নকল মদের কারখানার সন্ধান

চিনি, রং, স্প্রিরিট দিয়ে তৈরি হয় নকল বিদেশি মদ মালিক ও কারিগরসহ গ্রেপ্তার ৬

রং, আগুনে জাল দিয়ে তৈরি চিনির রস আর স্প্রিরিট মিশিয়ে তৈরি করা হতো নকল মদ। আর এ মদ ব্র্যান্ড্রের বোতলজাত করলে হয়ে যেতো বিদেশি। ব্র্যান্ড্রের মনে করে এসব বোতল অর্ডার করলেই পৌঁছে দেয়া হতো মোটরসাইকেলে করে। ঘরে বসে অর্ডার করলে মিলছে বিদেশি মদ। মদের দুষ্পাপ্যতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিদেশি বলে হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের কাছেও পৌঁছে দিয়েছে এ মদ। পুরান ঢাকা থেকে উপকরণ সংগ্রহ করে এ মদ তৈরি হতো ভাটারা এলাকার একটি কারখানায়। ভ্যাট ৬৯, রাশিয়ান ভটকা, পাসপোর্টসহ এমন কোন বিদেশি মদ নেই যা ওই কারখানায় তৈরি হতো না। এসব ব্র্যান্ডের বোতলে তৈরি মদ চলে যেতো বিভিন্ন ফ্ল্যাটবাড়ি, ওয়ারহাউজ, অনুমোদিত বার, অফিসে। গত কয়েকমাস ধরে এসব নকল মদপানে কমপক্ষে ৬ জনের প্রাণহানির তথ্য পুলিশের হাতে রয়েছে। ওই কারখানা থেকে তৈরি মদ সরবরাহ হয়েছে কয়েকশ’ হাইপ্রোফাইল ব্যক্তির কাছেও। নকল মদ তৈরির কারখায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা আলামত, গ্রেপ্তার হওয়া ৬ জনের কাছ থেকে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। গতকাল তাদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড হেফাজতে নেয়ার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।

গত সোমবার রাতে রাজধানীর ভাটারায় অভিযান চালিয়ে নামি-দামি ব্র্যান্ডের মদ নকল করে তৈরির এ কারখানার সন্ধান পায় ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের গুলশান টিম। উপকমিশনার মশিউর রহমানের নেতৃত্বে ভাটারা থানার খিলবাড়ীরটেক এলকায় একটি বাড়িতে এ কারখানায় নকল মদ তৈরির সন্ধান পায় ডিবির গোয়েন্দা বিভাগ। উপপুলিশ কমিশনার মশিউর রহমানের নেতৃত্বে ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল মদ ও মদ তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। নকল মদ তৈরি ও সরবরাহের অভিযোগ কারখানার মালিক ও মদ তৈরির কারিগরসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মনতোষ চন্দ্র অধিকারী ওরফে আকাশ (৩৫), রেদুয়ান উল্লাহ (৩৫), সাগর বেপারী (২৭), নাসির আহমেদ ওরফে রুহুল (৪৮), মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) ও সৈয়দ আল আমিন (৩০)। অভিযানে উদ্ধার করা একটি ডায়েরিতে সম্প্রতি মদপান করার পর মারা যাওয়া এবং অসুস্থ হওয়া কয়েকজন ব্যক্তির নাম মিলেছে। গোয়েন্দারা মনে করছেন, সম্প্রতি মদপানের পর বিষক্রিয়ায় যারা মারা গেছেন তারা প্রত্যেকে এ নকল কারখানা থেকে সরবরাহ করা মদপানের কারণে মারা গেছেন।

ডিবির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান তার কার্যালয়ে জানান, সম্প্রতি মদপান করে বারিধারা ডিএইচএসও এলাকার নদী এন্টারপ্রাইজের মালিক আবদুল্লাহ আল মামুন নামের একজনের মৃত্যু হয়। একই ঘটনায় গুরুতত অসুস্থ হন ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী কাজী সেহজাদ টনি। এছাড়া গাজীপুরের একটি রিসোটে, ভাটারায় একটি ফ্ল্যাটে এবং সর্বশেষ গত ২৯ জানুয়ারি উত্তরার বাম্বু রেস্টুরেন্টে পদপানের পর অসুস্থ হয়ে কয়েকজনের মৃত্যু হয়। মদপানের পর মৃত্যুর ঘটনায় গোয়েন্দাদের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয় এসব মদ কোথা থেকে এসেছে, কারা সরবরাহ করেছে। এর সূত্র ধরে গোয়েন্দা মদ সরবরাহকারী হিসেবে আকাশ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া তথ্যে রেদওয়ান নামে আরেক ডেলিভারিম্যানকে (মদের হোম ডেলিবারি করত) গ্রেপ্তার করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা তথ্য দেয় এসব মদ ভাটারার খিলবাড়িরটেক মুক্তি পল্লী ইউনিউন পরিষদ মোড়ে একটি কারখানা থেকে তৈরি করা হয়েছে। ওইসব মদ রাজধানীর বিভিন্ন অভিযান রেস্টুরেন্ট, মদের বার এমনকি বাসা-বাড়িতেও সরবরাহ করা হতো। সম্প্রতি যারা পদপানের পর অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই ওই কারখানা থেকে সরবরাহ করা মদপান করেই অসুস্থ হন এবং মারা যান। ডিসি মশিউর জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আকাশ ও রেদওয়ান জানান, কারখানাটির মূল মালিক মো. নাছির উদ্দিন। তার তত্ত্বাবধায়নে জাহাঙ্গির আলম নামের এক ব্যক্তি মদ তৈরি করেন। নামি-দামি ব্র্যান্ডের মদের বোতলে এসব মদ ভরাট করে তা বিদেশি বলে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে সরবরাহ করা হতো। হোম ডেলিবাড়িরও সিস্টেম আছে। কারখানায় আল আমিন নামে সহকারী কারিগর আছেন যিনি মূল কারিগর জাহাঙ্গির আলমের সহযোগী হয়ে কাজ করেন। তাদের কাজ হলো বিভিন্ন ব্যক্তির অর্ডার পৌঁছে দেয়া।

নকল কারখানার মদপানে ৬ জনের মৃত্যুর প্রমাণ গোয়েন্দাদের হাতে

গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, সম্প্রতি নকল মদপানে অসুস্থ হয়ে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে গত ৩ দিনেই মারা গেছে ১০ জন। মোহাম্মদপুরে দু’জন, ডিওএইচএস এলাকায় ১ জন, ভাটারায় ৩ জনের মদপানে মৃত্যুর পর পুলিশ তদন্ত করে জানতে পেরেছে তারা প্রত্যেকেই এই চক্রের সরবরাহ করা নকল মদ পান করে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া গাজীপুরে একটি রিসোর্টে মদপানে অসুস্থ হওয়ার পর ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে সেই ৩ জনও এই চক্রের সরবরাহ করা নকল মদপানের পর অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছিল। কারখানা থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে। সেকানে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের নাম ও ঠিকানা এবং মদ সরবরাদেন সময়, টাকা লেখা ছিল। এছাড়া আরও অনেক হাইপ্রোফাইল ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে ওই ডায়েরিতে। যারা এ চক্রের কাছ থেকে বিদেশি মনে করে নকল মদ ক্রয় করত। গত ১৮ জানুয়ারি ভাটারার একটি বাসায় অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়া স্বর্ণালী বাগচী, তার কথিত স্বামী শরীফুল ইসলাম নাঈম এবং তাদের এক বন্ধু সারোয়ার হোসেনও এদের কাছ থেকে মন নিয়ে সেবন করে অসুস্থ হয়ে মারা যান। গত ২৯ জানুয়ারি উত্তরার বাম্বু স্যুট রেস্টুরেন্টে ৫ জন মদপানের পর ২ জন মারা গেছেন। গাজীপুরের একটি রিসোর্টে গত সোমবার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে ৩ জন মারা গেছেন ও অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন আছে আরও ১০ জন। তারা সবাই এ চক্রের কাছ থেকে মদ নিয়েছেন।

বুধবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২০ মাঘ ১৪২৭, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪২

নকল মদের কারখানার সন্ধান

চিনি, রং, স্প্রিরিট দিয়ে তৈরি হয় নকল বিদেশি মদ মালিক ও কারিগরসহ গ্রেপ্তার ৬

বাকী বিল্লাহ ও সাইফ বাবলু

image

রং, আগুনে জাল দিয়ে তৈরি চিনির রস আর স্প্রিরিট মিশিয়ে তৈরি করা হতো নকল মদ। আর এ মদ ব্র্যান্ড্রের বোতলজাত করলে হয়ে যেতো বিদেশি। ব্র্যান্ড্রের মনে করে এসব বোতল অর্ডার করলেই পৌঁছে দেয়া হতো মোটরসাইকেলে করে। ঘরে বসে অর্ডার করলে মিলছে বিদেশি মদ। মদের দুষ্পাপ্যতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিদেশি বলে হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের কাছেও পৌঁছে দিয়েছে এ মদ। পুরান ঢাকা থেকে উপকরণ সংগ্রহ করে এ মদ তৈরি হতো ভাটারা এলাকার একটি কারখানায়। ভ্যাট ৬৯, রাশিয়ান ভটকা, পাসপোর্টসহ এমন কোন বিদেশি মদ নেই যা ওই কারখানায় তৈরি হতো না। এসব ব্র্যান্ডের বোতলে তৈরি মদ চলে যেতো বিভিন্ন ফ্ল্যাটবাড়ি, ওয়ারহাউজ, অনুমোদিত বার, অফিসে। গত কয়েকমাস ধরে এসব নকল মদপানে কমপক্ষে ৬ জনের প্রাণহানির তথ্য পুলিশের হাতে রয়েছে। ওই কারখানা থেকে তৈরি মদ সরবরাহ হয়েছে কয়েকশ’ হাইপ্রোফাইল ব্যক্তির কাছেও। নকল মদ তৈরির কারখায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা আলামত, গ্রেপ্তার হওয়া ৬ জনের কাছ থেকে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। গতকাল তাদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড হেফাজতে নেয়ার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।

গত সোমবার রাতে রাজধানীর ভাটারায় অভিযান চালিয়ে নামি-দামি ব্র্যান্ডের মদ নকল করে তৈরির এ কারখানার সন্ধান পায় ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের গুলশান টিম। উপকমিশনার মশিউর রহমানের নেতৃত্বে ভাটারা থানার খিলবাড়ীরটেক এলকায় একটি বাড়িতে এ কারখানায় নকল মদ তৈরির সন্ধান পায় ডিবির গোয়েন্দা বিভাগ। উপপুলিশ কমিশনার মশিউর রহমানের নেতৃত্বে ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল মদ ও মদ তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। নকল মদ তৈরি ও সরবরাহের অভিযোগ কারখানার মালিক ও মদ তৈরির কারিগরসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মনতোষ চন্দ্র অধিকারী ওরফে আকাশ (৩৫), রেদুয়ান উল্লাহ (৩৫), সাগর বেপারী (২৭), নাসির আহমেদ ওরফে রুহুল (৪৮), মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) ও সৈয়দ আল আমিন (৩০)। অভিযানে উদ্ধার করা একটি ডায়েরিতে সম্প্রতি মদপান করার পর মারা যাওয়া এবং অসুস্থ হওয়া কয়েকজন ব্যক্তির নাম মিলেছে। গোয়েন্দারা মনে করছেন, সম্প্রতি মদপানের পর বিষক্রিয়ায় যারা মারা গেছেন তারা প্রত্যেকে এ নকল কারখানা থেকে সরবরাহ করা মদপানের কারণে মারা গেছেন।

ডিবির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান তার কার্যালয়ে জানান, সম্প্রতি মদপান করে বারিধারা ডিএইচএসও এলাকার নদী এন্টারপ্রাইজের মালিক আবদুল্লাহ আল মামুন নামের একজনের মৃত্যু হয়। একই ঘটনায় গুরুতত অসুস্থ হন ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী কাজী সেহজাদ টনি। এছাড়া গাজীপুরের একটি রিসোটে, ভাটারায় একটি ফ্ল্যাটে এবং সর্বশেষ গত ২৯ জানুয়ারি উত্তরার বাম্বু রেস্টুরেন্টে পদপানের পর অসুস্থ হয়ে কয়েকজনের মৃত্যু হয়। মদপানের পর মৃত্যুর ঘটনায় গোয়েন্দাদের মধ্যে প্রশ্ন তৈরি হয় এসব মদ কোথা থেকে এসেছে, কারা সরবরাহ করেছে। এর সূত্র ধরে গোয়েন্দা মদ সরবরাহকারী হিসেবে আকাশ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া তথ্যে রেদওয়ান নামে আরেক ডেলিভারিম্যানকে (মদের হোম ডেলিবারি করত) গ্রেপ্তার করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা তথ্য দেয় এসব মদ ভাটারার খিলবাড়িরটেক মুক্তি পল্লী ইউনিউন পরিষদ মোড়ে একটি কারখানা থেকে তৈরি করা হয়েছে। ওইসব মদ রাজধানীর বিভিন্ন অভিযান রেস্টুরেন্ট, মদের বার এমনকি বাসা-বাড়িতেও সরবরাহ করা হতো। সম্প্রতি যারা পদপানের পর অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই ওই কারখানা থেকে সরবরাহ করা মদপান করেই অসুস্থ হন এবং মারা যান। ডিসি মশিউর জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আকাশ ও রেদওয়ান জানান, কারখানাটির মূল মালিক মো. নাছির উদ্দিন। তার তত্ত্বাবধায়নে জাহাঙ্গির আলম নামের এক ব্যক্তি মদ তৈরি করেন। নামি-দামি ব্র্যান্ডের মদের বোতলে এসব মদ ভরাট করে তা বিদেশি বলে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে সরবরাহ করা হতো। হোম ডেলিবাড়িরও সিস্টেম আছে। কারখানায় আল আমিন নামে সহকারী কারিগর আছেন যিনি মূল কারিগর জাহাঙ্গির আলমের সহযোগী হয়ে কাজ করেন। তাদের কাজ হলো বিভিন্ন ব্যক্তির অর্ডার পৌঁছে দেয়া।

নকল কারখানার মদপানে ৬ জনের মৃত্যুর প্রমাণ গোয়েন্দাদের হাতে

গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, সম্প্রতি নকল মদপানে অসুস্থ হয়ে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে গত ৩ দিনেই মারা গেছে ১০ জন। মোহাম্মদপুরে দু’জন, ডিওএইচএস এলাকায় ১ জন, ভাটারায় ৩ জনের মদপানে মৃত্যুর পর পুলিশ তদন্ত করে জানতে পেরেছে তারা প্রত্যেকেই এই চক্রের সরবরাহ করা নকল মদ পান করে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। এছাড়া গাজীপুরে একটি রিসোর্টে মদপানে অসুস্থ হওয়ার পর ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে সেই ৩ জনও এই চক্রের সরবরাহ করা নকল মদপানের পর অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছিল। কারখানা থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করা হয়েছে। সেকানে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের নাম ও ঠিকানা এবং মদ সরবরাদেন সময়, টাকা লেখা ছিল। এছাড়া আরও অনেক হাইপ্রোফাইল ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে ওই ডায়েরিতে। যারা এ চক্রের কাছ থেকে বিদেশি মনে করে নকল মদ ক্রয় করত। গত ১৮ জানুয়ারি ভাটারার একটি বাসায় অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়া স্বর্ণালী বাগচী, তার কথিত স্বামী শরীফুল ইসলাম নাঈম এবং তাদের এক বন্ধু সারোয়ার হোসেনও এদের কাছ থেকে মন নিয়ে সেবন করে অসুস্থ হয়ে মারা যান। গত ২৯ জানুয়ারি উত্তরার বাম্বু স্যুট রেস্টুরেন্টে ৫ জন মদপানের পর ২ জন মারা গেছেন। গাজীপুরের একটি রিসোর্টে গত সোমবার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে ৩ জন মারা গেছেন ও অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন আছে আরও ১০ জন। তারা সবাই এ চক্রের কাছ থেকে মদ নিয়েছেন।