চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন মিরাজ-মোস্তাফিজের

নিজেদের মাঠে বরাবরের দাপুটে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের চিরচেনা রূপটাই যেন ফিরে এসেছে চট্টগ্রাম টেস্টে। সফরে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের বিপক্ষে প্রথম দিনে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা টাইগারদের কিছুটা ছন্দহীন মনে হলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সাগরিকায় সমুদ্রের গর্জনের সঙ্গে শোনা গিয়েছে বাঘের গর্জনও। শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা কাটিয়ে সূয্যিমামার হাসির সঙ্গে সঙ্গে হেসেছে সাকিব-মিরাজের ব্যাট। সাকিব আল হাসান প্রত্যাবর্তন টেস্ট ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফিরলেও ২৩তম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটার দেখা পেয়েছেন আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা মেহেদি হাসান মিরাজ। সেই সঙ্গে নাম লিখিয়েছেন রেকর্ড বইয়ে। প্রথম ইনিংসে টাইগাররা ৪৩০ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে প্রথম ইনিংসে অলআউট হওয়ার পর জবাব দিতে নেমে ২৯ ওভারে ৭৫ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে মাঠ ছাড়ার সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা তাদের দুই ওপেনারকে সাজঘরে পেয়েছে। ওডিআই সিরিজ থেকেই ক্যারিবিয়ান দলের ওপেনারদের শিকারের দায়িত্ব পালন করা টাইগারদের কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান চট্টগ্রাম টেস্টেও বজায় রেখেছেন সেই ধারা। তিনি ফিরিয়েছেন এক ওপেনার এবং ওয়ানডাউন ব্যাটসম্যানকে। সবমিলিয়ে ৩৫৫ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিনে সফরকারী ব্যাটসম্যানদের ওপর হামলে পড়বেন বাংলাদেশের বোলাররা।

বাংলাদেশ দল ৫ উইকেটে ২৪২ রানে প্রথম দিন শেষ করার সময়ে সাকিব ৩৯ ও লিটন দাস ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় দিনের ১৪তম বলে বিদায় নেয়ার সময়ে লিটন আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে আর মাত্র চার রান যোগ করতে পেরেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফল বাঁ-হাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিকানের ঘূর্ণি সামলাতে না পেরে বোল্ড হন বাংলাদেশের উইকেটকিপার- ব্যাটসম্যান। সাকিব-লিটনের ১০৯ বলের জুটিতে যোগ হয় ৫৫ রান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে ১১০তম ওভারে বাংলাদেশের স্কোর তিনশ’র কোটায় নিয়ে যান সাকিব-মিরাজ। তার আগেই ওয়ারিকানের করা ৯৭তম ওভারের পঞ্চম বলে ১ রান নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৫তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সাকিব। এর মধ্য দিয়ে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে প্রথম টেস্টে নেমেই প্রমাণ করলেন কেন তিনি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার।

তবে হাফ-সেঞ্চুরির পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের দীর্ঘদেহী স্পিনার রাকিম কর্নওয়ালের বলে বিদায় নেন সাকিব। হাল্কা লাফিয়ে ওঠা বলে কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে প্রতিপক্ষের অধিনায়ক ক্রেগ ব্র্যাথওয়েটের হাতে ক্যাচ দেন ২৩১ মিনিট ক্রিজে থেকে ৫টি বাউন্ডারির মারে ১৫০ বল মোকাবিলা করা সাকিব। এরপর মিরাজের সঙ্গে জুটি বেধে মধ্যাহ্ন-বিরতি পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন থাকেন তাইজুল ইসলাম। ৯৩ বলে ৭টি বাউন্ডারিতে ৪৬ রানে অপরাজিত থেকে বিরতিতে যান মিরাজ। তখন ২১ বলে ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তাইজুল।

বিরতি থেকে ফিরেই টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মিরাজ। তার হাফ-সেঞ্চুরি পর ব্যক্তিগত ১৮ রানে বিদায় নেন তাইজুল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার শ্যানন গাব্রিয়েলের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন তিনি। তাইজুল-মিরাজ জুটি ১১৭ বলে ৪৪ রান জমা দেন।

তাইজুলের আউটের পর দশ নম্বর ব্যাটসম্যান নাইম হাসানকে নিয়ে দলের স্কোর বাড়ানোর পাশাপাশি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির পথে হাঁটেন মিরাজ। ব্যক্তিগত ৭১ রানে একবার স্ট্যাম্পিংয়ের হাত থেকেও বাঁচেন তিনি। অপরপ্রান্তে নাইম ইসলামের কাছ থেকে যোগ্য সহায়তা পান মিরাজ। ১৪৩তম ওভারে বাংলাদেশের স্কোর চারশতে পৌঁছায়। মিরাজ নার্ভাস-নাইন্টিতে পা দেয়ার পর আউট হন নাইম। ৪৬ বলে ৪টি চারে ২৪ রান করে এনক্রুমার বোনারের শিকার হন তিনি। তখন ৯২ রানে দাঁড়িয়ে মিরাজ। দলের স্কোর ৯ উইকেটে ৪১৬। এতে মিরাজের সেঞ্চুরি নিয়ে শঙ্কা জাগে। মিরাজের প্রয়োজন ছিল ৮ রান। শেষ বিকেলে ক্যারিবিয়ান দলের দুটো উইকেটের পতন ঘটানো মোস্তাফিজ নিরাশ করেননি মিরাজকে। ওয়ারিকানের করা ১৪৭তম ওভারের চতুর্থ বলে ২ রান তুলে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মিরাজ।

এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে আট নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করা চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে রেকর্ড বইয়ে নাম লেখান মিরাজ। তার আগে ২০০৪ সালে খালেদ মাসুদ পাইলট, ২০১০ সালে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও ২০১৩ সালে সোহাগ গাজী আট নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে সেঞ্চুরি করেছিলেন।

সেঞ্চুরির পর বেশি দূর নিজের ইনিংসকে টানতে পারেননি মিরাজ। দলীয় ৪৩০ রানে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে লং-অনে ক্যাচ দিয়ে কর্নওয়ালের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। ২২৪ মিনিট ক্রিজে থেকে ১৬৮ বল খেলে ১৩টি বাউন্ডারি হাঁকান মিরাজ। ১১ বলে ৩ রানে অপরাজিত থাকেন মোস্তাফিজুর রহমান। মিরাজ আউট হলে শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। আর চা-বিরতিতে যায় দুই দল।

বিরতির পর ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ব্যাটসম্যান একে একে টাইগার পেসার মোস্তাফিজের শিকারে পরিণত হন। লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন ওপেনার ক্যাম্পবেল (৩), ওয়ান ডাউনে নামা শ্যান মোসলেও (২) একইভাবে ফেরেন। দলীয় ২৪ রানে দুটো উইকেট হারানো ক্যারিবিয়ান দল দিনের বাকি সময়টা অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট ও এনক্রুমা বোনারের ব্যাটে ৫১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে পাড়ি দেয়। ব্র্যাথওয়েট ৪৯ ও বোনার ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।

শুক্রবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২২ মাঘ ১৪২৭, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪২

চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন মিরাজ-মোস্তাফিজের

বিশেষ প্রতিনিধি

image

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরির (১০৩) ইনিংসে মিরাজের একটি ড্রাইভ শট

নিজেদের মাঠে বরাবরের দাপুটে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের চিরচেনা রূপটাই যেন ফিরে এসেছে চট্টগ্রাম টেস্টে। সফরে আসা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের বিপক্ষে প্রথম দিনে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা টাইগারদের কিছুটা ছন্দহীন মনে হলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সাগরিকায় সমুদ্রের গর্জনের সঙ্গে শোনা গিয়েছে বাঘের গর্জনও। শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা কাটিয়ে সূয্যিমামার হাসির সঙ্গে সঙ্গে হেসেছে সাকিব-মিরাজের ব্যাট। সাকিব আল হাসান প্রত্যাবর্তন টেস্ট ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফিরলেও ২৩তম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটার দেখা পেয়েছেন আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা মেহেদি হাসান মিরাজ। সেই সঙ্গে নাম লিখিয়েছেন রেকর্ড বইয়ে। প্রথম ইনিংসে টাইগাররা ৪৩০ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে প্রথম ইনিংসে অলআউট হওয়ার পর জবাব দিতে নেমে ২৯ ওভারে ৭৫ রানে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে মাঠ ছাড়ার সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা তাদের দুই ওপেনারকে সাজঘরে পেয়েছে। ওডিআই সিরিজ থেকেই ক্যারিবিয়ান দলের ওপেনারদের শিকারের দায়িত্ব পালন করা টাইগারদের কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান চট্টগ্রাম টেস্টেও বজায় রেখেছেন সেই ধারা। তিনি ফিরিয়েছেন এক ওপেনার এবং ওয়ানডাউন ব্যাটসম্যানকে। সবমিলিয়ে ৩৫৫ রানে এগিয়ে থেকে তৃতীয় দিনে সফরকারী ব্যাটসম্যানদের ওপর হামলে পড়বেন বাংলাদেশের বোলাররা।

বাংলাদেশ দল ৫ উইকেটে ২৪২ রানে প্রথম দিন শেষ করার সময়ে সাকিব ৩৯ ও লিটন দাস ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় দিনের ১৪তম বলে বিদায় নেয়ার সময়ে লিটন আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে আর মাত্র চার রান যোগ করতে পেরেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফল বাঁ-হাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিকানের ঘূর্ণি সামলাতে না পেরে বোল্ড হন বাংলাদেশের উইকেটকিপার- ব্যাটসম্যান। সাকিব-লিটনের ১০৯ বলের জুটিতে যোগ হয় ৫৫ রান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে ১১০তম ওভারে বাংলাদেশের স্কোর তিনশ’র কোটায় নিয়ে যান সাকিব-মিরাজ। তার আগেই ওয়ারিকানের করা ৯৭তম ওভারের পঞ্চম বলে ১ রান নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৫তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সাকিব। এর মধ্য দিয়ে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে প্রথম টেস্টে নেমেই প্রমাণ করলেন কেন তিনি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার।

তবে হাফ-সেঞ্চুরির পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের দীর্ঘদেহী স্পিনার রাকিম কর্নওয়ালের বলে বিদায় নেন সাকিব। হাল্কা লাফিয়ে ওঠা বলে কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে প্রতিপক্ষের অধিনায়ক ক্রেগ ব্র্যাথওয়েটের হাতে ক্যাচ দেন ২৩১ মিনিট ক্রিজে থেকে ৫টি বাউন্ডারির মারে ১৫০ বল মোকাবিলা করা সাকিব। এরপর মিরাজের সঙ্গে জুটি বেধে মধ্যাহ্ন-বিরতি পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন থাকেন তাইজুল ইসলাম। ৯৩ বলে ৭টি বাউন্ডারিতে ৪৬ রানে অপরাজিত থেকে বিরতিতে যান মিরাজ। তখন ২১ বলে ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তাইজুল।

বিরতি থেকে ফিরেই টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মিরাজ। তার হাফ-সেঞ্চুরি পর ব্যক্তিগত ১৮ রানে বিদায় নেন তাইজুল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার শ্যানন গাব্রিয়েলের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন তিনি। তাইজুল-মিরাজ জুটি ১১৭ বলে ৪৪ রান জমা দেন।

তাইজুলের আউটের পর দশ নম্বর ব্যাটসম্যান নাইম হাসানকে নিয়ে দলের স্কোর বাড়ানোর পাশাপাশি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির পথে হাঁটেন মিরাজ। ব্যক্তিগত ৭১ রানে একবার স্ট্যাম্পিংয়ের হাত থেকেও বাঁচেন তিনি। অপরপ্রান্তে নাইম ইসলামের কাছ থেকে যোগ্য সহায়তা পান মিরাজ। ১৪৩তম ওভারে বাংলাদেশের স্কোর চারশতে পৌঁছায়। মিরাজ নার্ভাস-নাইন্টিতে পা দেয়ার পর আউট হন নাইম। ৪৬ বলে ৪টি চারে ২৪ রান করে এনক্রুমার বোনারের শিকার হন তিনি। তখন ৯২ রানে দাঁড়িয়ে মিরাজ। দলের স্কোর ৯ উইকেটে ৪১৬। এতে মিরাজের সেঞ্চুরি নিয়ে শঙ্কা জাগে। মিরাজের প্রয়োজন ছিল ৮ রান। শেষ বিকেলে ক্যারিবিয়ান দলের দুটো উইকেটের পতন ঘটানো মোস্তাফিজ নিরাশ করেননি মিরাজকে। ওয়ারিকানের করা ১৪৭তম ওভারের চতুর্থ বলে ২ রান তুলে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মিরাজ।

এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের হয়ে আট নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করা চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে রেকর্ড বইয়ে নাম লেখান মিরাজ। তার আগে ২০০৪ সালে খালেদ মাসুদ পাইলট, ২০১০ সালে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও ২০১৩ সালে সোহাগ গাজী আট নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে সেঞ্চুরি করেছিলেন।

সেঞ্চুরির পর বেশি দূর নিজের ইনিংসকে টানতে পারেননি মিরাজ। দলীয় ৪৩০ রানে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে লং-অনে ক্যাচ দিয়ে কর্নওয়ালের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। ২২৪ মিনিট ক্রিজে থেকে ১৬৮ বল খেলে ১৩টি বাউন্ডারি হাঁকান মিরাজ। ১১ বলে ৩ রানে অপরাজিত থাকেন মোস্তাফিজুর রহমান। মিরাজ আউট হলে শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। আর চা-বিরতিতে যায় দুই দল।

বিরতির পর ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ব্যাটসম্যান একে একে টাইগার পেসার মোস্তাফিজের শিকারে পরিণত হন। লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন ওপেনার ক্যাম্পবেল (৩), ওয়ান ডাউনে নামা শ্যান মোসলেও (২) একইভাবে ফেরেন। দলীয় ২৪ রানে দুটো উইকেট হারানো ক্যারিবিয়ান দল দিনের বাকি সময়টা অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট ও এনক্রুমা বোনারের ব্যাটে ৫১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে পাড়ি দেয়। ব্র্যাথওয়েট ৪৯ ও বোনার ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।