নিরাপত্তা নিয়ে সিলেট সিটি মেয়রের শঙ্কা

চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। গত বুধবার নগরীর চৌহাট্টায় অবৈধ গাড়ির স্ট্যান্ড উচ্ছেদকালে আগ্নেয়াস্ত্রসহ একজন আটক হওয়ার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়, এর আগেও বিভিন্ন উচ্ছেদ কার্যক্রমে মেয়রের পাশে ছিল ফয়সল আহমদ ফাহাদ নামের এই যুবক। সে সিলেট মহানগনর স্বেচ্ছাসেবক লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক। অনেকের ধারণা দীর্ঘদিন থেকেই সে মেয়রের ক্ষতি করার ছক কষছিল। এমতাবস্থায় নিজেদর জীবন হুমকির মুখে বলে মনে করছেন আরিফুল হক চৌধুরী।

নিজের ফেইসবুকে ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল ফাহাদ ২টি ছবি পোস্ট করে লিখেছিল, ‘সিলেট সিটি করপোরেশন এর অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান। জেলরোড হতে চৌহাট্টা আম্বরখানা হয়ে সুবিদবাজার পর্যন্ত হয়েছে এই অভিযান। এ সময় সঙ্গে ছিলেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং সিলেট মহানগর আওয়ামী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংগ্রামী সভাপতি সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রিয় মুখ ৭নং ওয়ার্ডের জননন্দিত কাউন্সিলর শ্রদ্ধেয় জনাব আফতাব হোসেন খান।’ ছবি দুটিতে উচ্ছেদ অভিযানে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খানের সঙ্গে সামনের সারিতেই দেখা যায় ফাহাদকে।

ফয়সাল আহমদ ফাহাদের ফেইসবুক থেকে কাউন্সিলর আফতাব বলয়ের নেতা হিসেবে তার পরিচয় জানা যায়। কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। আর ফাহাদ এই কমিটির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক। শুধু তা নয় সে বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদ সিলেট মহানগর ৭নং ওয়ার্ডের উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ সিলেট বিভাগীয় আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব।

সিলেট নগরীর চৌহাট্টায় সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মী ও পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষের সময় অস্ত্রসহ আটক ফয়সল আহমদ ফাহাদকে নিজের দলের কর্মী বলে স্বীকার করেন সিলেট মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সিটি কাউন্সিলর আফতাব হোসেন। তবে ফাহাদের হাতে বন্দুক দিয়ে পরিবহন শ্রমিকরাই ফাঁসিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ তার।

এ ব্যাপারে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সংবাদকে বলেন, সিলেট নগরীর উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে শুরু থেকেই হুমকির মুখে। তবে সবার সহযোগিতায় তিনি কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছেন। তিনি বলেন, গত বুধবার সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক এই যুবককে তিনি চেনেন না। সে কেন সেখানে অস্ত্র ও গুলি নিয়ে গিয়েছিল তা তার বোধগম্য নয়। তবে ওইদিনের পর থেকে নিজের জীবন হুমকির মুখে বলে মনে করছেন তিনি।

গত বুধবার বেলা একটায় সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন মেয়র ও সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের উপরও হামলা করে পরিবহন শ্রমিকরা। এক পর্যায়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে কাউন্সিলর-পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে চৌহাট্টা এলাকায়।

শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২১ , ৭ ফাল্গুন ১৪২৭ ৭ রজব ১৪৪২

নিরাপত্তা নিয়ে সিলেট সিটি মেয়রের শঙ্কা

বিশেষ প্রতিনিধি

চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। গত বুধবার নগরীর চৌহাট্টায় অবৈধ গাড়ির স্ট্যান্ড উচ্ছেদকালে আগ্নেয়াস্ত্রসহ একজন আটক হওয়ার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায়, এর আগেও বিভিন্ন উচ্ছেদ কার্যক্রমে মেয়রের পাশে ছিল ফয়সল আহমদ ফাহাদ নামের এই যুবক। সে সিলেট মহানগনর স্বেচ্ছাসেবক লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক। অনেকের ধারণা দীর্ঘদিন থেকেই সে মেয়রের ক্ষতি করার ছক কষছিল। এমতাবস্থায় নিজেদর জীবন হুমকির মুখে বলে মনে করছেন আরিফুল হক চৌধুরী।

নিজের ফেইসবুকে ২০১৯ সালের ১৭ এপ্রিল ফাহাদ ২টি ছবি পোস্ট করে লিখেছিল, ‘সিলেট সিটি করপোরেশন এর অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান। জেলরোড হতে চৌহাট্টা আম্বরখানা হয়ে সুবিদবাজার পর্যন্ত হয়েছে এই অভিযান। এ সময় সঙ্গে ছিলেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং সিলেট মহানগর আওয়ামী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংগ্রামী সভাপতি সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রিয় মুখ ৭নং ওয়ার্ডের জননন্দিত কাউন্সিলর শ্রদ্ধেয় জনাব আফতাব হোসেন খান।’ ছবি দুটিতে উচ্ছেদ অভিযানে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খানের সঙ্গে সামনের সারিতেই দেখা যায় ফাহাদকে।

ফয়সাল আহমদ ফাহাদের ফেইসবুক থেকে কাউন্সিলর আফতাব বলয়ের নেতা হিসেবে তার পরিচয় জানা যায়। কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। আর ফাহাদ এই কমিটির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক। শুধু তা নয় সে বঙ্গবন্ধু যুব পরিষদ সিলেট মহানগর ৭নং ওয়ার্ডের উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ সিলেট বিভাগীয় আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব।

সিলেট নগরীর চৌহাট্টায় সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মী ও পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষের সময় অস্ত্রসহ আটক ফয়সল আহমদ ফাহাদকে নিজের দলের কর্মী বলে স্বীকার করেন সিলেট মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সিটি কাউন্সিলর আফতাব হোসেন। তবে ফাহাদের হাতে বন্দুক দিয়ে পরিবহন শ্রমিকরাই ফাঁসিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ তার।

এ ব্যাপারে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সংবাদকে বলেন, সিলেট নগরীর উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে শুরু থেকেই হুমকির মুখে। তবে সবার সহযোগিতায় তিনি কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছেন। তিনি বলেন, গত বুধবার সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক এই যুবককে তিনি চেনেন না। সে কেন সেখানে অস্ত্র ও গুলি নিয়ে গিয়েছিল তা তার বোধগম্য নয়। তবে ওইদিনের পর থেকে নিজের জীবন হুমকির মুখে বলে মনে করছেন তিনি।

গত বুধবার বেলা একটায় সিলেট নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকারের অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন মেয়র ও সিলেট সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের উপরও হামলা করে পরিবহন শ্রমিকরা। এক পর্যায়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে কাউন্সিলর-পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে চৌহাট্টা এলাকায়।