ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা হোক সুষ্ঠু

দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে ই-বর্জ্য। একটি জাতীয় দৈনিকের গত বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশে প্রতি বছর ২৮ লাখ মেট্রিক টন ই-বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে। প্রতি বছর ২০ শতাংশ হারে বাড়ছে ইলেকট্রনিক বর্জ্য।

ই-বর্জ্য নিয়ে শুধু বাংলাদেশ নয়, এশিয়ার সবগুলো দেশই সংকটে রয়েছে। এসব বর্জ্যে সীসা, পারদের মতো আরও অনেক ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। যা মাটি, পানি, বায়ুদূষণের পাশাপাশি এর ওপর নির্ভরশীল মানুষের জীবনকেও বিপর্যস্ত করে তুলছে।

খুব সহজে ই-বর্জ্য কমানো যাবে না। যতদিন যাবে, ইলেকট্রনিক্স ও ডিজিটাল পণ্যের ব্যবহার আরও বাড়বে। পুরোনো প্রযুক্তি বাদ দিয়ে নতুন প্রযুক্তিতে যেতে হবে। ফলে নতুন নতুন ই-বর্জ্য তৈরি হবে।

এই বিপদ থেকে বাঁচার উপায় হলো ই-বর্জ্যরে নিরাপদ ব্যবস্থাপনা ও পুনর্ব্যবহার। এর জন্য ব্যবসায়িক পরিকল্পনা প্রয়োজন, যাতে সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করা যায়। প্রথমেই প্রয়োজন ই-বর্জ্য উৎপাদনের পরিমাণ নিরূপণের ব্যবস্থা; তারপর এগুলোর জন্য স্থায়ী ভাগাড় ও রিসাইক্লিং কারখানা স্থাপন করতে হবে। নির্দিষ্ট ভাগাড় থাকলে ই-বর্জ্য যত্রতত্র ছড়িয়ে থাকবে না। এতে পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমবে।

যথাযথ ব্যবস্থাপনার (ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট) মাধ্যমে ই-বর্জ্যরে ক্ষতিকর প্রভাবকে অনেকটা কমিয়ে আনা যায়। ধাতব এবং অধাতব যে উপাদানগুলো ই-বর্জ্যে থাকে তার পৃথকীকরণ এবং সংগ্রহের মাধ্যমে সেগুলো নতুন করে ব্যবহার করা যেতে পারে।

ই-বর্জ্যরে সঠিক রিসাইক্লিং নতুন নতুন শিল্পের সম্ভাবনা সৃষ্টি করে। পৃথিবীর অনেক দেশ এর মাধ্যমে উদ্ভাবন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশও একই পথ অনুসরণ করতে পারে।

শুক্রবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২২ মাঘ ১৪২৭, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪২

ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা হোক সুষ্ঠু

দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে ই-বর্জ্য। একটি জাতীয় দৈনিকের গত বুধবার প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশে প্রতি বছর ২৮ লাখ মেট্রিক টন ই-বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে। প্রতি বছর ২০ শতাংশ হারে বাড়ছে ইলেকট্রনিক বর্জ্য।

ই-বর্জ্য নিয়ে শুধু বাংলাদেশ নয়, এশিয়ার সবগুলো দেশই সংকটে রয়েছে। এসব বর্জ্যে সীসা, পারদের মতো আরও অনেক ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। যা মাটি, পানি, বায়ুদূষণের পাশাপাশি এর ওপর নির্ভরশীল মানুষের জীবনকেও বিপর্যস্ত করে তুলছে।

খুব সহজে ই-বর্জ্য কমানো যাবে না। যতদিন যাবে, ইলেকট্রনিক্স ও ডিজিটাল পণ্যের ব্যবহার আরও বাড়বে। পুরোনো প্রযুক্তি বাদ দিয়ে নতুন প্রযুক্তিতে যেতে হবে। ফলে নতুন নতুন ই-বর্জ্য তৈরি হবে।

এই বিপদ থেকে বাঁচার উপায় হলো ই-বর্জ্যরে নিরাপদ ব্যবস্থাপনা ও পুনর্ব্যবহার। এর জন্য ব্যবসায়িক পরিকল্পনা প্রয়োজন, যাতে সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করা যায়। প্রথমেই প্রয়োজন ই-বর্জ্য উৎপাদনের পরিমাণ নিরূপণের ব্যবস্থা; তারপর এগুলোর জন্য স্থায়ী ভাগাড় ও রিসাইক্লিং কারখানা স্থাপন করতে হবে। নির্দিষ্ট ভাগাড় থাকলে ই-বর্জ্য যত্রতত্র ছড়িয়ে থাকবে না। এতে পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমবে।

যথাযথ ব্যবস্থাপনার (ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট) মাধ্যমে ই-বর্জ্যরে ক্ষতিকর প্রভাবকে অনেকটা কমিয়ে আনা যায়। ধাতব এবং অধাতব যে উপাদানগুলো ই-বর্জ্যে থাকে তার পৃথকীকরণ এবং সংগ্রহের মাধ্যমে সেগুলো নতুন করে ব্যবহার করা যেতে পারে।

ই-বর্জ্যরে সঠিক রিসাইক্লিং নতুন নতুন শিল্পের সম্ভাবনা সৃষ্টি করে। পৃথিবীর অনেক দেশ এর মাধ্যমে উদ্ভাবন এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশও একই পথ অনুসরণ করতে পারে।