হিমে জবুথবু জনজীবন

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় কয়েকদিন ধরে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। সূর্যের দেখা মিললেও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রয়েছে কনকনে ঠাণ্ডা। শীতের প্রকোপে বেশ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা। ঘন কুয়াশা আর শৈতপ্রবাহ বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা। অতিরিক্ত কুয়াশায় কাজে যেতে না পারায় পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্বল্পআয়ের দিনমজুর ও কৃষকেরা। বেশি ঠাণ্ডা ও তাপমাত্রা কমে যাওযায় শিশু ও বৃদ্ধরা ভুগছে ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে। গত রোববার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় জনজীবন ব্যাপক ব্যাহত হচ্ছে। ঘন কুয়াশায় কৃষকেরা মাঠে কাজ করতে পারছে না। দরিদ্র ভ্যান চালকেরা শীতে নাস্তানাবুদ। দিনের বেলাও সড়কের যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। লেবুতলা গ্রামের কৃষক সুব্রত দাস ও পাকুরতিয়া গ্রামের কৃষক মোতালেব শেখ বলেন, কয়েকদিন ধরে যে শীত পড়েছে তাতে বাঁচাই দায় হয়ে গেছে। ঘন কুয়াশায় মাঠে কাজ করতে পারছি না। এছাড়া কনকনে ঠাণ্ডা কত আছেই। কাজ না করতে পারলে তো না খেয়ে মরতে হবে। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. অপূর্ব বিশ্বাস বলেন, শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে সংক্রমণ, এজমা, নিউমোনিয়া, জ্বর-সর্দিসহ বিভিন্ন ধরনের ঠাণ্ডাজনিত রোগ। গত কয়েকদিনে শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন বলেন, ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে আলু, টমেটো, পিয়াজসহ শাকসবজিতে পচন ধরার সম্ভাবনা থাকে। এতে কৃষক ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। তাই কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের ভালো মতো জমি দেখাশোনা ও পচন দেখা দিলে ছত্রাকনাশক দেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আগামী ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত এ রকম ঘনকুয়াশা ও তীব্র শীত থাকতে পারেও বলে জানান তিনি।

সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১ , ১১ মাঘ ১৪২৭, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪২

হিমে জবুথবু জনজীবন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, গোপালগঞ্জ

image

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় কয়েকদিন ধরে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। সূর্যের দেখা মিললেও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রয়েছে কনকনে ঠাণ্ডা। শীতের প্রকোপে বেশ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষেরা। ঘন কুয়াশা আর শৈতপ্রবাহ বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা। অতিরিক্ত কুয়াশায় কাজে যেতে না পারায় পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্বল্পআয়ের দিনমজুর ও কৃষকেরা। বেশি ঠাণ্ডা ও তাপমাত্রা কমে যাওযায় শিশু ও বৃদ্ধরা ভুগছে ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে। গত রোববার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় জনজীবন ব্যাপক ব্যাহত হচ্ছে। ঘন কুয়াশায় কৃষকেরা মাঠে কাজ করতে পারছে না। দরিদ্র ভ্যান চালকেরা শীতে নাস্তানাবুদ। দিনের বেলাও সড়কের যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। লেবুতলা গ্রামের কৃষক সুব্রত দাস ও পাকুরতিয়া গ্রামের কৃষক মোতালেব শেখ বলেন, কয়েকদিন ধরে যে শীত পড়েছে তাতে বাঁচাই দায় হয়ে গেছে। ঘন কুয়াশায় মাঠে কাজ করতে পারছি না। এছাড়া কনকনে ঠাণ্ডা কত আছেই। কাজ না করতে পারলে তো না খেয়ে মরতে হবে। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. অপূর্ব বিশ্বাস বলেন, শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে সংক্রমণ, এজমা, নিউমোনিয়া, জ্বর-সর্দিসহ বিভিন্ন ধরনের ঠাণ্ডাজনিত রোগ। গত কয়েকদিনে শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন বলেন, ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে আলু, টমেটো, পিয়াজসহ শাকসবজিতে পচন ধরার সম্ভাবনা থাকে। এতে কৃষক ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। তাই কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের ভালো মতো জমি দেখাশোনা ও পচন দেখা দিলে ছত্রাকনাশক দেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আগামী ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত এ রকম ঘনকুয়াশা ও তীব্র শীত থাকতে পারেও বলে জানান তিনি।