মায়ানমারে সরকারি কর্মকর্তারাও এবার বিক্ষোভে যোগ দিলেন

মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান বিরোধিতায় দেশটির কয়েক হাজার সরকারি কর্মকর্তা এবার চলমান বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। রাজধানী নেপিদোতে সর্বাত্মক ধর্মঘটে যোগ দেন তারা। চিকিৎসকদের উদ্যোগে শুরু হওয়া স্বীকৃতি না, অংশগ্রহণ না শিরোনামে কর্মসূচি তাদের অংশগ্রহণে আরও গতি পেয়েছে। বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও এতে শামিল হয়েছেন। মায়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এ খবর জানিয়েছে।

সংবাদে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, বিনিয়োগ, সমাজ কল্যাণ ও অবকাঠামো মন্ত্রণালয় এবং বন ও রেলওয়ে বিভাগের কর্মীরা ধর্মঘটে যোগ দেন। বিনিয়োগ ও বিদেশি অর্থনৈতিক সম্পর্ক মন্ত্রণালয়ের কর্মীরা এক বিবৃতিতে জানান, সামরিক শাসনের অধীনে কাজ করতে তারা আগ্রহী নন। তাই তারা চলমান আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা ২০০৮ সালের সংবিধান সম্মত মৌলিক অধিকার রক্ষায় বিশ্বাসের কথা জানিয়েছে। এতে অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও দফতরের কর্মীদের ধর্মঘটে যোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়। সমাজ কল্যাণ দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করলেই আমরা কাজে ফিরব।

এছাড়া শিক্ষক, বন বিভাগ, সাধারণ প্রশাসনের কর্মী ও উর্দি পরা নার্সরাও বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ও ধর্মঘটে যোগ দিয়েছেন।

চলমান অসহযোগ ও ধর্মঘটের সমর্থনে মায়ানমারজুড়ে ব্যাপক মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। সামরিক শাসনের বিরোধিতার পাশাপাশি আটক বেসামরিক সরকারের নেতা, অ্যাকটিভিস্টদের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ২৭ মাঘ ১৪২৭, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪২

মায়ানমারে সরকারি কর্মকর্তারাও এবার বিক্ষোভে যোগ দিলেন

মায়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান বিরোধিতায় দেশটির কয়েক হাজার সরকারি কর্মকর্তা এবার চলমান বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন। রাজধানী নেপিদোতে সর্বাত্মক ধর্মঘটে যোগ দেন তারা। চিকিৎসকদের উদ্যোগে শুরু হওয়া স্বীকৃতি না, অংশগ্রহণ না শিরোনামে কর্মসূচি তাদের অংশগ্রহণে আরও গতি পেয়েছে। বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও এতে শামিল হয়েছেন। মায়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এ খবর জানিয়েছে।

সংবাদে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, বিনিয়োগ, সমাজ কল্যাণ ও অবকাঠামো মন্ত্রণালয় এবং বন ও রেলওয়ে বিভাগের কর্মীরা ধর্মঘটে যোগ দেন। বিনিয়োগ ও বিদেশি অর্থনৈতিক সম্পর্ক মন্ত্রণালয়ের কর্মীরা এক বিবৃতিতে জানান, সামরিক শাসনের অধীনে কাজ করতে তারা আগ্রহী নন। তাই তারা চলমান আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা ২০০৮ সালের সংবিধান সম্মত মৌলিক অধিকার রক্ষায় বিশ্বাসের কথা জানিয়েছে। এতে অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও দফতরের কর্মীদের ধর্মঘটে যোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়। সমাজ কল্যাণ দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করলেই আমরা কাজে ফিরব।

এছাড়া শিক্ষক, বন বিভাগ, সাধারণ প্রশাসনের কর্মী ও উর্দি পরা নার্সরাও বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ ও ধর্মঘটে যোগ দিয়েছেন।

চলমান অসহযোগ ও ধর্মঘটের সমর্থনে মায়ানমারজুড়ে ব্যাপক মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। সামরিক শাসনের বিরোধিতার পাশাপাশি আটক বেসামরিক সরকারের নেতা, অ্যাকটিভিস্টদের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।