চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালীন গুলি ছোড়া সেই যুবককে খুঁজছে পুলিশ। নির্বাচনের দিন ৩৪নং পাথরঘাটা ওয়ার্ডের ছোবহানীয়া মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রের বাইরে সরু গলিতে এসে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে গুলি ছোঁড়া সেই যুবককে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে এরইমধ্যে তাকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তার নাম সাইফুদ্দীন সাইফ। তিনি মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তবে ঘটনার পর থেকে গা-ঢাকা দিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ২৭ জানুয়ারি ভোট চলাকালীন ছোবহানীয়া মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে গুলিবর্ষণ ও ধাওয়া ঘটনার পর পাথরঘাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলাকালে কেন্দ্রে ঢুকে ইভিএম ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ সেখান থেকে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ইসমাইল বালিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ইভিএম ভাঙচুরের ঘটনায় সেখানকার দুই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। রাতে পাথরঘাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার মো. শাহজাহান বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় ইসমাইল বালিসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। ওই মামলায় ইসমাইল বালিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে রিমান্ড আবেদন দাখিল করে পুলিশ। আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গুলিবর্ষণকারী সাইফুদ্দিন সাইফ সিটি কলেজে লেখাপড়া করেন। সিটি কলেজকেন্দ্রিক ছাত্রলীগের মিছিল-সমাবেশে তাকে দেখা যায়। কলেজের বাইরে পাথরঘাটার আশরাফ আলী রোড ও চাক্তাইয়ের নতুন মাছ বাজার এলাকায় তাকে সহযোগীদের নিয়ে আড্ডা দিতে দেখা যায়। ঘটনার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।
ঘটনার দিন প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন দুপুর ১২টার দিকে ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী পুলক খাস্তগীর ও বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ইসমাইল বালির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সংঘাতের এক পর্যায়ে সরু একটা গলি থেকে এক যুবক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে বের হয়ে এসে গুলি ছুড়ে ফের দৌড়ে পালিয়ে যান। এ সময় তার পরনে ছিল কালো প্যান্ট, হলুদ ও কালো রংয়ের জ্যাকেট। ওই যুবক গুলি ছুড়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ইসমাইল বালির নেতৃত্বে তার কর্মী-সমর্থকরা ধারাল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার পেছনে ধাওয়া দেয়।
এ বিষয়ে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার ফারুখ-উল-হক বলেন, যারা ভোটের দিন প্রকাশ্যে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার ও প্রদর্শন করেছে, তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আইনের আওতায় আনার তৎপরতা চলছে। পাথরঘাটার ছোবহানীয়া মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রের বাইরের ভোটের দিনের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখানে গুলিবর্ষণকারী ওই যুবককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
মঙ্গলবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ১৯ মাঘ ১৪২৭, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪২
চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালীন গুলি ছোড়া সেই যুবককে খুঁজছে পুলিশ। নির্বাচনের দিন ৩৪নং পাথরঘাটা ওয়ার্ডের ছোবহানীয়া মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রের বাইরে সরু গলিতে এসে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে গুলি ছোঁড়া সেই যুবককে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে এরইমধ্যে তাকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তার নাম সাইফুদ্দীন সাইফ। তিনি মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। তবে ঘটনার পর থেকে গা-ঢাকা দিয়েছেন।
জানা গেছে, গত ২৭ জানুয়ারি ভোট চলাকালীন ছোবহানীয়া মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে গুলিবর্ষণ ও ধাওয়া ঘটনার পর পাথরঘাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলাকালে কেন্দ্রে ঢুকে ইভিএম ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ সেখান থেকে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ইসমাইল বালিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ইভিএম ভাঙচুরের ঘটনায় সেখানকার দুই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। রাতে পাথরঘাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার মো. শাহজাহান বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় ইসমাইল বালিসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। ওই মামলায় ইসমাইল বালিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে রিমান্ড আবেদন দাখিল করে পুলিশ। আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গুলিবর্ষণকারী সাইফুদ্দিন সাইফ সিটি কলেজে লেখাপড়া করেন। সিটি কলেজকেন্দ্রিক ছাত্রলীগের মিছিল-সমাবেশে তাকে দেখা যায়। কলেজের বাইরে পাথরঘাটার আশরাফ আলী রোড ও চাক্তাইয়ের নতুন মাছ বাজার এলাকায় তাকে সহযোগীদের নিয়ে আড্ডা দিতে দেখা যায়। ঘটনার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।
ঘটনার দিন প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন দুপুর ১২টার দিকে ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী পুলক খাস্তগীর ও বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ইসমাইল বালির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সংঘাতের এক পর্যায়ে সরু একটা গলি থেকে এক যুবক আগ্নেয়াস্ত্র হাতে বের হয়ে এসে গুলি ছুড়ে ফের দৌড়ে পালিয়ে যান। এ সময় তার পরনে ছিল কালো প্যান্ট, হলুদ ও কালো রংয়ের জ্যাকেট। ওই যুবক গুলি ছুড়ে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ইসমাইল বালির নেতৃত্বে তার কর্মী-সমর্থকরা ধারাল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার পেছনে ধাওয়া দেয়।
এ বিষয়ে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার ফারুখ-উল-হক বলেন, যারা ভোটের দিন প্রকাশ্যে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার ও প্রদর্শন করেছে, তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আইনের আওতায় আনার তৎপরতা চলছে। পাথরঘাটার ছোবহানীয়া মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রের বাইরের ভোটের দিনের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখানে গুলিবর্ষণকারী ওই যুবককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।