ভারতের কৃষক আন্দোলনের সমাধান চায় যুক্তরাষ্ট্র

কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে প্রথমবারের জন্য নিজেদের অভিমত প্রকাশ করেছে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেয়ার জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা। নয়া দিল্লিতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

নরেন্দ্র মোদি সরকার প্রণিত নতুন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ভারতজুড়ে চলমান কৃষক বিক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। গত ২৬ জানুয়ারি কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে দিল্লি। দফায় দফায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। মোদি সরকারের সঙ্গে কৃষকদের কয়েক দফা আলোচনা হলেও প্রজাতন্ত্র দিবসের ঘটনার পর থেকে দুই পক্ষের আর বৈঠক হয়নি।

এক বিবৃতিতে ভারতস্থ মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে যেসব মতভিন্নতা রয়েছে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার অনুরোধ জানাচ্ছি আমরা।’

বিবৃতিতে অবশ্য ভারতের কৃষি সংস্কারকে স্বীকৃতি জানানোর ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যে ভারতীয় বাজারের সংস্কার ও বেসরকারি লগ্নি আসার প্রক্রিয়াকে তারা স্বাগত জানায়। তবে বিভিন্ন স্থানে কৃষি বিক্ষোভের জেরে যে ইন্টারনেট সংযোগ ছিন্ন করা হয়েছে তার নিন্দা জানানো হয়েছে। ইন্টারনেট থাকা বাকস্বাধীনতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও গণতন্ত্রের প্রতীক বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

কৃষি আইন নিয়ে সম্প্রতি মার্কিন পপ তারকা রিহানা টুইট করেন। তার টুইট নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক। এর পর গ্রেটা থুনবার্গ কৃষি আইন নিয়ে টুইট করেন।

শুক্রবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২২ মাঘ ১৪২৭, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪২

ভারতের কৃষক আন্দোলনের সমাধান চায় যুক্তরাষ্ট্র

image

নতুন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ভারতজুড়ে চলমান কৃষক বিক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্রতর

কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে প্রথমবারের জন্য নিজেদের অভিমত প্রকাশ করেছে নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেয়ার জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা। নয়া দিল্লিতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

নরেন্দ্র মোদি সরকার প্রণিত নতুন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ভারতজুড়ে চলমান কৃষক বিক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। গত ২৬ জানুয়ারি কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে দিল্লি। দফায় দফায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। মোদি সরকারের সঙ্গে কৃষকদের কয়েক দফা আলোচনা হলেও প্রজাতন্ত্র দিবসের ঘটনার পর থেকে দুই পক্ষের আর বৈঠক হয়নি।

এক বিবৃতিতে ভারতস্থ মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে যেসব মতভিন্নতা রয়েছে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার অনুরোধ জানাচ্ছি আমরা।’

বিবৃতিতে অবশ্য ভারতের কৃষি সংস্কারকে স্বীকৃতি জানানোর ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যে ভারতীয় বাজারের সংস্কার ও বেসরকারি লগ্নি আসার প্রক্রিয়াকে তারা স্বাগত জানায়। তবে বিভিন্ন স্থানে কৃষি বিক্ষোভের জেরে যে ইন্টারনেট সংযোগ ছিন্ন করা হয়েছে তার নিন্দা জানানো হয়েছে। ইন্টারনেট থাকা বাকস্বাধীনতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও গণতন্ত্রের প্রতীক বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

কৃষি আইন নিয়ে সম্প্রতি মার্কিন পপ তারকা রিহানা টুইট করেন। তার টুইট নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক। এর পর গ্রেটা থুনবার্গ কৃষি আইন নিয়ে টুইট করেন।