মন্ত্রীর নির্দেশে উচ্ছেদ স্টেশন মাস্টারের নির্দেশে বেদখল

চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইনে ডেমো ট্রেন উদ্বোধন করতে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এমপি আসার আগেই পটিয়া রেলস্টেশন চত্বরের আশ-পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী বক্তব্য দেন রেলের জায়গার ওপর কোন ধরনের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হলে যত বড় প্রভাবশালী হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রেলমন্ত্রী পটিয়া স্টেশনে আসার আগেই পুরো রেলস্টেশন দখলমুক্ত হলেও রেলমন্ত্রী চলে যাওয়ার ৩ ঘণ্টার মধ্যে স্টেশন মাস্টারের নির্দেশে পটিয়া রেলস্টেশনের আশ-পাশের জায়গা অবৈধ দখলে নেয়। স্টেশন মাস্টারের নির্দেশে ফের দখলে নিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।

গতকাল চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইনে এক জোড়া ডেমো ট্রেন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলমন্ত্রী বলেন, যারা রেলওয়ের জায়গা পিতৃহীন মনে করে লুটপাট করে খাচ্ছেন তাদের উদ্দেশে বলতেছি, আপনারা সাবধান হয়ে যান। রেলওয়ের মা-বাবা আছে। রেলওয়ের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নিমাণ করে টাকা কামাবেন তা ভুলে যান। তিনি তার বক্তব্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আরও বলেন, রেলওয়ের জায়গা দখলে রেলওয়ের অনেক কর্মকর্তাও জড়িত আছেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পটিয়া রেলস্টেশনে মন্ত্রী আসার ২ দিন আগেই থেকে রেলওয়ের জায়গার ওপর অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে দেয় রেলওয়ে পুলিশ। গতকাল দুপুরে উদ্বোধনের পর পুনরায় তা দখল করে নেয় দখলদাররা। তাদের দখল কাজে সহযোগিতা করেন স্টেশন মাস্টার মাজাহারুল ইসলাম নিজেই অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও দখলে সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে পটিয়া রেলস্টেশন মাস্টার মাজাহারুল ইসলাম অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও দখলে সহযোগিতা করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তবে তারা কার ইশারায় মন্ত্রী চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দখল নিয়েছে আমি সেটা বলতে পারব না।

রবিবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৪ মাঘ ১৪২৭, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪২

মন্ত্রীর নির্দেশে উচ্ছেদ স্টেশন মাস্টারের নির্দেশে বেদখল

প্রতিনিধি, পটিয়া (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইনে ডেমো ট্রেন উদ্বোধন করতে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এমপি আসার আগেই পটিয়া রেলস্টেশন চত্বরের আশ-পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী বক্তব্য দেন রেলের জায়গার ওপর কোন ধরনের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হলে যত বড় প্রভাবশালী হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। রেলমন্ত্রী পটিয়া স্টেশনে আসার আগেই পুরো রেলস্টেশন দখলমুক্ত হলেও রেলমন্ত্রী চলে যাওয়ার ৩ ঘণ্টার মধ্যে স্টেশন মাস্টারের নির্দেশে পটিয়া রেলস্টেশনের আশ-পাশের জায়গা অবৈধ দখলে নেয়। স্টেশন মাস্টারের নির্দেশে ফের দখলে নিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।

গতকাল চট্টগ্রাম-দোহাজারী রেললাইনে এক জোড়া ডেমো ট্রেন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলমন্ত্রী বলেন, যারা রেলওয়ের জায়গা পিতৃহীন মনে করে লুটপাট করে খাচ্ছেন তাদের উদ্দেশে বলতেছি, আপনারা সাবধান হয়ে যান। রেলওয়ের মা-বাবা আছে। রেলওয়ের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নিমাণ করে টাকা কামাবেন তা ভুলে যান। তিনি তার বক্তব্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আরও বলেন, রেলওয়ের জায়গা দখলে রেলওয়ের অনেক কর্মকর্তাও জড়িত আছেন, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পটিয়া রেলস্টেশনে মন্ত্রী আসার ২ দিন আগেই থেকে রেলওয়ের জায়গার ওপর অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে দেয় রেলওয়ে পুলিশ। গতকাল দুপুরে উদ্বোধনের পর পুনরায় তা দখল করে নেয় দখলদাররা। তাদের দখল কাজে সহযোগিতা করেন স্টেশন মাস্টার মাজাহারুল ইসলাম নিজেই অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও দখলে সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে পটিয়া রেলস্টেশন মাস্টার মাজাহারুল ইসলাম অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও দখলে সহযোগিতা করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তবে তারা কার ইশারায় মন্ত্রী চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দখল নিয়েছে আমি সেটা বলতে পারব না।