আরও ২ দিন থাকবে শৈত্যপ্রবাহ

উত্তরাঞ্চলে তীব্র শীতসহ সারাদেশে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ আরও দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর ফলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শীতের অনুভূতি একটু বেশিই থাকবে। এরপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে কুড়িগ্রাম ও রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলে বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এর সঙ্গে ঘনকুয়াশায় যানবাহন ও মানুষের চলাচলের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গতকাল চলতি শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল। কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাটে গতকাল তাপমাত্রা নেমেছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন। এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর এই রাজারহাটেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি। রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রাজারহাটে হলেও অন্যান্য এলাকার তাপমাত্রাও নিম্নমুখী। রাজশাহীতে গতকাল তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঈশ্বরদী ৬ দশমিক ২, সৈয়দপুর ও বদলগাছিতে ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা ওইসব এলাকায় চলতি বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গতকাল দেশের ২২ জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে। আর ১০ ডিগ্রিতে আছে ৪ জেলা, ১১ ডিগ্রির মধ্যে আছে ৬ জেলা। হঠাৎ তাপমাত্রা নেমে যাওয়ায় কুড়িগ্রাম ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগসহ টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলা অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি আরও দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, ‘এই তাপমাত্রা এবারের শীতে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা। এর আগে ডিসেম্বর মাসে এর কাছাকাছি তাপমাত্রা ছিল। এ অবস্থা আগামী দুই দিন থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। তবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শীতের অনুভূতি একটু বেশিই থাকবে। এরপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়বে।’

বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় গতকাল তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ময়মনসিংহে ৯ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ১, সিলেটে ১৩ দশমিক ৫, রংপুরে ৭ দশমিক ২, খুলনায় ১০ এবং বরিশালে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। অন্যদিকে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, ‘বছরের শেষ শীত পড়েছে এবার। জাকিয়ে বসেছে শীত। এক সপ্তাহ এই তাপমাত্রা থাকবে। আগামী দুই দিন কোন কোন এলাকায় আরও দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে। এতে শৈত্যপ্রবাহের এলাকা আরও কিছুটা বিস্তার ঘটবে। তবে সপ্তাহ শেষে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে।’

সোমবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১৮ মাঘ ১৪২৭, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪২

আবহাওয়া

আরও ২ দিন থাকবে শৈত্যপ্রবাহ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

উত্তরাঞ্চলে তীব্র শীতসহ সারাদেশে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ আরও দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর ফলে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শীতের অনুভূতি একটু বেশিই থাকবে। এরপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে কুড়িগ্রাম ও রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলে বাতাসের কারণে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এর সঙ্গে ঘনকুয়াশায় যানবাহন ও মানুষের চলাচলের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গতকাল চলতি শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল। কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাটে গতকাল তাপমাত্রা নেমেছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন। এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর এই রাজারহাটেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি। রোববার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রাজারহাটে হলেও অন্যান্য এলাকার তাপমাত্রাও নিম্নমুখী। রাজশাহীতে গতকাল তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঈশ্বরদী ৬ দশমিক ২, সৈয়দপুর ও বদলগাছিতে ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা ওইসব এলাকায় চলতি বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গতকাল দেশের ২২ জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে। আর ১০ ডিগ্রিতে আছে ৪ জেলা, ১১ ডিগ্রির মধ্যে আছে ৬ জেলা। হঠাৎ তাপমাত্রা নেমে যাওয়ায় কুড়িগ্রাম ও রাজশাহী জেলার ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগসহ টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলা অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি আরও দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, ‘এই তাপমাত্রা এবারের শীতে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা। এর আগে ডিসেম্বর মাসে এর কাছাকাছি তাপমাত্রা ছিল। এ অবস্থা আগামী দুই দিন থাকতে পারে। এরপর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। তবে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শীতের অনুভূতি একটু বেশিই থাকবে। এরপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়বে।’

বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে ঢাকায় গতকাল তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ময়মনসিংহে ৯ দশমিক ৫, চট্টগ্রামে ১৫ দশমিক ১, সিলেটে ১৩ দশমিক ৫, রংপুরে ৭ দশমিক ২, খুলনায় ১০ এবং বরিশালে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। অন্যদিকে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, ‘বছরের শেষ শীত পড়েছে এবার। জাকিয়ে বসেছে শীত। এক সপ্তাহ এই তাপমাত্রা থাকবে। আগামী দুই দিন কোন কোন এলাকায় আরও দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমতে পারে। এতে শৈত্যপ্রবাহের এলাকা আরও কিছুটা বিস্তার ঘটবে। তবে সপ্তাহ শেষে কিছুটা স্বস্তি মিলতে পারে।’