করোনার কারণে নানান প্রতিবন্ধকতার মধ্যদিয়ে শিল্পীদের যেতে হচ্ছে। আবার করোনার কারণে অনেক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বও মারাও যাচ্ছেন। তাদের শোকে কাতর সাংস্কৃতিক অঙ্গন। আবার লকডাউনের কারণে সব ধরনের কাজও বন্ধ। শিল্পীদের স্টেজ শো অনেকটাই কিছুদিন আগে চাঙ্গা হয়ে উঠার পরও আবার করোনা বেড়ে যাবার কারণে সব স্টেজ শো বাতিল ঘোষনা করা হলো। তাতে যারা স্টেজ-এ নিয়মিত সংগীত পরিবেশন করেন তারা পড়েছেন বিপাকে। গত বছর করোনা মহামারি পুরোপুরি এলোমেলো করে দেয় সংগীতের অঙ্গনকে। বিশেষ করে স্টেজ শো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকটাই বেকার হয়ে পড়েন শিল্পী-মিউজিশিয়ানরা। অনেকে ঢাকা শহরে টিকতে না পেরে গ্রামে চলে যান, বেছে নেন অন্য পেশা। তবে গত বছরের শেষের দিক থেকে করোনা পরিস্থিতি সহনীয় থাকায় ধীরে ধীরে স্টেজ শো যেমন বাড়তে থাকে তেমনি গান প্রকাশের সংখ্যাও বাড়ে। মাত্রই ঠিক হওয়া শুরু হয়েছিল স্টেজ শো। শিল্পী-মিউজিশিয়ানরাও ব্যস্ত হয়ে উঠছিলেন এ মাধ্যমটিতে। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আবার ল-ভ- করে দিয়েছে সংগীতাঙ্গনকে।
পাশাপাশি শিল্পী- মিউজিশিয়ানসহ সংশ্লিষ্টদের মনও ভেঙে গেছে। জীবন ও জীবিকার মাঝে দোদুল্যমান অবস্থায় রয়েছেন তারা। করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় গত মাসের মাঝামাঝি থেকে বাতিল হতে থাকে স্টেজ শো। এরইমধ্যে শিল্পীদের দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় শতাধিক শো বাতিল হয়েছে। আর লকডাউন চলে আসায় শো পুনরায় শুরু হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। রমজানে এমনিতেই স্টেজ শো তেমন আয়োজন হয় না। সেদিক থেকে রমজানের এমন পরিস্থিতি দেশের শিল্পী-মিউজিশিয়ানদের জন্য বড় ধাক্কা। এই ধাক্কা কতটা কে সামলাতে পারবেন সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়ে যায়। তাহলে কি আবার অনেক শিল্পী-মিউজিশিয়ান এমন পরিস্থিতিতে হারিয়ে যাবেন, যেমনটা গিয়েছেন গত বছর! অনেক নিয়মিত শিল্পী ও মিউজিশিয়ানদের কাছ থেকে তেমন ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এভাবে আসলে টিকে থাকা কঠিন। এই খারাপ সময়ে যেন আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে না যাই। সবাই যেন সবার পাশে দাঁড়াতে পারি।’
শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১ , ৪ বৈশাখ ১৪২৮ ৪ রমজান ১৪৪২
বিনোদন প্রতিবেদক |
করোনার কারণে নানান প্রতিবন্ধকতার মধ্যদিয়ে শিল্পীদের যেতে হচ্ছে। আবার করোনার কারণে অনেক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বও মারাও যাচ্ছেন। তাদের শোকে কাতর সাংস্কৃতিক অঙ্গন। আবার লকডাউনের কারণে সব ধরনের কাজও বন্ধ। শিল্পীদের স্টেজ শো অনেকটাই কিছুদিন আগে চাঙ্গা হয়ে উঠার পরও আবার করোনা বেড়ে যাবার কারণে সব স্টেজ শো বাতিল ঘোষনা করা হলো। তাতে যারা স্টেজ-এ নিয়মিত সংগীত পরিবেশন করেন তারা পড়েছেন বিপাকে। গত বছর করোনা মহামারি পুরোপুরি এলোমেলো করে দেয় সংগীতের অঙ্গনকে। বিশেষ করে স্টেজ শো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকটাই বেকার হয়ে পড়েন শিল্পী-মিউজিশিয়ানরা। অনেকে ঢাকা শহরে টিকতে না পেরে গ্রামে চলে যান, বেছে নেন অন্য পেশা। তবে গত বছরের শেষের দিক থেকে করোনা পরিস্থিতি সহনীয় থাকায় ধীরে ধীরে স্টেজ শো যেমন বাড়তে থাকে তেমনি গান প্রকাশের সংখ্যাও বাড়ে। মাত্রই ঠিক হওয়া শুরু হয়েছিল স্টেজ শো। শিল্পী-মিউজিশিয়ানরাও ব্যস্ত হয়ে উঠছিলেন এ মাধ্যমটিতে। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আবার ল-ভ- করে দিয়েছে সংগীতাঙ্গনকে।
পাশাপাশি শিল্পী- মিউজিশিয়ানসহ সংশ্লিষ্টদের মনও ভেঙে গেছে। জীবন ও জীবিকার মাঝে দোদুল্যমান অবস্থায় রয়েছেন তারা। করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় গত মাসের মাঝামাঝি থেকে বাতিল হতে থাকে স্টেজ শো। এরইমধ্যে শিল্পীদের দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় শতাধিক শো বাতিল হয়েছে। আর লকডাউন চলে আসায় শো পুনরায় শুরু হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। রমজানে এমনিতেই স্টেজ শো তেমন আয়োজন হয় না। সেদিক থেকে রমজানের এমন পরিস্থিতি দেশের শিল্পী-মিউজিশিয়ানদের জন্য বড় ধাক্কা। এই ধাক্কা কতটা কে সামলাতে পারবেন সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়ে যায়। তাহলে কি আবার অনেক শিল্পী-মিউজিশিয়ান এমন পরিস্থিতিতে হারিয়ে যাবেন, যেমনটা গিয়েছেন গত বছর! অনেক নিয়মিত শিল্পী ও মিউজিশিয়ানদের কাছ থেকে তেমন ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এভাবে আসলে টিকে থাকা কঠিন। এই খারাপ সময়ে যেন আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে না যাই। সবাই যেন সবার পাশে দাঁড়াতে পারি।’