বরিশালের মানুষের ট্রেনে চড়ে স্বপ্ন পূরণ হবে প্রতিমন্ত্রী

আগামী বছর পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হলেই বরিশালের মানুষের ট্রেনে চড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেই বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সোনারবাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন। পদ্মা সেতুর কাজ আগামী বছর শেষ হয়ে যাবে। তখন সেটি দিয়ে গাড়ি-ট্রেন চলবে। বরিশালের মানুষ ট্রেনে চড়বে। আবার সড়কপথে ৩ সাড়ে ৩ ঘণ্টার মধ্যে রাজধানীতে যেতে পারবে বরিশালের মানুষ। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য।’

গতকাল বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্পে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন ও জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জোবায়ের আবদুল্লাহ জিন্নাহ প্রমুখ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চমধ্যম আয় এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবো। দেশের মানুষ যাতে ভালো থাকতে পারে সে কথাই সব সময় প্রধানমন্ত্রী চিন্তা করেন। বরিশাল এলাকায় নদী ভাঙন রোধে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ নদী ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষের দুঃখ কষ্টগুলোর বিষয়ে আমি জানি। সেজন্য আমি বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়াই।’

আমি হারাম খাই না উল্লেখ করে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মন্ত্রণালয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ হয় কিন্তু কেউ বলতে পারবে না আমাকে কারো টাকা দিতে হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি আমি মৃত্যুবরণ করলে সাড়ে ৩ হাত মাটির মধ্যে থাকতে হবে। সেটিকে আমি সুরক্ষিত রাখতে চাই। আমার মৃত্যু হলে মন্ত্রী হিসেবে ৫ হাত কবর করেও কেউ দিতে পারবেন না। এজন্যই আমি হারাম-টারাম আমি খাইতে চাই না এবং খাই না। সামনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার ইলেকশন। সদর উপজেলার উন্নয়ন করতে চাইলে আমার মনোনীতদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করুন। আমি আপনাদের এনশিওর করতে পারি আমাদের মনোনীতদের বিজয়ী করে আনুন, তাদের চুরি করতে দিব না, তারা কাজ করবে। এতে আপনাদেরই ভালো হবে। আর কেউ খারাপ কাজ করলে আমাকে জিজ্ঞাসা করতে পারবেন।’

শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১ , ৯ মাঘ ১৪২৭, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪২

পদ্মা সেতু হলে

বরিশালের মানুষের ট্রেনে চড়ে স্বপ্ন পূরণ হবে প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

আগামী বছর পদ্মা সেতুর কাজ শেষ হলেই বরিশালের মানুষের ট্রেনে চড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেই বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সোনারবাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন। পদ্মা সেতুর কাজ আগামী বছর শেষ হয়ে যাবে। তখন সেটি দিয়ে গাড়ি-ট্রেন চলবে। বরিশালের মানুষ ট্রেনে চড়বে। আবার সড়কপথে ৩ সাড়ে ৩ ঘণ্টার মধ্যে রাজধানীতে যেতে পারবে বরিশালের মানুষ। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য।’

গতকাল বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্পে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন ও জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জোবায়ের আবদুল্লাহ জিন্নাহ প্রমুখ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চমধ্যম আয় এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবো। দেশের মানুষ যাতে ভালো থাকতে পারে সে কথাই সব সময় প্রধানমন্ত্রী চিন্তা করেন। বরিশাল এলাকায় নদী ভাঙন রোধে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ নদী ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষের দুঃখ কষ্টগুলোর বিষয়ে আমি জানি। সেজন্য আমি বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়াই।’

আমি হারাম খাই না উল্লেখ করে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমার মন্ত্রণালয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ হয় কিন্তু কেউ বলতে পারবে না আমাকে কারো টাকা দিতে হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি আমি মৃত্যুবরণ করলে সাড়ে ৩ হাত মাটির মধ্যে থাকতে হবে। সেটিকে আমি সুরক্ষিত রাখতে চাই। আমার মৃত্যু হলে মন্ত্রী হিসেবে ৫ হাত কবর করেও কেউ দিতে পারবেন না। এজন্যই আমি হারাম-টারাম আমি খাইতে চাই না এবং খাই না। সামনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার ইলেকশন। সদর উপজেলার উন্নয়ন করতে চাইলে আমার মনোনীতদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করুন। আমি আপনাদের এনশিওর করতে পারি আমাদের মনোনীতদের বিজয়ী করে আনুন, তাদের চুরি করতে দিব না, তারা কাজ করবে। এতে আপনাদেরই ভালো হবে। আর কেউ খারাপ কাজ করলে আমাকে জিজ্ঞাসা করতে পারবেন।’