চসিক নির্বাচনে সহিংসতায় আসকের উদ্বেগ

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলা, গোলাগুলি ও একজনের প্রাণহানির মতো দুঃখজনক ঘটনায় আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক) গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক)। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা এ উদ্বেগ প্রকাশ করে।

আসকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমসূত্রে জানা যায়, ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র থেকে বিরোধী দলের এজেন্টদের বের করে দেয়া বা ঢুকতে বাধা দেয়া, কেন্দ্রের প্রবেশ পথসহ আশপাশের এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখা, গোপন বুথে অবাঞ্চিত ব্যক্তির উপস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষপাতমূলক আচরণ, এ ধরনের গুরুতর অভিযোগ পাওয়ার পরও নির্বাচন কমিশনের কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে সরকার সমর্থকদের পেশি শক্তির প্রদর্শনী পুরো নির্বাচন পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করেছে এবং সহিংসতার পরে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতিও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায় বলে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়।

সাম্প্রতিক কয়েকটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও নানা সহিংসতা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় দৈনিক পত্রিকা থেকে আসক কর্তৃক সংগ্রহীত তথ্য অনুযায়ী, কেবল জানুয়ারি মাসে পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আহত হয়েছে ২০৯ জন ও নিহত হয়েছেন ৫জন। ডিসেম্বর মাসে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় আহত হয়েছেন ১৭৬ জন এবং নিহত হয়েছেন ২ জন। পাশাপাশি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আহত হয়েছেন ১৬২ জন এবং নিহত হয়েছেন ৩ জন। অত্যন্ত দুঃখজনক হচ্ছে, কোন ক্ষেত্রেই আমরা নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের পূর্বে কিংবা নির্বাচনের সময় ভোট প্রদানের অনুকূল পরিবেশ তৈরি কিংবা সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখছি না। বরং তাদের নানা মন্তব্য জাতীয় এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আস্থাহীনতার সংকটকে সামনে নিয়ে আসছে বলে আমরা মনে করছি। আসক জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য একটি সুষ্ঠু ও উপযোগী নির্বাচন পরিবেশ তৈরি করার জন্য নির্বাচন কমিশন এবং এক্ষেত্রে কমিশনকে যথাযথ সহযোগিতা প্রদানের জন্য সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছে।

চসিক নির্বাচনে সহিংসতায় আসকের উদ্বেগ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলা, গোলাগুলি ও একজনের প্রাণহানির মতো দুঃখজনক ঘটনায় আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক) গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক)। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা এ উদ্বেগ প্রকাশ করে।

আসকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমসূত্রে জানা যায়, ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র থেকে বিরোধী দলের এজেন্টদের বের করে দেয়া বা ঢুকতে বাধা দেয়া, কেন্দ্রের প্রবেশ পথসহ আশপাশের এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখা, গোপন বুথে অবাঞ্চিত ব্যক্তির উপস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষপাতমূলক আচরণ, এ ধরনের গুরুতর অভিযোগ পাওয়ার পরও নির্বাচন কমিশনের কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে সরকার সমর্থকদের পেশি শক্তির প্রদর্শনী পুরো নির্বাচন পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করেছে এবং সহিংসতার পরে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতিও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায় বলে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়।

সাম্প্রতিক কয়েকটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও নানা সহিংসতা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় দৈনিক পত্রিকা থেকে আসক কর্তৃক সংগ্রহীত তথ্য অনুযায়ী, কেবল জানুয়ারি মাসে পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আহত হয়েছে ২০৯ জন ও নিহত হয়েছেন ৫জন। ডিসেম্বর মাসে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় আহত হয়েছেন ১৭৬ জন এবং নিহত হয়েছেন ২ জন। পাশাপাশি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আহত হয়েছেন ১৬২ জন এবং নিহত হয়েছেন ৩ জন। অত্যন্ত দুঃখজনক হচ্ছে, কোন ক্ষেত্রেই আমরা নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের পূর্বে কিংবা নির্বাচনের সময় ভোট প্রদানের অনুকূল পরিবেশ তৈরি কিংবা সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখছি না। বরং তাদের নানা মন্তব্য জাতীয় এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আস্থাহীনতার সংকটকে সামনে নিয়ে আসছে বলে আমরা মনে করছি। আসক জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য একটি সুষ্ঠু ও উপযোগী নির্বাচন পরিবেশ তৈরি করার জন্য নির্বাচন কমিশন এবং এক্ষেত্রে কমিশনকে যথাযথ সহযোগিতা প্রদানের জন্য সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছে।

শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১ , ১৫ মাঘ ১৪২৭, ১৫ জমাদিউস সানি ১৪৪২

চসিক নির্বাচনে সহিংসতায় আসকের উদ্বেগ

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলা, গোলাগুলি ও একজনের প্রাণহানির মতো দুঃখজনক ঘটনায় আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক) গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক)। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা এ উদ্বেগ প্রকাশ করে।

আসকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমসূত্রে জানা যায়, ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র থেকে বিরোধী দলের এজেন্টদের বের করে দেয়া বা ঢুকতে বাধা দেয়া, কেন্দ্রের প্রবেশ পথসহ আশপাশের এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখা, গোপন বুথে অবাঞ্চিত ব্যক্তির উপস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষপাতমূলক আচরণ, এ ধরনের গুরুতর অভিযোগ পাওয়ার পরও নির্বাচন কমিশনের কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে সরকার সমর্থকদের পেশি শক্তির প্রদর্শনী পুরো নির্বাচন পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করেছে এবং সহিংসতার পরে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতিও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায় বলে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়।

সাম্প্রতিক কয়েকটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও নানা সহিংসতা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় দৈনিক পত্রিকা থেকে আসক কর্তৃক সংগ্রহীত তথ্য অনুযায়ী, কেবল জানুয়ারি মাসে পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আহত হয়েছে ২০৯ জন ও নিহত হয়েছেন ৫জন। ডিসেম্বর মাসে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় আহত হয়েছেন ১৭৬ জন এবং নিহত হয়েছেন ২ জন। পাশাপাশি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আহত হয়েছেন ১৬২ জন এবং নিহত হয়েছেন ৩ জন। অত্যন্ত দুঃখজনক হচ্ছে, কোন ক্ষেত্রেই আমরা নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের পূর্বে কিংবা নির্বাচনের সময় ভোট প্রদানের অনুকূল পরিবেশ তৈরি কিংবা সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখছি না। বরং তাদের নানা মন্তব্য জাতীয় এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আস্থাহীনতার সংকটকে সামনে নিয়ে আসছে বলে আমরা মনে করছি। আসক জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য একটি সুষ্ঠু ও উপযোগী নির্বাচন পরিবেশ তৈরি করার জন্য নির্বাচন কমিশন এবং এক্ষেত্রে কমিশনকে যথাযথ সহযোগিতা প্রদানের জন্য সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছে।

চসিক নির্বাচনে সহিংসতায় আসকের উদ্বেগ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলা, গোলাগুলি ও একজনের প্রাণহানির মতো দুঃখজনক ঘটনায় আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক) গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বেসরকারি মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক)। গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা এ উদ্বেগ প্রকাশ করে।

আসকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমসূত্রে জানা যায়, ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র থেকে বিরোধী দলের এজেন্টদের বের করে দেয়া বা ঢুকতে বাধা দেয়া, কেন্দ্রের প্রবেশ পথসহ আশপাশের এলাকায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রাখা, গোপন বুথে অবাঞ্চিত ব্যক্তির উপস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষপাতমূলক আচরণ, এ ধরনের গুরুতর অভিযোগ পাওয়ার পরও নির্বাচন কমিশনের কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে সরকার সমর্থকদের পেশি শক্তির প্রদর্শনী পুরো নির্বাচন পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করেছে এবং সহিংসতার পরে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতিও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায় বলে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়।

সাম্প্রতিক কয়েকটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও নানা সহিংসতা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জাতীয় দৈনিক পত্রিকা থেকে আসক কর্তৃক সংগ্রহীত তথ্য অনুযায়ী, কেবল জানুয়ারি মাসে পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আহত হয়েছে ২০৯ জন ও নিহত হয়েছেন ৫জন। ডিসেম্বর মাসে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় আহত হয়েছেন ১৭৬ জন এবং নিহত হয়েছেন ২ জন। পাশাপাশি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আহত হয়েছেন ১৬২ জন এবং নিহত হয়েছেন ৩ জন। অত্যন্ত দুঃখজনক হচ্ছে, কোন ক্ষেত্রেই আমরা নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের পূর্বে কিংবা নির্বাচনের সময় ভোট প্রদানের অনুকূল পরিবেশ তৈরি কিংবা সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখছি না। বরং তাদের নানা মন্তব্য জাতীয় এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আস্থাহীনতার সংকটকে সামনে নিয়ে আসছে বলে আমরা মনে করছি। আসক জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য একটি সুষ্ঠু ও উপযোগী নির্বাচন পরিবেশ তৈরি করার জন্য নির্বাচন কমিশন এবং এক্ষেত্রে কমিশনকে যথাযথ সহযোগিতা প্রদানের জন্য সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছে।