নৌকার প্রার্থী প্রত্যাখ্যান আ’লীগ ও ১৪ দল নেতাদের

স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন

পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্র্থীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতারা। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও হত্যা মামলার আসামিদের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার নামে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শনেরও অভিযোগ করা হয়।

গতকাল দুপুরে শহরের বাণী হল মোড়ের নাগরিক মঞ্চ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ উদ্দিন প্রধান তার ২২ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণাকালে তারা এই দাবি করেন।

পাবনা নাগরিক মঞ্চের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ইদ্রিস আলী বিশ^াসের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল হামিদ মাস্টার, দপ্তর সম্পাদক আবদুল আহাদ বাবু, প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেন, সাবেক জেলা যুবলীগ সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ উদ্দিন প্রধান, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি সুলতান আহমেদ বুরো, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি তসলিম হাসান সুমন, জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি নাসির চৌধুরী, সেক্টরস কমান্ডার ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ’৭১-এর সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম পাকন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ উদ্দিন প্রধান শহরে যানজট ও জলাবদ্ধতা নিরসন, চাঁদাবাজি বন্ধে মহল্লাগুলোতে পঞ্চায়েত গঠন, অত্যাধুনিক শিশুপার্ক স্থাপন, পৌরকর বৃদ্ধি না করাসহ ২২ দফা নির্বাচনী ইশতেহার পড়ে শোনান।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, পাবনা-৫ আসনের দলীয় সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সের লাগাতার আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি, হুমকির একাধিক অভিযোগ রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর দাখিল করলেও এখন পর্যন্ত তারা কোনপ্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই।

দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করে কেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল আহাদ বাবু বলেন, আমরা নৌকা প্রতীকের বিরোধী নই। ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে স্বাধীনতাবিরোধী পরিবার থেকে আসা নব্য আওয়ামী লীগের জনৈক ব্যক্তিকে নৌকা প্রতীক দেয়া হয়েছে। একটি বিশেষ মহলের তদবিরে এই প্রার্থী দেয়া হয় বলেও দাবি তাদের।

তিনি আরও জানান, জেলা আওয়ামী লীগ ৭১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির ৬৫ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩৫ জনের ২৯ জন, সদর উপজেলা ও পৌর কমিটির সভাপতি সম্পাদকসহ প্রায় সব নেতা ক্ষুব্ধ হয়ে একযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে মাঠে নেমেছি। আমরা দলের তৃণমূল রক্ষার তাগিদেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। তারা পুনরায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানান এবং সঠিক চিত্র তুলে ধরার জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতার অনুরোধ জানান।

আরও খবর
ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস প্যারেডে বাংলাদেশ
ভ্যাকসিন নিয়ে বিএনপিকে বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান কাদেরের
বিএনপি টিকা নিয়ে অহেতুক প্রশ্ন তুলছে
দক্ষিণ এশিয়ায় কেবল বাংলাদেশের জিডিপি বাড়ছে জাতিসংঘ
যুক্তরাজ্য ফেরত ২৯ প্রবাসীর করোনা শনাক্ত
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আমরা ভয়ঙ্কর অসুবিধায় আছি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতে ট্যুরিস্ট ভিসা চালু শীঘ্রই দোরাইস্বামী
বিচারের দীর্ঘ সূত্রতায় হতাশা
বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কতা
গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে চার্জশিট
শাবি ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
রোহিঙ্গা শিবিরে দু’পক্ষের গুলি বিনিময়, নিহত ১
শাহবাগে মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিল
শাকিলের ফাঁদে প্রাণ হারান ব্যবসায়ী হামিদুল

বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১ , ১৩ মাঘ ১৪২৭, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২

পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে

নৌকার প্রার্থী প্রত্যাখ্যান আ’লীগ ও ১৪ দল নেতাদের

স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, পাবনা

পাবনা পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্র্থীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতারা। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও হত্যা মামলার আসামিদের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার নামে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শনেরও অভিযোগ করা হয়।

গতকাল দুপুরে শহরের বাণী হল মোড়ের নাগরিক মঞ্চ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ উদ্দিন প্রধান তার ২২ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণাকালে তারা এই দাবি করেন।

পাবনা নাগরিক মঞ্চের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ইদ্রিস আলী বিশ^াসের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল হামিদ মাস্টার, দপ্তর সম্পাদক আবদুল আহাদ বাবু, প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেন, সাবেক জেলা যুবলীগ সভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ উদ্দিন প্রধান, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি সুলতান আহমেদ বুরো, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি তসলিম হাসান সুমন, জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি নাসির চৌধুরী, সেক্টরস কমান্ডার ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ’৭১-এর সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম পাকন প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ উদ্দিন প্রধান শহরে যানজট ও জলাবদ্ধতা নিরসন, চাঁদাবাজি বন্ধে মহল্লাগুলোতে পঞ্চায়েত গঠন, অত্যাধুনিক শিশুপার্ক স্থাপন, পৌরকর বৃদ্ধি না করাসহ ২২ দফা নির্বাচনী ইশতেহার পড়ে শোনান।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, পাবনা-৫ আসনের দলীয় সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সের লাগাতার আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি, হুমকির একাধিক অভিযোগ রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর দাখিল করলেও এখন পর্যন্ত তারা কোনপ্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই।

দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা করে কেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল আহাদ বাবু বলেন, আমরা নৌকা প্রতীকের বিরোধী নই। ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে স্বাধীনতাবিরোধী পরিবার থেকে আসা নব্য আওয়ামী লীগের জনৈক ব্যক্তিকে নৌকা প্রতীক দেয়া হয়েছে। একটি বিশেষ মহলের তদবিরে এই প্রার্থী দেয়া হয় বলেও দাবি তাদের।

তিনি আরও জানান, জেলা আওয়ামী লীগ ৭১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির ৬৫ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩৫ জনের ২৯ জন, সদর উপজেলা ও পৌর কমিটির সভাপতি সম্পাদকসহ প্রায় সব নেতা ক্ষুব্ধ হয়ে একযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে মাঠে নেমেছি। আমরা দলের তৃণমূল রক্ষার তাগিদেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। তারা পুনরায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানান এবং সঠিক চিত্র তুলে ধরার জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতার অনুরোধ জানান।