এবার সংক্রমণের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার। জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান ব্যাংক বন্ধের ঘোষণার পর আবার খোলা, এ নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন ব্যাংকাররাও। কারণ এরই মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যবরণ করেছেন মোট ১০ ব্যাংকার। উপসর্গ দেখা দিয়েছে আরও সহস্রাধিক কর্মকর্তার শরীরে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জরুরি সেবা হিসেবে ব্যাংক খোলা থাকলেও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে অফিসে যাওয়া-আসা এবং কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক সময় স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ পরিপালন করা হয় না। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাও সম্ভব হচ্ছে না। এসব কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন তারা, সঙ্গে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। তাই দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অধিক কর্মী সমাগম ঠেকাতে অনলাইন ব্যাংকিংয়ে জোর দেয়া উচিত।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে একজন ঢাকা ও অন্যজন চট্টগ্রামের সিনিয়র ভাইস প্রিন্সিপাল পর্যায়ের কর্মী। গত ৮ এপ্রিল বিকেল ৪টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান যমুনা ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার শরিফুল বারী মিল্টন।
গত সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের একজন কর্মকর্তা। ব্যাংকের সেবা বিভাগে কর্মরত ওই কর্মকর্তার নাম আবদুর রাজ্জাক ইউসুফজাই। নিলফামারীতে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের একজন চালক মারা গেছেন একই সপ্তাহে। এছাড়া ব্যাংটির প্রধান কার্যালায়ের সহকারী-মহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেনসহ আরও কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। গত ৬ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহফুজুল ইসলাম (৪৮) নামে আরেক ব্যাংক কর্মকর্তা মারা যান। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা ছিলেন। ৫ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের গোপালপুরে করোনায় মারা যান ফৌজিয়া জেসমিন নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা। ৫ এপ্রিল ভোরে অগ্রণী ব্যাংকের আরেক কর্মকর্তা মুহা. মুহিব্বুল্লাহ বাহার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
গত ৪ এপ্রিল মধ্যরাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মহিদুল হক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) সহকারী মহাব্যবস্থাপক শামীমা ফেরদৌস শিমুল। ৩১ মার্চ ভোরে নাটোরে নিজ বাসায় মারা যান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ন্যাশনাল ব্যাংক নাটোর শাখার প্রথম নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম কনক। ৩০ মার্চ করোনায় মারা যান সিটি ব্যাংকের মিরপুর শাখার সিনিয়র অফিসার আতিয়া খানম।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আতিয়া খানম ১৮ বছর সিটি ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন।
শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১ , ৪ বৈশাখ ১৪২৮ ৪ রমজান ১৪৪২
অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক
এবার সংক্রমণের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার। জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান ব্যাংক বন্ধের ঘোষণার পর আবার খোলা, এ নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন ব্যাংকাররাও। কারণ এরই মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যবরণ করেছেন মোট ১০ ব্যাংকার। উপসর্গ দেখা দিয়েছে আরও সহস্রাধিক কর্মকর্তার শরীরে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জরুরি সেবা হিসেবে ব্যাংক খোলা থাকলেও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে অফিসে যাওয়া-আসা এবং কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক সময় স্বাস্থ্যবিধি যথাযথ পরিপালন করা হয় না। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাও সম্ভব হচ্ছে না। এসব কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন তারা, সঙ্গে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। তাই দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অধিক কর্মী সমাগম ঠেকাতে অনলাইন ব্যাংকিংয়ে জোর দেয়া উচিত।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে একজন ঢাকা ও অন্যজন চট্টগ্রামের সিনিয়র ভাইস প্রিন্সিপাল পর্যায়ের কর্মী। গত ৮ এপ্রিল বিকেল ৪টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান যমুনা ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার শরিফুল বারী মিল্টন।
গত সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের একজন কর্মকর্তা। ব্যাংকের সেবা বিভাগে কর্মরত ওই কর্মকর্তার নাম আবদুর রাজ্জাক ইউসুফজাই। নিলফামারীতে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের একজন চালক মারা গেছেন একই সপ্তাহে। এছাড়া ব্যাংটির প্রধান কার্যালায়ের সহকারী-মহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেনসহ আরও কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। গত ৬ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহফুজুল ইসলাম (৪৮) নামে আরেক ব্যাংক কর্মকর্তা মারা যান। তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা ছিলেন। ৫ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের গোপালপুরে করোনায় মারা যান ফৌজিয়া জেসমিন নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা। ৫ এপ্রিল ভোরে অগ্রণী ব্যাংকের আরেক কর্মকর্তা মুহা. মুহিব্বুল্লাহ বাহার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
গত ৪ এপ্রিল মধ্যরাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা চৌধুরী মহিদুল হক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) সহকারী মহাব্যবস্থাপক শামীমা ফেরদৌস শিমুল। ৩১ মার্চ ভোরে নাটোরে নিজ বাসায় মারা যান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া ন্যাশনাল ব্যাংক নাটোর শাখার প্রথম নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম কনক। ৩০ মার্চ করোনায় মারা যান সিটি ব্যাংকের মিরপুর শাখার সিনিয়র অফিসার আতিয়া খানম।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আতিয়া খানম ১৮ বছর সিটি ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন।