৭৮ বারের মতো পেছাল প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময়

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ পিছিয়ে আগামী ১১ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ ৭৮ বারের মতো পেছানো হলো।

গতকাল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত সংক্রান্তে কোন প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেননি। সেজন্য ঢাকার মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী মামলার নথি পর্যালোচনা করে উপরোক্ত মর্মে তারিখ ধার্য্য করেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।

এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ হত্যা মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। অন্য আসামিরা হলো- বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। আসামিদের প্রত্যেককে একাধিকবার রিমান্ডে নেয়া হলেও তাদের কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়নি।

প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র?্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বৃহস্পতিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২১ মাঘ ১৪২৭, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪২

সাগর রুনি হত্যা

৭৮ বারের মতো পেছাল প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময়

আদালত বার্তা পরিবেশক

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তে অগ্রগতি প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ পিছিয়ে আগামী ১১ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ ৭৮ বারের মতো পেছানো হলো।

গতকাল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত সংক্রান্তে কোন প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেননি। সেজন্য ঢাকার মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী মামলার নথি পর্যালোচনা করে উপরোক্ত মর্মে তারিখ ধার্য্য করেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের বাসায় মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।

এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ হত্যা মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। অন্য আসামিরা হলো- বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। আসামিদের প্রত্যেককে একাধিকবার রিমান্ডে নেয়া হলেও তাদের কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়নি।

প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদ্ঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র?্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।