২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে আলোচিত ছাত্রলীগ কর্মী সুমন চন্দ্র দাস হত্যা মামলায় শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রুহুল আমিনসহ ২৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হয়েছে।
গতকাল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সিলেট জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শামীম উর রশীদ পীর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সুমন চন্দ্র দাসের মায়ের দায়ের করা মামলায় ২৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি (বহিষ্কৃত) সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ, সিনিয়র সহ-সভাপতি (বহিষ্কৃত) আবু সাঈদ আকন্দ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক (বহিষ্কৃত) সাজিদুল ইসলাম সবুজ, সহ-সভাপতি সৈয়দ জুয়েম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিয়াজী, সহ-সম্পাদক মোশাররফ হোসেন রাজু (বহিষ্কৃত), সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী সজল চন্দ্র ভৌমিক, লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল কুদ্দুছ নোমান, সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম বুলবুল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ, সহ-সভাপতি নূরে আলম, আইন সম্পাদক জহির হোসাইন, সহ-সভাপতি এসকে হাসিবুর রহমান, ছাত্রলীগ কর্মী জুনায়েদ আহমদ, হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হোসেন নাঈম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম (বহিষ্কৃত), ছাত্রলীগ কর্মী জেসমুল হাসান, ক্রীড়া সম্পাদক জাকির খান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আশিকুজ্জামান রূপক, ছাত্রলীগ কর্মী নয়ন চৌধুরী, সহ-সম্পাদক সুকান্ত ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌকির আহমেদ তালুকদার, সিলেট মহানগর শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিক, ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ারুল হক আলম, রানা আহমদ শিপলু ও এমদাদুল হক খোকন। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ ও সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজের অনুসারীদের সঙ্গে সহ-সভাপতি অঞ্জন রায় ও ছাত্রলীগ নেতা উত্তম কুমার দাসের অনুসারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ও বহিরগত ছাত্রলীগ কর্মী সুমন চন্দ্র দাস গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরদিন নিহত সুমনের মা প্রতিভা দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১২০ জনের বিরুদ্ধে নগরীর জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বুধবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২১ , ১৩ মাঘ ১৪২৭, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২
প্রতিনিধি, শাবি
২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে আলোচিত ছাত্রলীগ কর্মী সুমন চন্দ্র দাস হত্যা মামলায় শাখা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রুহুল আমিনসহ ২৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হয়েছে।
গতকাল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সিলেট জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শামীম উর রশীদ পীর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সুমন চন্দ্র দাসের মায়ের দায়ের করা মামলায় ২৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি (বহিষ্কৃত) সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ, সিনিয়র সহ-সভাপতি (বহিষ্কৃত) আবু সাঈদ আকন্দ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক (বহিষ্কৃত) সাজিদুল ইসলাম সবুজ, সহ-সভাপতি সৈয়দ জুয়েম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিয়াজী, সহ-সম্পাদক মোশাররফ হোসেন রাজু (বহিষ্কৃত), সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী সজল চন্দ্র ভৌমিক, লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল কুদ্দুছ নোমান, সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম বুলবুল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ, সহ-সভাপতি নূরে আলম, আইন সম্পাদক জহির হোসাইন, সহ-সভাপতি এসকে হাসিবুর রহমান, ছাত্রলীগ কর্মী জুনায়েদ আহমদ, হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হোসেন নাঈম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম (বহিষ্কৃত), ছাত্রলীগ কর্মী জেসমুল হাসান, ক্রীড়া সম্পাদক জাকির খান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আশিকুজ্জামান রূপক, ছাত্রলীগ কর্মী নয়ন চৌধুরী, সহ-সম্পাদক সুকান্ত ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌকির আহমেদ তালুকদার, সিলেট মহানগর শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সজল দাস অনিক, ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ারুল হক আলম, রানা আহমদ শিপলু ও এমদাদুল হক খোকন। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ ও সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজের অনুসারীদের সঙ্গে সহ-সভাপতি অঞ্জন রায় ও ছাত্রলীগ নেতা উত্তম কুমার দাসের অনুসারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী ও বহিরগত ছাত্রলীগ কর্মী সুমন চন্দ্র দাস গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরদিন নিহত সুমনের মা প্রতিভা দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১২০ জনের বিরুদ্ধে নগরীর জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।