যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন জো বাইডেন। মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস বাইডেনকে প্রেসিডেন্টের শপথ পাঠ করান। এছাড়া কমলা হ্যারিসকে ৪৯তম ভাইস প্রেসিডেন্টের শপথ পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের সহযোগী বিচারপতি সোনিয়া সোটোমায়োর। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট। নিরাপত্তা ও কোভিড-১৯ নিয়ে শঙ্কার মধ্যে বাইডেনের অভিষেককে ঘিরে নেয়া হয়েছিল বাড়তি সতর্কতা। অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটি মানুষজনকে বাড়িতে থেকে অনুষ্ঠান দেখতে পরামর্শ আগেই দিয়েছিলেন। কেননা প্রতিবার যেমন বড় সমাবেশ হয়, ওরকম হলে করোনা বিস্তারের কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে অনুষ্ঠানস্থল।
ক্যাপিটল হিলের পশ্চিমে মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছিল, মঞ্চের সামনে ফাঁকা ফাঁকা করে বসানো হয় ১০০ চেয়ার দূরত্বে থেকে অতিথিরা মাস্ক পরিহিত অবস্থায় অনুষ্ঠানে উপভোগ করেছেন।
ন্যাশনাল পার্কের পুরো জায়গাটা অভিষেকের সময় জনসাধারণের জন্য বন্ধ ছিল। ফাঁকা জায়গায় ২ লাখ পতাকায় সজ্জিত করা হয়।
আইনসভা ক্যাপিটল ভবন পুরো দুর্গের মতো ছিল। তার চারপাশ ঘিরে বেড়া দেয়া হয়। এর আগে আর্মি সেক্রেট্যারি রায়ান ম্যাকার্থি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এগুলো ডিঙানো যাবে না। হোয়াইট হাউজের চারপাশেও একই ধরনের বেষ্টনী দেয়া হয়।
শপথ অনুষ্ঠানের পর বাইডেন তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে নিয়ে ক্যাপিটল হিলের পূর্ব দিকে সুশৃঙ্খলভাবে সমবেত সেনাবাহিনীর সদস্যদের পরিদর্শন করেন নতুন কামান্ডার ইন চিফ হিসেবে।
এরপর পোটোম্যাক নদীর ওপারে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের সবচেয়ে বড় সমাধিক্ষেত্রে আর্লিংটন সিমেট্রিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাইডেন।
এরপরে বাইডেনের মোটরগাড়ির বহর রোড ব্লকের মধ্য দিয়ে হোয়াইট হাউজে যায়। সেখানে তিনি তার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলা হ্যারিসের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রথা ভেঙে ছিলেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। অভিষেক অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামা ছাড়াও জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং বিল ক্লিন্টন ও ছিলেন।
১৫২ বছরের মধ্যে এই প্রথম নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেকে অনুউপস্থিত নয় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১ , ৭ মাঘ ১৪২৭, ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২
সংবাদ ডেস্ক |
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন জো বাইডেন। মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস বাইডেনকে প্রেসিডেন্টের শপথ পাঠ করান। এছাড়া কমলা হ্যারিসকে ৪৯তম ভাইস প্রেসিডেন্টের শপথ পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের সহযোগী বিচারপতি সোনিয়া সোটোমায়োর। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট। নিরাপত্তা ও কোভিড-১৯ নিয়ে শঙ্কার মধ্যে বাইডেনের অভিষেককে ঘিরে নেয়া হয়েছিল বাড়তি সতর্কতা। অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটি মানুষজনকে বাড়িতে থেকে অনুষ্ঠান দেখতে পরামর্শ আগেই দিয়েছিলেন। কেননা প্রতিবার যেমন বড় সমাবেশ হয়, ওরকম হলে করোনা বিস্তারের কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে অনুষ্ঠানস্থল।
ক্যাপিটল হিলের পশ্চিমে মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছিল, মঞ্চের সামনে ফাঁকা ফাঁকা করে বসানো হয় ১০০ চেয়ার দূরত্বে থেকে অতিথিরা মাস্ক পরিহিত অবস্থায় অনুষ্ঠানে উপভোগ করেছেন।
ন্যাশনাল পার্কের পুরো জায়গাটা অভিষেকের সময় জনসাধারণের জন্য বন্ধ ছিল। ফাঁকা জায়গায় ২ লাখ পতাকায় সজ্জিত করা হয়।
আইনসভা ক্যাপিটল ভবন পুরো দুর্গের মতো ছিল। তার চারপাশ ঘিরে বেড়া দেয়া হয়। এর আগে আর্মি সেক্রেট্যারি রায়ান ম্যাকার্থি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, এগুলো ডিঙানো যাবে না। হোয়াইট হাউজের চারপাশেও একই ধরনের বেষ্টনী দেয়া হয়।
শপথ অনুষ্ঠানের পর বাইডেন তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে নিয়ে ক্যাপিটল হিলের পূর্ব দিকে সুশৃঙ্খলভাবে সমবেত সেনাবাহিনীর সদস্যদের পরিদর্শন করেন নতুন কামান্ডার ইন চিফ হিসেবে।
এরপর পোটোম্যাক নদীর ওপারে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের সবচেয়ে বড় সমাধিক্ষেত্রে আর্লিংটন সিমেট্রিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাইডেন।
এরপরে বাইডেনের মোটরগাড়ির বহর রোড ব্লকের মধ্য দিয়ে হোয়াইট হাউজে যায়। সেখানে তিনি তার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলা হ্যারিসের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রথা ভেঙে ছিলেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। অভিষেক অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামা ছাড়াও জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং বিল ক্লিন্টন ও ছিলেন।
১৫২ বছরের মধ্যে এই প্রথম নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেকে অনুউপস্থিত নয় বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।