শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের যোগ্যতা যাচাই করা উচিত

করোনাভাইরাস শুধু যে আমাদের শারীরিক এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তা নয় বরং শিক্ষা জগৎকে পিছিয়ে দিয়েছে কয়েক যুগ। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণে একপ্রকার টালমাটাল অবস্থা পরিলক্ষিত হয়েছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় একের অধিক প্রস্তাব এবং দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে শেষ মুহূর্তে গিয়ে কিছু অদ্ভুত এবং আপাত: দৃষ্টিতে ভালো এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ জনসাধারণের কাছে একটি স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলস্বরূপ গত ৭ অক্টোবর বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অটোপাসের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এবং তারই সূত্র ধরে গত ৩০ জানুয়ারি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি অপ্রস্তুত এবং অযোগ্য নাগরিক উপহার দিচ্ছি যারা হয়তো ভবিষ্যতে স্বজনপ্রীতির হাত ধরে দেশের গুরুত্বপূর্ণ কর্মস্থলে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। তাই এই অটোপ্রমোশন প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে যোগ্য এবং অযোগ্য শিক্ষার্থীদের আলাদা করে পরবর্তী শিক্ষাস্তরে প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা সময়ের দাবি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এইচএসসি পরীক্ষায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। তারা পরবর্তীতে পুনরায় পরীক্ষা প্রদানের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করে। এবার সঠিক সময়ে পরীক্ষা গ্রহণ করলে এই অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের পরিমাণ বহুলাংশে বৃদ্ধি পেত। কারণ তারা বিশাল একটি সময় কলেজ এবং সহযোগী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন পর্যবেক্ষণ থেকে দূরে ছিলেন। কাজেই দুর্যোগের সম্মুখীন হয়ে অটো প্রমোশন দেয়া হলেও শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের যোগ্যতা অবশ্যই যাচাই করা উচিত।

সবুজ ভট্টাচার্য

সোমবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৫ মাঘ ১৪২৭, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪২

শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের যোগ্যতা যাচাই করা উচিত

করোনাভাইরাস শুধু যে আমাদের শারীরিক এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তা নয় বরং শিক্ষা জগৎকে পিছিয়ে দিয়েছে কয়েক যুগ। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণে একপ্রকার টালমাটাল অবস্থা পরিলক্ষিত হয়েছে। সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় একের অধিক প্রস্তাব এবং দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে শেষ মুহূর্তে গিয়ে কিছু অদ্ভুত এবং আপাত: দৃষ্টিতে ভালো এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ জনসাধারণের কাছে একটি স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ফলস্বরূপ গত ৭ অক্টোবর বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অটোপাসের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এবং তারই সূত্র ধরে গত ৩০ জানুয়ারি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি অপ্রস্তুত এবং অযোগ্য নাগরিক উপহার দিচ্ছি যারা হয়তো ভবিষ্যতে স্বজনপ্রীতির হাত ধরে দেশের গুরুত্বপূর্ণ কর্মস্থলে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। তাই এই অটোপ্রমোশন প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে যোগ্য এবং অযোগ্য শিক্ষার্থীদের আলাদা করে পরবর্তী শিক্ষাস্তরে প্রেরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা সময়ের দাবি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এইচএসসি পরীক্ষায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। তারা পরবর্তীতে পুনরায় পরীক্ষা প্রদানের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করে। এবার সঠিক সময়ে পরীক্ষা গ্রহণ করলে এই অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের পরিমাণ বহুলাংশে বৃদ্ধি পেত। কারণ তারা বিশাল একটি সময় কলেজ এবং সহযোগী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন পর্যবেক্ষণ থেকে দূরে ছিলেন। কাজেই দুর্যোগের সম্মুখীন হয়ে অটো প্রমোশন দেয়া হলেও শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের যোগ্যতা অবশ্যই যাচাই করা উচিত।

সবুজ ভট্টাচার্য