দেশে করোনায় মৃত্যু ৮ হাজার ছাড়ালো

আক্রান্ত নামল পাঁচশর নিচে

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে আট হাজার তিন জনের। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৪৩৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা গত এপ্রিলের পর গতকালই প্রথম পাঁচশ’র নিচে নামল। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩১ হাজার ৩২৬ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৩৮ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৭৫ হাজার ৮৯৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার তিন দশমিক ৯২ শতাংশ। এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ৫১ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, দেশে বর্তমানে ২০০টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআর পরীক্ষাগার রয়েছে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১১৬টি, জিন-এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে ২৮টি পরীক্ষাগারে এবং র‌্যাপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে ৫৬টি পরীক্ষাগারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার সাতটি, আর পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ১১৫টি। এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৫ লাখ ৪১ হাজার ৩৮৯টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ২৭ লাখ ৭৬ হাজার ৪০১টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে সাত লাখ ৬৪ হাজার ৯৮৮টি। মারা যাওয়া ২২ জনের মধ্যে পুরুষ ১৭ জন, আর নারী পাঁচ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেছেন ছয় হাজার ৬৪ জন, আর নারী মারা গেছেনে এক হাজার ৯৩৯ জন। শতকরা হিসাবে পুরুষ ৭৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং নারী ২৪ দশমিক ২৩ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আছেন ছয় জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আছেন একজন। তারা সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।

বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যানে মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের তিন জন এবং বরিশাল বিভাগের আছেন একজন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ৩৩৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ২১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৩ জন, রংপুর বিভাগের আট জন, খুলনা বিভাগের ১০ জন, বরিশাল বিভাগের ১১ জন, রাজশাহী বিভাগের ৩৫ জন এবং সিলেট বিভাগের নয় জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ২১২ জন, ছাড় পেয়েছেন ৪৪৪ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ছয় লাখ ১৫ হাজার ৩২৩ জন, ছাড় পেয়েছেন পাঁচ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৭ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৫ হাজার ৮৪৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৯৭ জন, ছাড় পেয়েছেন ১১৮ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৯৮ হাজার ৫৯৮ জন, ছাড়া পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮৩৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ৭৬২ জন।

উল্লেখ্য, দেশে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে অধিদপ্তর। এরমধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বাধিক মৃত্যু। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বে মৃত্যুর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩৮তম। আর আক্রান্তের সংখ্যা বিচারে বাংলাদেশ রয়েছে ৩০তম স্থানে।

রবিবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২১ , ১০ মাঘ ১৪২৭, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪২

দেশে করোনায় মৃত্যু ৮ হাজার ছাড়ালো

আক্রান্ত নামল পাঁচশর নিচে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে আট হাজার তিন জনের। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৪৩৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা গত এপ্রিলের পর গতকালই প্রথম পাঁচশ’র নিচে নামল। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩১ হাজার ৩২৬ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩৩৮ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৭৫ হাজার ৮৯৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার তিন দশমিক ৯২ শতাংশ। এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যু হার এক দশমিক ৫১ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, দেশে বর্তমানে ২০০টি পরীক্ষাগারে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এরমধ্যে আরটি-পিসিআর পরীক্ষাগার রয়েছে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১১৬টি, জিন-এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে ২৮টি পরীক্ষাগারে এবং র‌্যাপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে ৫৬টি পরীক্ষাগারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার সাতটি, আর পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ১১৫টি। এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৫ লাখ ৪১ হাজার ৩৮৯টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ২৭ লাখ ৭৬ হাজার ৪০১টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে সাত লাখ ৬৪ হাজার ৯৮৮টি। মারা যাওয়া ২২ জনের মধ্যে পুরুষ ১৭ জন, আর নারী পাঁচ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেছেন ছয় হাজার ৬৪ জন, আর নারী মারা গেছেনে এক হাজার ৯৩৯ জন। শতকরা হিসাবে পুরুষ ৭৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং নারী ২৪ দশমিক ২৩ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আছেন ছয় জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আছেন একজন। তারা সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।

বিভাগভিত্তিক পরিসংখ্যানে মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ১৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের তিন জন এবং বরিশাল বিভাগের আছেন একজন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ৩৩৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ২১২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৩ জন, রংপুর বিভাগের আট জন, খুলনা বিভাগের ১০ জন, বরিশাল বিভাগের ১১ জন, রাজশাহী বিভাগের ৩৫ জন এবং সিলেট বিভাগের নয় জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ২১২ জন, ছাড় পেয়েছেন ৪৪৪ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ছয় লাখ ১৫ হাজার ৩২৩ জন, ছাড় পেয়েছেন পাঁচ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৭ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৫ হাজার ৮৪৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৯৭ জন, ছাড় পেয়েছেন ১১৮ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৯৮ হাজার ৫৯৮ জন, ছাড়া পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮৩৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ৭৬২ জন।

উল্লেখ্য, দেশে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে অধিদপ্তর। এরমধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বাধিক মৃত্যু। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বে মৃত্যুর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩৮তম। আর আক্রান্তের সংখ্যা বিচারে বাংলাদেশ রয়েছে ৩০তম স্থানে।