প্রোডাক্টিভিটি মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, বাংলাদেশের শিল্প, সেবা, কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে জাপানভিত্তিক এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অরগানাইজেশন (এপিও) এবং বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অরগানাইজেশন (এনপিও) যৌথভাবে দশ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি মাস্টার প্ল্যান ২০২১-২০৩০ প্রণয়ন করেছে। এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অরগানাইজেশনের (এপিও) ৬০ বছর পূর্তিতে গৃহীত অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনের সময় জাপানের রাজধানী টোকিওতে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সবখাতের উৎপাদনশীলতা বর্তমান ৩.৮ শতাংশ থেকে ৫.৬ শতাংশ উন্নীত করা হবে। এজন্য সেক্টরভিত্তিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিভিন্নখাতের চাহিদা নিরূপন এবং চাহিদার আলোকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীকালীন ভার্চুয়াল মাধ্যমে এপিও’র উদ্যোগে উৎপাদনশীলতাবিষয়ক আলোচনা, প্রশিক্ষণ, সম্মেলন, কর্মশালাসহ অন্যান্য কর্মসূচি চলমান থাকায় বাংলাদেশসহ অন্যান্য সদস্য দেশসমূহ উৎপাদনশীলতা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পেরেছে। এপিও’র কার্যক্রম দক্ষিণ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই উৎপাদনশীলতা উন্নয়নে সহযোগিতা করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এনপিও’র জেনারেল সেক্রেটারি ড. একেপি মচতান, জাপানের এপিও’র পরিচালক (জাপানের পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী মন্ত্রী এবং মহাপরিচালক) আতসুসি ইউনো এবং ভিয়েতনামের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপমন্ত্রী লি জুয়ান দীনহ্ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী ইদা ফৌজিয়া, কম্বোডিয়ার বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন সিনিয়র মন্ত্রী কিট্টি সিত্থা পেনদিতা চাম প্রাসিধ এবং পাকিস্তানের শিল্প ও উৎপাদন বিভাগের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুহাম্মদ হামাদ আজহার এপিও’র ৬০ বছর পূর্তিতে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

শুক্রবার, ২২ জানুয়ারী ২০২১ , ৮ মাঘ ১৪২৭, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২

প্রোডাক্টিভিটি মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করেছে বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, বাংলাদেশের শিল্প, সেবা, কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে জাপানভিত্তিক এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অরগানাইজেশন (এপিও) এবং বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অরগানাইজেশন (এনপিও) যৌথভাবে দশ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি মাস্টার প্ল্যান ২০২১-২০৩০ প্রণয়ন করেছে। এশিয়ান প্রোডাক্টিভিটি অরগানাইজেশনের (এপিও) ৬০ বছর পূর্তিতে গৃহীত অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনের সময় জাপানের রাজধানী টোকিওতে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সবখাতের উৎপাদনশীলতা বর্তমান ৩.৮ শতাংশ থেকে ৫.৬ শতাংশ উন্নীত করা হবে। এজন্য সেক্টরভিত্তিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিভিন্নখাতের চাহিদা নিরূপন এবং চাহিদার আলোকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীকালীন ভার্চুয়াল মাধ্যমে এপিও’র উদ্যোগে উৎপাদনশীলতাবিষয়ক আলোচনা, প্রশিক্ষণ, সম্মেলন, কর্মশালাসহ অন্যান্য কর্মসূচি চলমান থাকায় বাংলাদেশসহ অন্যান্য সদস্য দেশসমূহ উৎপাদনশীলতা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পেরেছে। এপিও’র কার্যক্রম দক্ষিণ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে টেকসই উৎপাদনশীলতা উন্নয়নে সহযোগিতা করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এনপিও’র জেনারেল সেক্রেটারি ড. একেপি মচতান, জাপানের এপিও’র পরিচালক (জাপানের পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী মন্ত্রী এবং মহাপরিচালক) আতসুসি ইউনো এবং ভিয়েতনামের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপমন্ত্রী লি জুয়ান দীনহ্ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী ইদা ফৌজিয়া, কম্বোডিয়ার বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন সিনিয়র মন্ত্রী কিট্টি সিত্থা পেনদিতা চাম প্রাসিধ এবং পাকিস্তানের শিল্প ও উৎপাদন বিভাগের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুহাম্মদ হামাদ আজহার এপিও’র ৬০ বছর পূর্তিতে অভিনন্দন জানিয়েছেন।