খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাসায় রেখেই চলবে

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ফুসফুসে ‘অত্যন্ত মিনিমাম’ সংক্রমণ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে পূর্ণাঙ্গ সিটি স্ক্যান প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে, প্রতিবেদন আসার পর মধ্যরাতেই ভার্চুয়াল পর্যালোচনা করেন চিকিৎসকরা। পরে খালেদা জিয়ার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে নতুন একটি ওষুধ যুক্ত করা হয়। বর্তমান শারীরিক অবস্থায় তাকে বাসায় রেখেই চিকিৎসা চলবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যানের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হাতে পায় তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা। এরপর রিপোর্টটি বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে অনলাইনে পাঠানো হয়। এরপর অনলাইনের মাধ্যমে ডা. জোবাইদা রহমান, ডা. এফ এম সিদ্দিকী, ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. শাকুর খান ও ডা. মামুনসহ কয়েকজন বিদেশি চিকিৎসক সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট পর্যালোচনা করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় আগের ওষুধের সঙ্গে নতুন কয়েকটি এন্টিবায়োটিক যুক্ত করা হয়।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ম্যাডামের সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। ডা. জোবাইদা রহমানের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকরা এটি পর্যালোচনা করেছেন। সেই অনুযায়ী ম্যাডামের আগের ওষুধের সঙ্গে নতুন ওষুধ যুক্ত করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, এখন পর্যন্ত ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। তাকে বাসায় রেখেই চিকিৎসা দেয়া হবে। তবে, করোনা রোগীর কখন কি হয় সেটা বলা মুশকিল। তাই তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতিও আমাদের রয়েছে। এর আগে গতকাল রাতে হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান শেষে ডা. জাহিদ বলেন, ম্যাডামের রিপোর্ট ভালো এসেছে। ফুসফুসে সংক্রমণের মাত্রা অত্যন্ত মিনিমান, নেগলিজিবল অ্যামাউন্ট।

বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়া নিজেই হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিতে আগ্রহী না। বৃহস্পতিবার রাতে এভার কেয়ার হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করানোর জন্য নেয়া হলে জরুরি বিভাগ থেকে তিনি কেবিনে যেতে অনীহা প্রকাশ করেন। ব্যক্তিগত এক ডাক্তারকে তিনি বলেন, আমি কিন্তু কেবিনে যাবো না। কাজ শেষে বাসায় চলে যাবো।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা (কারাদণ্ড) হয় খালেদা জিয়ার। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে তার ছয় মাসের মুক্তি হয়। পরে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তার মুক্তির সময় আরও ছয় মাস বাড়ায় সরকার। এ বছরের মার্চে তৃতীয়বারের মতো ছয় মাসের মেয়াদ বাড়ানো হয়।

শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১ , ৪ বৈশাখ ১৪২৮ ৪ রমজান ১৪৪২

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাসায় রেখেই চলবে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ফুসফুসে ‘অত্যন্ত মিনিমাম’ সংক্রমণ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে পূর্ণাঙ্গ সিটি স্ক্যান প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এদিকে, প্রতিবেদন আসার পর মধ্যরাতেই ভার্চুয়াল পর্যালোচনা করেন চিকিৎসকরা। পরে খালেদা জিয়ার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে নতুন একটি ওষুধ যুক্ত করা হয়। বর্তমান শারীরিক অবস্থায় তাকে বাসায় রেখেই চিকিৎসা চলবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যানের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হাতে পায় তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা। এরপর রিপোর্টটি বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে অনলাইনে পাঠানো হয়। এরপর অনলাইনের মাধ্যমে ডা. জোবাইদা রহমান, ডা. এফ এম সিদ্দিকী, ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. শাকুর খান ও ডা. মামুনসহ কয়েকজন বিদেশি চিকিৎসক সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট পর্যালোচনা করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় আগের ওষুধের সঙ্গে নতুন কয়েকটি এন্টিবায়োটিক যুক্ত করা হয়।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ম্যাডামের সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। ডা. জোবাইদা রহমানের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকরা এটি পর্যালোচনা করেছেন। সেই অনুযায়ী ম্যাডামের আগের ওষুধের সঙ্গে নতুন ওষুধ যুক্ত করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, এখন পর্যন্ত ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। তাকে বাসায় রেখেই চিকিৎসা দেয়া হবে। তবে, করোনা রোগীর কখন কি হয় সেটা বলা মুশকিল। তাই তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতিও আমাদের রয়েছে। এর আগে গতকাল রাতে হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান শেষে ডা. জাহিদ বলেন, ম্যাডামের রিপোর্ট ভালো এসেছে। ফুসফুসে সংক্রমণের মাত্রা অত্যন্ত মিনিমান, নেগলিজিবল অ্যামাউন্ট।

বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়া নিজেই হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিতে আগ্রহী না। বৃহস্পতিবার রাতে এভার কেয়ার হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করানোর জন্য নেয়া হলে জরুরি বিভাগ থেকে তিনি কেবিনে যেতে অনীহা প্রকাশ করেন। ব্যক্তিগত এক ডাক্তারকে তিনি বলেন, আমি কিন্তু কেবিনে যাবো না। কাজ শেষে বাসায় চলে যাবো।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা (কারাদণ্ড) হয় খালেদা জিয়ার। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে তার ছয় মাসের মুক্তি হয়। পরে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তার মুক্তির সময় আরও ছয় মাস বাড়ায় সরকার। এ বছরের মার্চে তৃতীয়বারের মতো ছয় মাসের মেয়াদ বাড়ানো হয়।