গুচ্ছগ্রামে ঘর পেলেন ভবনের মালিক, বঞ্চিত ভূমিহীন

বাগেরহাটের চিতলমারীতে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ২ শতাংশ খাসজমি বন্দোবস্ত পূর্বক একক গৃহনির্মাণের মাধ্যমে পূনর্বাসন প্রকল্পে ঘর বরাদ্দ দেয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভূমিহীনরা। তাদের দাবি, যাদের পাঁকাবাড়ী আছে, আটচালের টিনের ঘর আছে এবং ৪০ শতকের অধিক নিজস্ব জমি থাকাসত্ত্বেও ঘর পেয়েছে অনেকে। এছাড়াও পিতার নাম ভিন্ন দেখিয়ে আপন দুই ভাইয়ের ঘর পাওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ করেছে ঘর পাওয়া থেকে বঞ্চিতরা। সরেজমিনে দেখা যায়, চিতলমারী সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ঝালোডাংগা বাজারস্থ নির্মাণাধীন গুচ্ছগ্রামে ঘর পেয়েছে উপজেলার ঝালোডাংগা গ্রামের মৃত নূরমোহাম্মদ খলিফার ছেলে মারুফ খলিফা। তার একটি উন্নতমানের সিরামিক দিয়ে নির্মাণাধীন দালান রয়েছে। আবার আরুলিয়া গ্রামের সেকেন্দার খলিফার ছেলে মোজাফ্ফর খলিফার একটি নতুন আটচালের টিনের ঘর থাকাসত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর বরাদ্দ পেয়েছে। পিতার নাম ভিন্ন দেখিয়ে ঘর বরাদ্দ পেয়েছে আপন দুইভাই শাহাজাহান শেখ ও শেখ আ. আলী । উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ২ শতাংশ খাসজমি বন্দ্যোবস্তপূর্বক একক গৃহনির্মাণের মাধ্যমে পুনর্বাসন সংক্রান্ত ছবি সম্বলিত তথ্য ছকে দেখা যায়, দালানওয়ালা ঘর মালিক মারুফ খলিফা তালিকার ১৭ নম্বরে রয়েছে। আটচালা নতুন টিনের ঘর মালিক মোজাফ্ফর খলিফা তালিকার ৮ নম্বরে এবং পিতার নাম ভিন্ন দেখিয়ে ঘর পাওয়া দুইভাই শেখ আ. আলী ও শাহজাহান শেখের নাম তালিকায় যথাক্রমে ১৪ ও ১৬ নম্বরে রয়েছে। অপরদিকে, নির্মাণাধীন ওই গুচ্ছগ্রাম থেকে কয়েকশত গজ দূরে শেখ আতিয়ারের ছেলে শেখ রাসেল (৩৭), স্ত্রী সুমি বেগম ও তিনমাসের কন্যা নিয়ে জরাজীর্ণ এককক্ষ বিশিষ্ট একটি গোলপাতার ছাউনির তলে বসবাস করছেন। সুমি বেগম জানায়, ২০০৭ সালে সিডরের সময় তাদের ঘর ভেঙ্গে যায়। সর্বসাকূল্যে তাদের প্রায় ১.২৫ শতাংশ বসতভিটা রয়েছে। অনেক দৌড়াদৌড়ি করেও প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাঁকা ঘর তারা পায়নি। এছাড়াও ভূমিহীন ঝালডাংগা গ্রামের সিদ্দিক সর্দারের ছেলে দীনমজুর রবিউল সর্দার, ওয়াবদার পাড়ে থাকা ভূমিহীন ত্রিনাথ ম-ল, শেখ আতিয়ারের ছেলে সেকেন্দার শেখ, ঝালোডাংগা গ্রামের মজিদ খলিফার স্ত্রী পারভীন বেগম, পারডুমুরিয়া গ্রামের কালু সর্দার, আরুলিয়া গ্রামের মৃত নিরোদ হালদারের ছেলে দীনমজুর শিবক হালদার, পারডুমুরিয়া গ্রামের ভ্যানচালক ঠাকুর ম-ল, আরুলিয়া গ্রামের মৃত ইসমাইল মৃধার দেনার দায়ে দেশান্তর লতিফ মৃধা ঘর পাওয়ার দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাঁকাবাড়ী পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে। চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বাবুল হোসেন খান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রকৃত ভূমিহীনদের জন্য। সেখানে কোন দালানওয়ালা ব্যক্তি যদি গুচ্ছগ্রামে ঘর পায় সেটা দুঃখজনক। চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মারুফুল আলম জানান, আমি চিতলমারীতে যোগদানের পূর্বে ভূমিহীনদের নামের তালিকা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে করা হয়। যার ‘ক’ তালিকায় ৪৪১ জনের মধ্যে ১৭ জনের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাকী ‘ক’ ও ‘খ’ তালিকায় যাদের নাম রয়েছে পর্যায়ক্রমে তারাও ঘর পাবে।

image
আরও খবর
চাঁদপুরে ঘন কুয়াশায় নৌ-পথে ডাকাত আতঙ্ক
নবাবগঞ্জে পাঁচ ভাটাকে জরিমানা ৯ লাখ টাকা
শিয়ালের ফাঁদে মেছোবাঘ
দুর্গাপুরে দিনভর বালুবাহী ট্রাকে রাস্তা কর্দমাক্ত ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
চৌমুহনীতে নির্বাচনী প্রচার জমজমাট
৩৯ প্রার্থীর ১০ জনই পা রাখেননি স্কুলে
মহেশখালীতে পৈতৃক সম্পত্তি উদ্ধারে ভুক্তভোগী দ্বারে দ্বারে
ঝিনাইদহে সওজ’র জায়গার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু
অনৈতিক সম্পর্ক বদলগাছীর এসআই আরিফুল বরখাস্ত
কিশোরগঞ্জে ৮৯ নমুনায় করোনা শনাক্ত ১
গাংনীর সাবেক ওসি তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকে মামলা
চাড়ালকাটা-ধাইজান নদীর চর সোনার ফসলে টইটুম্বুর
মসিকের সান্ধ্যকালীন বর্জ্য সংগ্রহ শুরু ১ ফেব্রুয়ারি

বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১ , ৭ মাঘ ১৪২৭, ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

গুচ্ছগ্রামে ঘর পেলেন ভবনের মালিক, বঞ্চিত ভূমিহীন

প্রতিনিধি, চিতলমারী (বাগেরহাট)

image

বাগেরহাটের চিতলমারীতে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ২ শতাংশ খাসজমি বন্দোবস্ত পূর্বক একক গৃহনির্মাণের মাধ্যমে পূনর্বাসন প্রকল্পে ঘর বরাদ্দ দেয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভূমিহীনরা। তাদের দাবি, যাদের পাঁকাবাড়ী আছে, আটচালের টিনের ঘর আছে এবং ৪০ শতকের অধিক নিজস্ব জমি থাকাসত্ত্বেও ঘর পেয়েছে অনেকে। এছাড়াও পিতার নাম ভিন্ন দেখিয়ে আপন দুই ভাইয়ের ঘর পাওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ করেছে ঘর পাওয়া থেকে বঞ্চিতরা। সরেজমিনে দেখা যায়, চিতলমারী সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ঝালোডাংগা বাজারস্থ নির্মাণাধীন গুচ্ছগ্রামে ঘর পেয়েছে উপজেলার ঝালোডাংগা গ্রামের মৃত নূরমোহাম্মদ খলিফার ছেলে মারুফ খলিফা। তার একটি উন্নতমানের সিরামিক দিয়ে নির্মাণাধীন দালান রয়েছে। আবার আরুলিয়া গ্রামের সেকেন্দার খলিফার ছেলে মোজাফ্ফর খলিফার একটি নতুন আটচালের টিনের ঘর থাকাসত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর বরাদ্দ পেয়েছে। পিতার নাম ভিন্ন দেখিয়ে ঘর বরাদ্দ পেয়েছে আপন দুইভাই শাহাজাহান শেখ ও শেখ আ. আলী । উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ২ শতাংশ খাসজমি বন্দ্যোবস্তপূর্বক একক গৃহনির্মাণের মাধ্যমে পুনর্বাসন সংক্রান্ত ছবি সম্বলিত তথ্য ছকে দেখা যায়, দালানওয়ালা ঘর মালিক মারুফ খলিফা তালিকার ১৭ নম্বরে রয়েছে। আটচালা নতুন টিনের ঘর মালিক মোজাফ্ফর খলিফা তালিকার ৮ নম্বরে এবং পিতার নাম ভিন্ন দেখিয়ে ঘর পাওয়া দুইভাই শেখ আ. আলী ও শাহজাহান শেখের নাম তালিকায় যথাক্রমে ১৪ ও ১৬ নম্বরে রয়েছে। অপরদিকে, নির্মাণাধীন ওই গুচ্ছগ্রাম থেকে কয়েকশত গজ দূরে শেখ আতিয়ারের ছেলে শেখ রাসেল (৩৭), স্ত্রী সুমি বেগম ও তিনমাসের কন্যা নিয়ে জরাজীর্ণ এককক্ষ বিশিষ্ট একটি গোলপাতার ছাউনির তলে বসবাস করছেন। সুমি বেগম জানায়, ২০০৭ সালে সিডরের সময় তাদের ঘর ভেঙ্গে যায়। সর্বসাকূল্যে তাদের প্রায় ১.২৫ শতাংশ বসতভিটা রয়েছে। অনেক দৌড়াদৌড়ি করেও প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাঁকা ঘর তারা পায়নি। এছাড়াও ভূমিহীন ঝালডাংগা গ্রামের সিদ্দিক সর্দারের ছেলে দীনমজুর রবিউল সর্দার, ওয়াবদার পাড়ে থাকা ভূমিহীন ত্রিনাথ ম-ল, শেখ আতিয়ারের ছেলে সেকেন্দার শেখ, ঝালোডাংগা গ্রামের মজিদ খলিফার স্ত্রী পারভীন বেগম, পারডুমুরিয়া গ্রামের কালু সর্দার, আরুলিয়া গ্রামের মৃত নিরোদ হালদারের ছেলে দীনমজুর শিবক হালদার, পারডুমুরিয়া গ্রামের ভ্যানচালক ঠাকুর ম-ল, আরুলিয়া গ্রামের মৃত ইসমাইল মৃধার দেনার দায়ে দেশান্তর লতিফ মৃধা ঘর পাওয়ার দাবিদার হওয়া সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাঁকাবাড়ী পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে। চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বাবুল হোসেন খান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রকৃত ভূমিহীনদের জন্য। সেখানে কোন দালানওয়ালা ব্যক্তি যদি গুচ্ছগ্রামে ঘর পায় সেটা দুঃখজনক। চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মারুফুল আলম জানান, আমি চিতলমারীতে যোগদানের পূর্বে ভূমিহীনদের নামের তালিকা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে করা হয়। যার ‘ক’ তালিকায় ৪৪১ জনের মধ্যে ১৭ জনের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাকী ‘ক’ ও ‘খ’ তালিকায় যাদের নাম রয়েছে পর্যায়ক্রমে তারাও ঘর পাবে।