এবারের কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা ২০২১ বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে উৎসর্গ করা হবে। গতকাল পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় ও সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু শেখর দে স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার সময় পিছিয়েছে। সেটি হবে জুলাই মাসে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পূর্ববর্তী মেলায় ঠিক হয়েছিল থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কলকাতা বইমেলা কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছে। এবার মেলা উৎসর্গ করা হচ্ছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার নামে। গিল্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবারের মেলায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তী ও সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ পালিত হবে।
এদিকে, গতকাল কলকাতার অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে কলকাতায় হচ্ছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। এরই অংশ হিসেবে কলকাতার একাডেমি অব ফাইন আর্টসে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হলো। এই প্রদর্শনীতে ভারত ও বাংলাদেশের শিল্পীদের আঁকা মোট ১০০টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে।
ড. হাছান মাহমুদ ছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী কিরীটী রঞ্জন বিশ্বাস, শুভাপ্রসন্ন, পবিত্র সরকারসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর বর্ণময় জীবনচিত্র শুধু রং-তুলিতে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব নয়। কিন্তু এই প্রদর্শনীর ২৬ জন শিল্পী ১০০টি ছবির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবন যেভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন তা অসামান্য।
শিল্পী কিরীটী রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশের শিল্পীদের সঙ্গে ভারতীয় শিল্পীদের ছবিও এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার সমসাময়িক অনেকের ছবিও একই সঙ্গে প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে, যা ঐতিহাসিক নিরিখে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিরীটী রঞ্জন বিশ্বাস ছাড়াও শিল্পী মিনি করীম, মহম্মদ ইকবাল, জাকির হোসেন পুলক, আলফ টিকেন তুষার, কামালুদ্দিন, সুনীল পথিক, দুলাল গায়েন, সাজাহান আহমেদ বিকাশসহ অনেক বিশিষ্ট শিল্পীর চিত্রকলা এতে প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রদর্শনী চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
শনিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৩ মাঘ ১৪২৭, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
এবারের কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা ২০২১ বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে উৎসর্গ করা হবে। গতকাল পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায় ও সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু শেখর দে স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার সময় পিছিয়েছে। সেটি হবে জুলাই মাসে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পূর্ববর্তী মেলায় ঠিক হয়েছিল থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কলকাতা বইমেলা কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছে। এবার মেলা উৎসর্গ করা হচ্ছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার নামে। গিল্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবারের মেলায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মজয়ন্তী ও সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ পালিত হবে।
এদিকে, গতকাল কলকাতার অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে কলকাতায় হচ্ছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। এরই অংশ হিসেবে কলকাতার একাডেমি অব ফাইন আর্টসে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি চিত্রপ্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হলো। এই প্রদর্শনীতে ভারত ও বাংলাদেশের শিল্পীদের আঁকা মোট ১০০টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে।
ড. হাছান মাহমুদ ছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী কিরীটী রঞ্জন বিশ্বাস, শুভাপ্রসন্ন, পবিত্র সরকারসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর বর্ণময় জীবনচিত্র শুধু রং-তুলিতে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব নয়। কিন্তু এই প্রদর্শনীর ২৬ জন শিল্পী ১০০টি ছবির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবন যেভাবে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন তা অসামান্য।
শিল্পী কিরীটী রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশের শিল্পীদের সঙ্গে ভারতীয় শিল্পীদের ছবিও এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার সমসাময়িক অনেকের ছবিও একই সঙ্গে প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে, যা ঐতিহাসিক নিরিখে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিরীটী রঞ্জন বিশ্বাস ছাড়াও শিল্পী মিনি করীম, মহম্মদ ইকবাল, জাকির হোসেন পুলক, আলফ টিকেন তুষার, কামালুদ্দিন, সুনীল পথিক, দুলাল গায়েন, সাজাহান আহমেদ বিকাশসহ অনেক বিশিষ্ট শিল্পীর চিত্রকলা এতে প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রদর্শনী চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।