সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করুন

নতুন বছরের প্রথম মাসে সারা দেশে ৪২৭টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৪৮৪ জন মারা গেছেন, আহত হয়েছেন ৬৭৩ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯২ নারী ও ৪৭টি শিশু। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত একটি পরিকল্পিত, নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, জনবান্ধব আধুনিক সড়ক ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি। ফলে সড়কে মৃত্যুর মিছিল কোনভাবেই থামছে না। সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে, আর আমরা এ নিয়ে লিখেই যাচ্ছি। কিন্তু দুর্ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না। সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা একটা সাধারণ বিষয়। কিন্তু বছরের পর বছর সেটাই করা যাচ্ছে না। মূলত পরিবহন মালিক-শ্রমিক চক্রের জন্য সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো যাচ্ছে না। এ চক্রের কাছে সরকার জিম্মি হয়ে আছে অনেকদিন ধরেই। যারা সড়ক পরিবহন খাত নিয়ন্ত্রণ করছে, তারা তাদের ইচ্ছামতো ভাড়া বাড়াচ্ছে, বেপরোয়া গাড়ি চালাচ্ছে এবং জনগণকে সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে। চালকের সংখ্যাও অনেক কম। সেখানে শিক্ষিত চালকের ব্যবস্থা না করায় একই গোষ্ঠীর কাছেই যাত্রীদের জিম্মি থাকতে হচ্ছে। যতদিন না এ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে, ততদিন সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে না। শৃঙ্খলা না ফিরলে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় গোটা পরিবহন খাত ঢেলে সাজানো জরুরি। জাতীয় স্বার্থেই সরকারকে এ বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে যাবতীয় দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক হতে হবে, আইন মানতে হবে। যারা সড়ক ব্যবস্থাপনায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রশিক্ষিত চালক নিশ্চিত করার পাশাপাশি ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে।

সোমবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৫ মাঘ ১৪২৭, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪২

সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করুন

নতুন বছরের প্রথম মাসে সারা দেশে ৪২৭টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৪৮৪ জন মারা গেছেন, আহত হয়েছেন ৬৭৩ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৯২ নারী ও ৪৭টি শিশু। সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে কাজ করা রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত একটি পরিকল্পিত, নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য, জনবান্ধব আধুনিক সড়ক ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি। ফলে সড়কে মৃত্যুর মিছিল কোনভাবেই থামছে না। সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে, আর আমরা এ নিয়ে লিখেই যাচ্ছি। কিন্তু দুর্ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না। সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা একটা সাধারণ বিষয়। কিন্তু বছরের পর বছর সেটাই করা যাচ্ছে না। মূলত পরিবহন মালিক-শ্রমিক চক্রের জন্য সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো যাচ্ছে না। এ চক্রের কাছে সরকার জিম্মি হয়ে আছে অনেকদিন ধরেই। যারা সড়ক পরিবহন খাত নিয়ন্ত্রণ করছে, তারা তাদের ইচ্ছামতো ভাড়া বাড়াচ্ছে, বেপরোয়া গাড়ি চালাচ্ছে এবং জনগণকে সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে। চালকের সংখ্যাও অনেক কম। সেখানে শিক্ষিত চালকের ব্যবস্থা না করায় একই গোষ্ঠীর কাছেই যাত্রীদের জিম্মি থাকতে হচ্ছে। যতদিন না এ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে, ততদিন সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে না। শৃঙ্খলা না ফিরলে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় গোটা পরিবহন খাত ঢেলে সাজানো জরুরি। জাতীয় স্বার্থেই সরকারকে এ বিষয়ে মনোযোগী হতে হবে। ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে যাবতীয় দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক হতে হবে, আইন মানতে হবে। যারা সড়ক ব্যবস্থাপনায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্ঘটনা প্রতিরোধে প্রশিক্ষিত চালক নিশ্চিত করার পাশাপাশি ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে হবে।