ইশরাত নিশাত স্মরণে ‘এক জীবনের থিয়েটার’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে দেশ নাটক। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় আয়োজিত হয়েছে ‘এক জীবনের থিয়েটার’ শীর্ষক অনুষ্ঠান যেখানে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, লিয়াকত আলী লাকী, আতাউর রহমনাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ইশরাত নিশাতের থিয়েটার জীবন নিয়ে ভিডিও প্রদর্শন, তার কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ইশরাত নিশাত নাট্য পদক প্রদানের বিষয়ে নীতিমালা উপস্থাপন করা হয়েছে। ইশরাত নিশাত সংস্কৃতিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ। তিনি ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি মারা যান। গতকাল তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল। ইশরাত নিশাতের জন্ম ২৬ অগাস্ট ১৯৬৪, ঢাকায়। চার বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে ইশরাত নিশাত তৃতীয়। মা নাজমা আনোয়ার ছিলেন মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচিত্রের সুনামধন্য অভিনেত্রী। নাজমা আনোয়ার ছিলেন আরণ্যক নাট্যদলের সদস্য। আশির দশকের শুরুতে ইশরাত নিশাত আনুষ্ঠানিকভাবে আরণ্যক নাট্য দলের সঙ্গে যুক্ত হন। আরণ্যক নাট্যদলের অন্যতম প্রযোজনা গিনিপিগ নাটক দিয়ে মঞ্চে তার অভিনয় শুরু। পাশাপাশি যুক্ত হন মুক্ত নাটক আন্দোলনের সঙ্গে। ১৯৮৭ সালে ‘মানুষের জন্য নাটক’ এই শ্লোগানকে সামনে নিয়ে গঠিত হয় দেশ নাটক। ইশরাত নিশাত দেশ নাটকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অন্যতম একজন। ৬ বছরের অধিক সময় ইশরাত নিশাত দেশ নাটকের দল প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর সময় তিনি দেশ নাটকের দলীয় প্রধান ছিলেন। তিনি বিরসা কাব্য, ঘরলোপাট ও দর্পণে শরৎশশী এই তিনটি মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন এবং দুটি মঞ্চ নাটক লোহাও অরক্ষিতা নাটকের নিদের্শনা দেন। ইশরাত নিশাত এক দশকের বেশি সময় ধরে মঞ্চ নাটকের উপর রিভিউ লিখতেন- যা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে ছাপা হতো। এসব লেখা নিয়ে বীক্ষিত থিয়েটার নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। দেশ নাটকের হয়ে ইশরাত নিশাত বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, বাংলাদেশ পথ নাটক পরিষদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটে প্রতিনিধিত্ব করতেন। কথাকলি, সিলেটে নাটক নির্দেশনা, নাগরিক নাট্যাঙ্গনের নাটক ‘আকাশে ফুইটেছে ফুল’ নাটকে আলোক পরিকল্পনা এবং ঢাকা থিয়েটারের নাটক প্রাচ্যও বিনোদিনী নাটকে সহযোগী ও আলোক পরিকল্পক হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া বৈকুন্ঠ আবৃত্তি একাডেমির আয়োজনে বাচিক শিল্পী হিসেবে ৬টি আবৃত্তি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে বাংলাভাষী নাট্যকর্মীদের নিয়ে প্রযোজনাভিত্তিক নাট্য কর্মশালা পরিচালনা করেন এবং জলবালিকা ও হাসনরাজা নামে দুটি নাটকের নির্দেশনা দেন।
বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১ , ৭ মাঘ ১৪২৭, ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২
সাংস্কৃতিক বার্তা পরিবেশক |
ইশরাত নিশাত স্মরণে ‘এক জীবনের থিয়েটার’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে দেশ নাটক। গতকাল সন্ধ্যা ৬টায়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় আয়োজিত হয়েছে ‘এক জীবনের থিয়েটার’ শীর্ষক অনুষ্ঠান যেখানে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, মামুনুর রশীদ, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, লিয়াকত আলী লাকী, আতাউর রহমনাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। ইশরাত নিশাতের থিয়েটার জীবন নিয়ে ভিডিও প্রদর্শন, তার কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ইশরাত নিশাত নাট্য পদক প্রদানের বিষয়ে নীতিমালা উপস্থাপন করা হয়েছে। ইশরাত নিশাত সংস্কৃতিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ। তিনি ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি মারা যান। গতকাল তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল। ইশরাত নিশাতের জন্ম ২৬ অগাস্ট ১৯৬৪, ঢাকায়। চার বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে ইশরাত নিশাত তৃতীয়। মা নাজমা আনোয়ার ছিলেন মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচিত্রের সুনামধন্য অভিনেত্রী। নাজমা আনোয়ার ছিলেন আরণ্যক নাট্যদলের সদস্য। আশির দশকের শুরুতে ইশরাত নিশাত আনুষ্ঠানিকভাবে আরণ্যক নাট্য দলের সঙ্গে যুক্ত হন। আরণ্যক নাট্যদলের অন্যতম প্রযোজনা গিনিপিগ নাটক দিয়ে মঞ্চে তার অভিনয় শুরু। পাশাপাশি যুক্ত হন মুক্ত নাটক আন্দোলনের সঙ্গে। ১৯৮৭ সালে ‘মানুষের জন্য নাটক’ এই শ্লোগানকে সামনে নিয়ে গঠিত হয় দেশ নাটক। ইশরাত নিশাত দেশ নাটকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অন্যতম একজন। ৬ বছরের অধিক সময় ইশরাত নিশাত দেশ নাটকের দল প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর সময় তিনি দেশ নাটকের দলীয় প্রধান ছিলেন। তিনি বিরসা কাব্য, ঘরলোপাট ও দর্পণে শরৎশশী এই তিনটি মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন এবং দুটি মঞ্চ নাটক লোহাও অরক্ষিতা নাটকের নিদের্শনা দেন। ইশরাত নিশাত এক দশকের বেশি সময় ধরে মঞ্চ নাটকের উপর রিভিউ লিখতেন- যা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে ছাপা হতো। এসব লেখা নিয়ে বীক্ষিত থিয়েটার নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। দেশ নাটকের হয়ে ইশরাত নিশাত বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, বাংলাদেশ পথ নাটক পরিষদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটে প্রতিনিধিত্ব করতেন। কথাকলি, সিলেটে নাটক নির্দেশনা, নাগরিক নাট্যাঙ্গনের নাটক ‘আকাশে ফুইটেছে ফুল’ নাটকে আলোক পরিকল্পনা এবং ঢাকা থিয়েটারের নাটক প্রাচ্যও বিনোদিনী নাটকে সহযোগী ও আলোক পরিকল্পক হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া বৈকুন্ঠ আবৃত্তি একাডেমির আয়োজনে বাচিক শিল্পী হিসেবে ৬টি আবৃত্তি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে বাংলাভাষী নাট্যকর্মীদের নিয়ে প্রযোজনাভিত্তিক নাট্য কর্মশালা পরিচালনা করেন এবং জলবালিকা ও হাসনরাজা নামে দুটি নাটকের নির্দেশনা দেন।