মাঘের শীতে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি বাড়ছে শীত

মাঘের শীতের মধ্যে কুয়াশাঘেরা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সকাল থেকেই ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয় এবং সঙ্গে প্রচণ্ড কুয়াশা। তবে কুয়াশা ও বৃষ্টির কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে অনেক। মাঘের শীতে হঠাৎ এই বৃষ্টিতে দুর্ভোগ নেমেছে জনজীবনে। হঠাৎ করেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়ে যান অফিসমুখী মানুষ। শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েন রাস্তায় কর্মরত সাধারণ শ্রমজীবীরা। বিশেষ করে রিকশাওয়ালা, ফুটপাতের দোকানদার এবং রাস্তায় বসবাসকারীরা। সকাল থেকে কুয়াশায় সূর্যের মুখ দেখা যায়নি ঢাকায়। তার মধ্যেই মাঝেমধ্যে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়ে গেছে অল্প সময়ের জন্য।

জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, আজও এমন বৃষ্টির আভাস রয়েছে। শুক্রবার থেকে কয়েকদিন শীতের অনুভূতিও বাড়বে। উত্তর জনপদে পৌষের শেষে ও মাঘের শুরুতে সপ্তাহখানেক টানা শৈত্যপ্রবাহ ছিল। গতকাল গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে তাপমাত্রা বেড়েছে অনেক এলাকায়। তাতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কেটে গেছে।

গতকাল সীতাকুণ্ডে দেশের সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওমর ফারুক বলেন, ঢাকাসহ অনেক এলাকায় এমন ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকায় দশমিক ৪ মিলিলিটার। বৃহস্পতিবারও দিনের যেকোন সময় দেশের বিভিন্ন এলাকায় এমন বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার থেকে ফের দিন-রাতের তাপমাত্রা কমার আভাস দিয়ে তিনি বলেন, দুই-তিন দিন পর শীত তো বাড়বেই। শুষ্ক আবহাওয়ায় ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা বেশ কয়েক দিন থাকতে পারে।

ডিসেম্বরে রংপুর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। জানুয়ারির মাঝ সময়ে ফের শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। ১৫ জানুয়ারি বদলগাছিতে তাপমাত্রা নেমে যায় ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা/গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। কোথাও কোথাও মাঝ রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা থাকতে পারে।

বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১ , ৭ মাঘ ১৪২৭, ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

মাঘের শীতে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি বাড়ছে শীত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

মাঘের শীতের মধ্যে কুয়াশাঘেরা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সকাল থেকেই ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয় এবং সঙ্গে প্রচণ্ড কুয়াশা। তবে কুয়াশা ও বৃষ্টির কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে অনেক। মাঘের শীতে হঠাৎ এই বৃষ্টিতে দুর্ভোগ নেমেছে জনজীবনে। হঠাৎ করেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়ে যান অফিসমুখী মানুষ। শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েন রাস্তায় কর্মরত সাধারণ শ্রমজীবীরা। বিশেষ করে রিকশাওয়ালা, ফুটপাতের দোকানদার এবং রাস্তায় বসবাসকারীরা। সকাল থেকে কুয়াশায় সূর্যের মুখ দেখা যায়নি ঢাকায়। তার মধ্যেই মাঝেমধ্যে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়ে গেছে অল্প সময়ের জন্য।

জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, আজও এমন বৃষ্টির আভাস রয়েছে। শুক্রবার থেকে কয়েকদিন শীতের অনুভূতিও বাড়বে। উত্তর জনপদে পৌষের শেষে ও মাঘের শুরুতে সপ্তাহখানেক টানা শৈত্যপ্রবাহ ছিল। গতকাল গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে তাপমাত্রা বেড়েছে অনেক এলাকায়। তাতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কেটে গেছে।

গতকাল সীতাকুণ্ডে দেশের সর্বনিম্ন ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওমর ফারুক বলেন, ঢাকাসহ অনেক এলাকায় এমন ঝিরঝিরে বৃষ্টি হয়েছে। ঢাকায় দশমিক ৪ মিলিলিটার। বৃহস্পতিবারও দিনের যেকোন সময় দেশের বিভিন্ন এলাকায় এমন বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবার থেকে ফের দিন-রাতের তাপমাত্রা কমার আভাস দিয়ে তিনি বলেন, দুই-তিন দিন পর শীত তো বাড়বেই। শুষ্ক আবহাওয়ায় ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা বেশ কয়েক দিন থাকতে পারে।

ডিসেম্বরে রংপুর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। জানুয়ারির মাঝ সময়ে ফের শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়। ১৫ জানুয়ারি বদলগাছিতে তাপমাত্রা নেমে যায় ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা/গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্যত্র আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। কোথাও কোথাও মাঝ রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা থাকতে পারে।