দেশে করোনা শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৪৩৮ জন। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৯২ শতাংশ। এপ্রিলের পর প্রথমবারের মতো দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার নেমে এসেছে ৩ শতাংশের নিচে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে আট হাজার ১৬২ জনের। এছাড়া সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৫ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৭৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৮১ হাজার ৩০৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৯২ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ লাখ ৮০ হাজার ৯৩৭টি। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৮ লাখ ১২ হাজার ৬৯৭টি।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৩ জনের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, দুইজন নারী। তাদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ১১ জন। বাড়িতে দুইজন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে সাতজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুইজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ১৬২ জনের মধ্যে ৬ হাজার ১৮৮ জন পুরুষ এবং ১ হাজার ৯৭৪ জন নারী। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫২৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ২ হাজার ৩৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৩৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪০৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬৫ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫৪৬ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৪৯৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৬৬ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৫৩ জন খুলনা বিভাগের, ২৪৭ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০৬ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫৭ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯০ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪৪ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৯ হাজার ২৯২ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৮ হাজার ৮৯১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ৪০১ জন।

বৃহস্পতিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২১ মাঘ ১৪২৭, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪২

দেশে করোনা শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |

image

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৪৩৮ জন। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৯২ শতাংশ। এপ্রিলের পর প্রথমবারের মতো দৈনিক শনাক্ত রোগীর হার নেমে এসেছে ৩ শতাংশের নিচে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে আট হাজার ১৬২ জনের। এছাড়া সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৬ হাজার ৫৪৫ জনে। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৭৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৮১ হাজার ৩০৬ জন। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৯২ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৮ লাখ ৮০ হাজার ৯৩৭টি। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৮ লাখ ১২ হাজার ৬৯৭টি।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৩ জনের মধ্যে ১১ জন পুরুষ, দুইজন নারী। তাদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ১১ জন। বাড়িতে দুইজন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে সাতজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুইজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৮ হাজার ১৬২ জনের মধ্যে ৬ হাজার ১৮৮ জন পুরুষ এবং ১ হাজার ৯৭৪ জন নারী। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫২৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ২ হাজার ৩৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৯৩৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৪০৪ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৬৫ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৬২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৩৬ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫৪৬ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৪৯৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৪৬৬ জন রাজশাহী বিভাগের, ৫৫৩ জন খুলনা বিভাগের, ২৪৭ জন বরিশাল বিভাগের, ৩০৬ জন সিলেট বিভাগের, ৩৫৭ জন রংপুর বিভাগের এবং ১৯০ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪৪ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৯ হাজার ২৯২ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৮ হাজার ৮৯১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ৪০১ জন।