সেনা মোতায়েনের দাবি নাকচ সিইসির

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নরুল হুদা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ভোটের দিন সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানালেও তা নাকচ করেছেন। গতকাল বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চসিক নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

এর আগে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের স্বার্থে প্রতিটি ইভিএম বুথে সেনা সদস্য মোতায়নের দাবি জানিয়ে রিটার্নিং অফিসারকে চিঠি দিয়েছিলেন ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। তবে সিইসি চট্টগ্রামে এসে সেই দাবি নাকচ করে বলেছেন, সেনাবাহিনী মোতায়নের কোন সিদ্ধান্ত কমিশনের নেই। তবে ইভিএম বুথে অবশ্য পুলিশ থাকবে। বিএনপি প্রার্থী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই দাবি করে ইসি ও প্রশাসন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে বলে অভিযোগ করলেও সিইসি বলছেন, তিনি কোন সমস্যাই দেখছেন না। সুন্দর উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনী কার্যক্রম চলছে! সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বাইরে বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না বলেও দায়িত্ব নিয়ে বলে গেছেন চট্টগ্রাম সফরে আসা প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ সময় মিডিয়াকেই কেন্দ্রে ভোটার আনতে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি। এ সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আশ্বস্ত করার মতো নির্বাচনী পরিবেশ বিরাজ করছে। বিপুল পরিমাণ মানুষ প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছে। পোলিং এজেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কর্মকর্তাদের। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ভোট সংশ্লিষ্ট কাজে যারা নিয়োজিত থাকবেন তাদের সব প্রার্থীর প্রতি সমান নজর রাখতে হবে। যাতে এটি নিয়ে কোন প্রশ্ন না উঠে। তিনি আরও বলেন, ইভিএম ভোটারদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। নির্বাচনের বর্তমান পরিবেশ ধরে রাখতে হবে। সব প্রার্থী যেন সমান অধিকার পায় এবং নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলে সেটি সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি হুদা। উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান প্রমুখ।

সোমবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২১ , ১১ মাঘ ১৪২৭, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪২

সেনা মোতায়েনের দাবি নাকচ সিইসির

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নরুল হুদা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ভোটের দিন সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানালেও তা নাকচ করেছেন। গতকাল বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চসিক নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

এর আগে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের স্বার্থে প্রতিটি ইভিএম বুথে সেনা সদস্য মোতায়নের দাবি জানিয়ে রিটার্নিং অফিসারকে চিঠি দিয়েছিলেন ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। তবে সিইসি চট্টগ্রামে এসে সেই দাবি নাকচ করে বলেছেন, সেনাবাহিনী মোতায়নের কোন সিদ্ধান্ত কমিশনের নেই। তবে ইভিএম বুথে অবশ্য পুলিশ থাকবে। বিএনপি প্রার্থী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই দাবি করে ইসি ও প্রশাসন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে বলে অভিযোগ করলেও সিইসি বলছেন, তিনি কোন সমস্যাই দেখছেন না। সুন্দর উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনী কার্যক্রম চলছে! সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বাইরে বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না বলেও দায়িত্ব নিয়ে বলে গেছেন চট্টগ্রাম সফরে আসা প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ সময় মিডিয়াকেই কেন্দ্রে ভোটার আনতে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি। এ সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আশ্বস্ত করার মতো নির্বাচনী পরিবেশ বিরাজ করছে। বিপুল পরিমাণ মানুষ প্রচারণায় অংশগ্রহণ করছে। পোলিং এজেন্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কর্মকর্তাদের। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ভোট সংশ্লিষ্ট কাজে যারা নিয়োজিত থাকবেন তাদের সব প্রার্থীর প্রতি সমান নজর রাখতে হবে। যাতে এটি নিয়ে কোন প্রশ্ন না উঠে। তিনি আরও বলেন, ইভিএম ভোটারদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। নির্বাচনের বর্তমান পরিবেশ ধরে রাখতে হবে। সব প্রার্থী যেন সমান অধিকার পায় এবং নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলে সেটি সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি হুদা। উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান প্রমুখ।