কিশোরগঞ্জে ধর্ষণ খুন গুমের মামলায় মৃত্যুদণ্ড

কিশোরগঞ্জের ১নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় একমাত্র আসামির মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার রায় হয়েছে। ট্রাইবুনালের জেলা জজ কিরণ শংকর হালদার গতকাল তাড়াইলের জাওয়ার গ্রামের আবদুল কুদ্দুছের ছেলে এমদাদুল হককে (৩৬) তার উপস্থিতিতে এই দণ্ড দিয়েছেন। তাড়াইলের গজেন্দ্রপুর গ্রামের জমির উদ্দিনের মেয়ে শাহনাজ আক্তারকে ধর্ষণ, খুন ও গুম করার দায়ে তাকে এ দণ্ড দেয়া হয়েছে বলে ট্রাইবুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এমএ আফজাল জানান।

আসামির স্বীকারোক্তি ও মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামি এমদাদুল হক ২০০২ সালে এসএসসি পাস করে জাওয়ার বাজারে ফোন, ফ্যাক্স ও কম্পিউটারের দোকান দেন। দোকানেই শাহনাজের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর প্রায়ই মোবাইল ফোনে কথা হতো। এক পর্যায়ে এমদাদের প্রস্তাবেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বিভিন্ন সময় শাহনাজের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। ২০১৭ সালের ২১ মে রাত ১২টার দিকে এমদাদের ঘরে গিয়ে শাহনাজ জানান, তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন এবং এমদাদের সঙ্গে থাকবেন। শাহনাজের শরীরে গন্ধ থাকার কথা বলে শাহনাজকে গোসল করানোর নাম করে সালাম বেপারির বাড়ির পেছনের জঙ্গলে নিয়ে যান এমদাদ।

শাহনাজকে তখন বাড়িতে ফিরে যাবার কথা বললেও শাহনাজ রাজি হননি। এ সময় শাহনাজের কোমরে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর ভোরবেলায় কোদাল নিয়ে গর্ত করে লাশ মাটিচাপা দেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা খায়রুন্নেছা বাদী হয়ে মামলা করলে মঙ্গলবার আদালতে এমদাদুল হকের ফাঁসি ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ হয়।

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৭ মাঘ ১৪২৭, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

কিশোরগঞ্জে ধর্ষণ খুন গুমের মামলায় মৃত্যুদণ্ড

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের ১নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় একমাত্র আসামির মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার রায় হয়েছে। ট্রাইবুনালের জেলা জজ কিরণ শংকর হালদার গতকাল তাড়াইলের জাওয়ার গ্রামের আবদুল কুদ্দুছের ছেলে এমদাদুল হককে (৩৬) তার উপস্থিতিতে এই দণ্ড দিয়েছেন। তাড়াইলের গজেন্দ্রপুর গ্রামের জমির উদ্দিনের মেয়ে শাহনাজ আক্তারকে ধর্ষণ, খুন ও গুম করার দায়ে তাকে এ দণ্ড দেয়া হয়েছে বলে ট্রাইবুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এমএ আফজাল জানান।

আসামির স্বীকারোক্তি ও মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামি এমদাদুল হক ২০০২ সালে এসএসসি পাস করে জাওয়ার বাজারে ফোন, ফ্যাক্স ও কম্পিউটারের দোকান দেন। দোকানেই শাহনাজের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর প্রায়ই মোবাইল ফোনে কথা হতো। এক পর্যায়ে এমদাদের প্রস্তাবেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বিভিন্ন সময় শাহনাজের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। ২০১৭ সালের ২১ মে রাত ১২টার দিকে এমদাদের ঘরে গিয়ে শাহনাজ জানান, তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন এবং এমদাদের সঙ্গে থাকবেন। শাহনাজের শরীরে গন্ধ থাকার কথা বলে শাহনাজকে গোসল করানোর নাম করে সালাম বেপারির বাড়ির পেছনের জঙ্গলে নিয়ে যান এমদাদ।

শাহনাজকে তখন বাড়িতে ফিরে যাবার কথা বললেও শাহনাজ রাজি হননি। এ সময় শাহনাজের কোমরে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর ভোরবেলায় কোদাল নিয়ে গর্ত করে লাশ মাটিচাপা দেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা খায়রুন্নেছা বাদী হয়ে মামলা করলে মঙ্গলবার আদালতে এমদাদুল হকের ফাঁসি ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ হয়।