাগরিক বনে গেছে। অসংখ্য শরণার্থী রোহিঙ্গা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বা জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে আগ্রহী। এর বড় একটি লক্ষ্য হচ্ছে পাসপোর্ট করা, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পাড়ি জমানো।

স্থানীয় একটি শক্তিশালী দালালচক্র টাকার লোভে রোহিঙ্গাদের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র আর পাসপোর্ট তুলে দিচ্ছে। অতীতে এর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের একশ্রেণীর কর্তাব্যক্তির সম্পৃক্ত থাকার কথা জানা গেছে। বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী রোহিঙ্গারা বিদেশে ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সৌদি আরব এ কারণে সেখানে বসবাসরত অনেক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাচ্ছে।

শরণার্থী রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া বন্ধে নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে বলে প্রতীয়মান হয় না। কে বা কারা শরণার্থীদের ভোটার করছে সেটা তদন্ত করে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।

রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার বিষয়টির গুরুত্ব নির্বাচন কমিশন তো বটেই, সরকারকেও অনুধাবন করতে হবে। কারণ এর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নও জড়িত। রোহিঙ্গারা এখন ভোটার হতে পারছে। এতে বোঝা যায় যে, জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি থেকে শুরু করে বিতরণের স্তরের কোথাও না কোথাও অসঙ্গতি আছে। সংশ্লিষ্টদেরকে সেই অসঙ্গতি খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিতে হবে। জাতীয় নিরাপত্তা যেন হুমকির মুখে না পড়ে সেজন্য এনআইডি তৈরির ব্যবস্থা হতে হবে নিñিদ্র।