বিদেশি জাহাজে গুলি করার অনুমোদন দিল চীন

সমুদ্রসীমায় বিদেশি নৌযানে প্রয়োজনে গুলি করার অনুমোদন দিয়ে কোস্টগার্ড আইন পাস করেছে চীন সরকার। এর ফলে দক্ষিণ চীন সাগর ও এর আশপাশের জলসীমায় উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আল জাজিরা

পূর্ব চীন সাগরে জাপান এবং দক্ষিণ চীন সাগরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে চীনের। দেশটি বিতর্কিত এলাকাগুলোতে কোস্টগার্ড দিয়ে অন্য দেশের মাছধরা নৌযানগুলোকে প্রায়ই তাড়া করে, অনেক সময় সেগুলো ডুবিয়েও দেয়া হয়। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার তথ্যমতে, দেশটির শীর্ষ আইনপ্রণয়নকারী কর্তৃপক্ষ ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস স্ট্যান্ডিং কমিটি কোস্টগার্ড আইন পাস করেছে।

এর আগে প্রকাশিত খসড়া বিল থেকে জানা যায়, বিদেশি নৌযান প্রতিরোধ বা হুমকি মোকাবিলায় চীনা কোস্টগার্ডকে যে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

বিলের তথ্যমতে, কোস্টগার্ড কর্মকর্তারা চীনের দাবি করা সমুদ্রসীমার মধ্যে অন্য দেশের নির্মিত অবকাঠামো ধ্বংস এবং বিদেশি জাহাজগুলোতে তল্লাশি করতে পারবেন। এমনকি, অন্য দেশের নৌযান বা কর্মকর্তাদের প্রবেশ রোধে প্রয়োজনে সাময়িক ‘এক্সক্লুশন জোন’ তৈরির ক্ষমতাও দেয়া হয়েছে চীনা কোস্টগার্ড বাহিনীকে। চীনের এই পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও বিরোধ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

রবিবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২১ , ১০ মাঘ ১৪২৭, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪২

বিদেশি জাহাজে গুলি করার অনুমোদন দিল চীন

সমুদ্রসীমায় বিদেশি নৌযানে প্রয়োজনে গুলি করার অনুমোদন দিয়ে কোস্টগার্ড আইন পাস করেছে চীন সরকার। এর ফলে দক্ষিণ চীন সাগর ও এর আশপাশের জলসীমায় উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আল জাজিরা

পূর্ব চীন সাগরে জাপান এবং দক্ষিণ চীন সাগরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে চীনের। দেশটি বিতর্কিত এলাকাগুলোতে কোস্টগার্ড দিয়ে অন্য দেশের মাছধরা নৌযানগুলোকে প্রায়ই তাড়া করে, অনেক সময় সেগুলো ডুবিয়েও দেয়া হয়। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার তথ্যমতে, দেশটির শীর্ষ আইনপ্রণয়নকারী কর্তৃপক্ষ ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস স্ট্যান্ডিং কমিটি কোস্টগার্ড আইন পাস করেছে।

এর আগে প্রকাশিত খসড়া বিল থেকে জানা যায়, বিদেশি নৌযান প্রতিরোধ বা হুমকি মোকাবিলায় চীনা কোস্টগার্ডকে যে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

বিলের তথ্যমতে, কোস্টগার্ড কর্মকর্তারা চীনের দাবি করা সমুদ্রসীমার মধ্যে অন্য দেশের নির্মিত অবকাঠামো ধ্বংস এবং বিদেশি জাহাজগুলোতে তল্লাশি করতে পারবেন। এমনকি, অন্য দেশের নৌযান বা কর্মকর্তাদের প্রবেশ রোধে প্রয়োজনে সাময়িক ‘এক্সক্লুশন জোন’ তৈরির ক্ষমতাও দেয়া হয়েছে চীনা কোস্টগার্ড বাহিনীকে। চীনের এই পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও বিরোধ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।