হেফাজতের আড়াই শতাধিক নেতাকর্মী আটক

ঢাকায় তিন নেতা রিমান্ডে

বাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতের তান্ডব, আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গত দুই দিনে হেফাজতের শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতাসহ আড়াইশ’র বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে হেফাজত নেতা সাখাওয়াত হোসেন রাজীসহ ৩ নেতাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তাদের দেয়া তথ্য মতে,পলাতক অনদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। আমাদের আদালত বার্তা পরিবেশক জানান, গতকাল হেফাজতের তিন নেতাকে ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তার মধ্যে পল্টন থানার ২০১৩ সালের মামলায়ও তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে হেফাজত নেতা সাখাওয়াত হোসেন রাজীও রয়েছে। হেফাজতের তান্ডব, অস্থিরতা সৃষ্টি ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের নানা অপকর্ম উদ্ঘাটনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, রাজধানীর যাত্রবাড়ী, নারায়ণগঞ্জসহ যেসব স্থানে হেফাজতের নেতারা বিশৃঙ্খলা করছে, এজন্য মামলা দায়ের করা হয়েছে, প্রত্যেকটি পুরনো ও নতুনা মামলা পুলিশ তদন্ত করে আসামিদের গ্রেপ্তার করছে। পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে জানান, বাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকায় হেফাজতে নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর, পুলিশের স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, আগুন, সরকারি বিভিন্ন অফিসে তান্ডবের ঘটনার দায়েরকৃত মামলার অভিযুক্ত আসামিদের ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বাহ্মণবাড়িয়া, হাটহাজারীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের যেসব স্থানে তান্ডব চালানো হয়েছে, ওসব এলাকায় অভিযান চালিয়ে আড়াইশ’ তান্ডবকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

সূত্র জানায়, হেফাজতের গ্রেপ্তারকৃতসহ সব অভিযুক্ত সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। তাদের সম্পর্কে তথ্য উদ্ঘাটনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। অভিযোগ রয়েছে, একের পর এক গ্রেপ্তার ও হেফাজত নেতাদের বিভিন্ন তথ্য পুলিশ উদ্ঘাটন করার চেষ্টা করছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, পুলিশি স্থাপনায় হামলা, ভঙচুর, সরকারি অফিসের আগুন, নথি তচনছ করার ঘটনায় দায়েরকৃত সব মামলায় অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ খুঁজছে।

হেফাজতের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত পুরনো মামলাগুলো নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। নতুন করে ওসব মামলার তদন্ত ও গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।

শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১ , ৩ বৈশাখ ১৪২৮ ৩ রমজান ১৪৪২

হেফাজতের আড়াই শতাধিক নেতাকর্মী আটক

ঢাকায় তিন নেতা রিমান্ডে

বাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হেফাজতের তান্ডব, আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গত দুই দিনে হেফাজতের শীর্ষস্থানীয় একাধিক নেতাসহ আড়াইশ’র বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে হেফাজত নেতা সাখাওয়াত হোসেন রাজীসহ ৩ নেতাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তাদের দেয়া তথ্য মতে,পলাতক অনদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। আমাদের আদালত বার্তা পরিবেশক জানান, গতকাল হেফাজতের তিন নেতাকে ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তার মধ্যে পল্টন থানার ২০১৩ সালের মামলায়ও তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে হেফাজত নেতা সাখাওয়াত হোসেন রাজীও রয়েছে। হেফাজতের তান্ডব, অস্থিরতা সৃষ্টি ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের নানা অপকর্ম উদ্ঘাটনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, রাজধানীর যাত্রবাড়ী, নারায়ণগঞ্জসহ যেসব স্থানে হেফাজতের নেতারা বিশৃঙ্খলা করছে, এজন্য মামলা দায়ের করা হয়েছে, প্রত্যেকটি পুরনো ও নতুনা মামলা পুলিশ তদন্ত করে আসামিদের গ্রেপ্তার করছে। পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে জানান, বাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকায় হেফাজতে নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর, পুলিশের স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, আগুন, সরকারি বিভিন্ন অফিসে তান্ডবের ঘটনার দায়েরকৃত মামলার অভিযুক্ত আসামিদের ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বাহ্মণবাড়িয়া, হাটহাজারীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের যেসব স্থানে তান্ডব চালানো হয়েছে, ওসব এলাকায় অভিযান চালিয়ে আড়াইশ’ তান্ডবকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

সূত্র জানায়, হেফাজতের গ্রেপ্তারকৃতসহ সব অভিযুক্ত সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। তাদের সম্পর্কে তথ্য উদ্ঘাটনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। অভিযোগ রয়েছে, একের পর এক গ্রেপ্তার ও হেফাজত নেতাদের বিভিন্ন তথ্য পুলিশ উদ্ঘাটন করার চেষ্টা করছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, পুলিশি স্থাপনায় হামলা, ভঙচুর, সরকারি অফিসের আগুন, নথি তচনছ করার ঘটনায় দায়েরকৃত সব মামলায় অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ খুঁজছে।

হেফাজতের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত পুরনো মামলাগুলো নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। নতুন করে ওসব মামলার তদন্ত ও গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে।