ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজের বিরুদ্ধে ২০ কোটি ৬০ লাখ টাকারও বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার চার্জশিট দিচ্ছে দুদক। গতকাল দুদক কমিশনে চার্জশিট দাখিলের বিষয়টি অনুমোদন হয়। অবৈধভাবে আড়াই কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছর মামলাটি করেছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম। যেকোন দিন চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে।
দুদকের পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টচার্য জানান, গত ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ওরফে ফিরোজের ২ কোটি ৬৮ লাখ ২ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থাটির ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম। তদন্তে ২০ কোটি ৬০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ থাকার তথ্য পেয়েছে দুদক।
জানতে চাইলে সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, আড়াই কোটি টাকারও বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হলেও দুদক তদন্ত করে জানতে পেরেছে তার সম্পদের পরিমাণ ২০ কোটি টাকারও বেশি। এসব সম্পদ অর্জনের সপক্ষে ফিরোজের বৈধ কোন আয়ের উৎস পাওয়া যায়নি । দুদক মনে করছে এসব সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করা হয়েছে। আসামি ফিরোজও এসব সম্পদ বৈধভাবে অর্জনের কোন প্রমাণ দিতে পারেনি দুদকের কাছে। আদালতে শ্রীঘ্রই চার্জশিট দেয়া হবে।
মামলার এজাহারে সে সময় বলা হয়, শফিকুল আলম ১ কোটি ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭০ টাকার স্থাবর সম্পদ হিসেবে অকৃষি সম্পত্তি অর্জন করেছেন বলে আয়কর নথিতে তথ্য দিয়েছেন। অনুসন্ধানে এ সম্পদের পরিমাণ আরও বেশি বলে দুদক মনে করছে। এছাড়া তিনি ওই সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট কোন উৎস দেখাতে পারেননি। অনুসন্ধানের সময় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, বিভিন্ন ব্যাংকে শফিকুল আলমের ১ কোটি ২৩ লাখ ৩৯ হাজার ১২০ টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া যায়। ওই টাকারও সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পায়নি দুদক। দুদক বলছে, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হিসেবে পাওয়া মোট ২ কোটি ৬৮ লাখ ২ হাজার ৬৩৯ টাকা শফিকুল আলম অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। আরও বলা হয়, অনুসন্ধানে তারা তথ্য পেয়েছে শফিকুল আলম এক সময় ধানমন্ডি ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। ওই ক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য তিনি ৬০ লাখ টাকা দিয়েছেন। শফিকুলের স্ত্রীর নামে ধানমন্ডিতে দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থাকার তথ্যও পেয়েছে সংস্থাটি। তারা বলছে, দেশে-বিদেশে শফিকুলের বিপুল সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পর তদন্তের সময় সেগুলো আমলে নেয়া হবে। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের শুরুতে ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুল আলম। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করে র্যাব। ওই মামলায় জেলে যান তিনি। পরে দুদক তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে।
সোমবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৫ মাঘ ১৪২৭, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪২
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক |
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজের বিরুদ্ধে ২০ কোটি ৬০ লাখ টাকারও বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার চার্জশিট দিচ্ছে দুদক। গতকাল দুদক কমিশনে চার্জশিট দাখিলের বিষয়টি অনুমোদন হয়। অবৈধভাবে আড়াই কোটি টাকার বেশি সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছর মামলাটি করেছিলেন দুদকের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম। যেকোন দিন চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে।
দুদকের পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টচার্য জানান, গত ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ওরফে ফিরোজের ২ কোটি ৬৮ লাখ ২ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। সংস্থাটির ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম। তদন্তে ২০ কোটি ৬০ লাখ টাকার বেশি সম্পদ থাকার তথ্য পেয়েছে দুদক।
জানতে চাইলে সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, আড়াই কোটি টাকারও বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হলেও দুদক তদন্ত করে জানতে পেরেছে তার সম্পদের পরিমাণ ২০ কোটি টাকারও বেশি। এসব সম্পদ অর্জনের সপক্ষে ফিরোজের বৈধ কোন আয়ের উৎস পাওয়া যায়নি । দুদক মনে করছে এসব সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করা হয়েছে। আসামি ফিরোজও এসব সম্পদ বৈধভাবে অর্জনের কোন প্রমাণ দিতে পারেনি দুদকের কাছে। আদালতে শ্রীঘ্রই চার্জশিট দেয়া হবে।
মামলার এজাহারে সে সময় বলা হয়, শফিকুল আলম ১ কোটি ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭০ টাকার স্থাবর সম্পদ হিসেবে অকৃষি সম্পত্তি অর্জন করেছেন বলে আয়কর নথিতে তথ্য দিয়েছেন। অনুসন্ধানে এ সম্পদের পরিমাণ আরও বেশি বলে দুদক মনে করছে। এছাড়া তিনি ওই সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট কোন উৎস দেখাতে পারেননি। অনুসন্ধানের সময় বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, বিভিন্ন ব্যাংকে শফিকুল আলমের ১ কোটি ২৩ লাখ ৩৯ হাজার ১২০ টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া যায়। ওই টাকারও সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পায়নি দুদক। দুদক বলছে, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হিসেবে পাওয়া মোট ২ কোটি ৬৮ লাখ ২ হাজার ৬৩৯ টাকা শফিকুল আলম অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। আরও বলা হয়, অনুসন্ধানে তারা তথ্য পেয়েছে শফিকুল আলম এক সময় ধানমন্ডি ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। ওই ক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য তিনি ৬০ লাখ টাকা দিয়েছেন। শফিকুলের স্ত্রীর নামে ধানমন্ডিতে দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থাকার তথ্যও পেয়েছে সংস্থাটি। তারা বলছে, দেশে-বিদেশে শফিকুলের বিপুল সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পর তদন্তের সময় সেগুলো আমলে নেয়া হবে। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের শুরুতে ২০১৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুল আলম। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করে র্যাব। ওই মামলায় জেলে যান তিনি। পরে দুদক তার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে।