খেলাপিদের নতুন ঋণ দেয়ার বিষয়ে সতকর্তার সুপারিশ

খেলাপিদের নতুন করে ঋণ না দেয়ার বিষয়ে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। গতকাল ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির ২০২০-২১ : প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা’ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ঋণ খেলাপিদের কারণে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু সরকারের কাছে এসব খেলাপিদের বিষয়ে নির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই। প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে কারা অর্থ পেলেন বা ঋণ খেলাপিরা কত পেলেন সে বিষয়েও কোন তথ্য নেই। এজন্য প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ প্রাপ্তদের বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রকাশ করা দরকার। ব্যাংকগুলো আরও শক্তিশালী করতে হলে ব্যাংক লিকিউডিটি সাপোর্ট তুলে নিতে হবে। করোনার সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি অন্য দেশগুলোর তুলনায় অনেকে ভালো করেছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী ছয় মাস কৃষি, রপ্তানি ও রেমিট্যান্স খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

সিপিডি সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সামষ্টিক অর্থনৈতিক রেমিটেন্সে সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করেছে। প্রথম সাত মাসে আমাদের রিজার্ভ হয়েছে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলায়। কিন্তু এর পেছনে যে কারণটি রয়েছে সেটি দুশ্চিন্তার। কারণ আমদানি কম হওয়ার কারণে রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এরমধ্য দিয়ে আমাদের অর্থনৈতিক দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। আমাদের আমদানি কমেছে ৮ শতাংশ। যেখানে রপ্তানি কমেছে ১ শতাংশ। সুতরাং আমাদের আমদানি নির্ভর শিল্প কমে গেছে।

সিপিডির সিনিয়র গবেষক তাওফিকুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত গতিতে এগিয়ে গেলেও ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা (এসএমই) পিছিয়ে পড়ছেন। তারা সরকারের পর্যাপ্ত সহায়তাও পাচ্ছে না।

সিপিডির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর এই সময় দেশে চাল মজুদ ছিল ১৫ লাখ টন, এখন যা মাত্র ৭ লাখ টন। সামনের দিনগুলোর জন্য অন্তত ১০ লাখ টন চাল মজুদ রাখা প্রয়োজন। এজন্য চাল আমদানির ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগের ওপর জোর দিতে হবে।

মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৩ ফাল্গুন ১৪২৭ ৩ রজব ১৪৪২

খেলাপিদের নতুন ঋণ দেয়ার বিষয়ে সতকর্তার সুপারিশ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক |

image

খেলাপিদের নতুন করে ঋণ না দেয়ার বিষয়ে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। গতকাল ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির ২০২০-২১ : প্রথম অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনা’ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ঋণ খেলাপিদের কারণে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু সরকারের কাছে এসব খেলাপিদের বিষয়ে নির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই। প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে কারা অর্থ পেলেন বা ঋণ খেলাপিরা কত পেলেন সে বিষয়েও কোন তথ্য নেই। এজন্য প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ প্রাপ্তদের বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রকাশ করা দরকার। ব্যাংকগুলো আরও শক্তিশালী করতে হলে ব্যাংক লিকিউডিটি সাপোর্ট তুলে নিতে হবে। করোনার সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি অন্য দেশগুলোর তুলনায় অনেকে ভালো করেছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী ছয় মাস কৃষি, রপ্তানি ও রেমিট্যান্স খাতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

সিপিডি সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সামষ্টিক অর্থনৈতিক রেমিটেন্সে সরকারের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শক্তিশালী করেছে। প্রথম সাত মাসে আমাদের রিজার্ভ হয়েছে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলায়। কিন্তু এর পেছনে যে কারণটি রয়েছে সেটি দুশ্চিন্তার। কারণ আমদানি কম হওয়ার কারণে রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এরমধ্য দিয়ে আমাদের অর্থনৈতিক দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। আমাদের আমদানি কমেছে ৮ শতাংশ। যেখানে রপ্তানি কমেছে ১ শতাংশ। সুতরাং আমাদের আমদানি নির্ভর শিল্প কমে গেছে।

সিপিডির সিনিয়র গবেষক তাওফিকুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত গতিতে এগিয়ে গেলেও ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা (এসএমই) পিছিয়ে পড়ছেন। তারা সরকারের পর্যাপ্ত সহায়তাও পাচ্ছে না।

সিপিডির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর এই সময় দেশে চাল মজুদ ছিল ১৫ লাখ টন, এখন যা মাত্র ৭ লাখ টন। সামনের দিনগুলোর জন্য অন্তত ১০ লাখ টন চাল মজুদ রাখা প্রয়োজন। এজন্য চাল আমদানির ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগের ওপর জোর দিতে হবে।