গত কয়েক দিন থেকে রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার সর্বত্রই শৈত্যপ্রবাহে প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে তারাগঞ্জসহ আশপাশের উপজেলাগুলোর মানুষ। এছাড়াও গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলেও তা ৪-৬ দিন স্থায়ী হয়। এরপর স্বাভাবিক শীত লক্ষ্য করা গেলেও গত কয়েকদিন ধরে আবারাও শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এতে তারাগঞ্জ উপজেলাসহ আশপাশের উপজেলার গ্রামগুলো কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে। তাপমাত্রা নেমে আসার পাশাপাশি প্রচণ্ড হিমলে হাওয়ায় অচল হয়ে পড়ছে এলাকার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাত্রা। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া যুক্ত হয়ে জনজীবন নাকাল করে তুলছে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও গন কুয়াশার কারণে খেটে খাওয়া মানুষজন বিশেষ করে ভ্যান-রিকশা শ্রমিক ও কৃষক-কৃষাণিদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কনকনে ঠাণ্ডায় বৃদ্ধ ও শিশুদের মাঝে ডায়রিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কনকনে ঠাণ্ডায় গত কয়েকদিন থেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে এলাকার কয়েকজন শিশু ও বৃদ্ধ মাড়াও গেছে। এছাড়াও শীতকালীন শাকসবজিসহ আবাদি ফসল সরিষা, গম, আলু, বেগুন, মরিচ ও বোরো ধানের বীজ ঘন কুয়াশার শীতে রোগে আক্রমানের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে কয়েকজন কৃষকের রোপণ করা বীজ নষ্ট হাওয়ায় আবারও নতুন করে প্রস্তুতি নিচ্ছে। নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা থেকে রংপুর তারাগঞ্জ উপজেলার মাঝ পথ হয়ে তিনটি নদী বদরগঞ্জ উপজেলার দিকে প্রবাহিত হয়েছে।
এ উপজেলার নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, শীত ও কনকনে ঠাণ্ডার পাশাপাশি সরকারের দেয়া বরদ্দের কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ অফিসের কর্মকর্তা আব্দুল মমিন সংবাকে বলেন, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে গরিব দুস্থ ও অসহায় মানুষের সংখ্যা অনুপাতে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১ , ১২ মাঘ ১৪২৭, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪২
প্রতিনিধি, তারাগঞ্জ (রংপুর)
গত কয়েক দিন থেকে রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার সর্বত্রই শৈত্যপ্রবাহে প্রচণ্ড শীতে কাঁপছে তারাগঞ্জসহ আশপাশের উপজেলাগুলোর মানুষ। এছাড়াও গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলেও তা ৪-৬ দিন স্থায়ী হয়। এরপর স্বাভাবিক শীত লক্ষ্য করা গেলেও গত কয়েকদিন ধরে আবারাও শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এতে তারাগঞ্জ উপজেলাসহ আশপাশের উপজেলার গ্রামগুলো কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে। তাপমাত্রা নেমে আসার পাশাপাশি প্রচণ্ড হিমলে হাওয়ায় অচল হয়ে পড়ছে এলাকার সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাত্রা। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া যুক্ত হয়ে জনজীবন নাকাল করে তুলছে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও গন কুয়াশার কারণে খেটে খাওয়া মানুষজন বিশেষ করে ভ্যান-রিকশা শ্রমিক ও কৃষক-কৃষাণিদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কনকনে ঠাণ্ডায় বৃদ্ধ ও শিশুদের মাঝে ডায়রিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কনকনে ঠাণ্ডায় গত কয়েকদিন থেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে এলাকার কয়েকজন শিশু ও বৃদ্ধ মাড়াও গেছে। এছাড়াও শীতকালীন শাকসবজিসহ আবাদি ফসল সরিষা, গম, আলু, বেগুন, মরিচ ও বোরো ধানের বীজ ঘন কুয়াশার শীতে রোগে আক্রমানের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে কয়েকজন কৃষকের রোপণ করা বীজ নষ্ট হাওয়ায় আবারও নতুন করে প্রস্তুতি নিচ্ছে। নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা থেকে রংপুর তারাগঞ্জ উপজেলার মাঝ পথ হয়ে তিনটি নদী বদরগঞ্জ উপজেলার দিকে প্রবাহিত হয়েছে।
এ উপজেলার নির্বাহী অফিসার আমিনুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, শীত ও কনকনে ঠাণ্ডার পাশাপাশি সরকারের দেয়া বরদ্দের কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে। উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ অফিসের কর্মকর্তা আব্দুল মমিন সংবাকে বলেন, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে গরিব দুস্থ ও অসহায় মানুষের সংখ্যা অনুপাতে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।