জাতিসংঘের মহাসচিব পদে লড়বেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অরোরা

জাতিসংঘের মহাসচিব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণী আকাক্সক্ষা অরোরা।

এই অল্প বয়সেই তিনি জাতিসংঘের মহাসচিব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যদি তাতে তিনি সফল হন তাহলে বিশ্ববাসীর আশ্রয়স্থল জাতিসংঘের প্রথম কোন নারী মহাসচিব হবেন তিনি।

আগামী অক্টোবরে এ পদে নির্বাচন। তাতে আগেভাগেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই তরুণী।

অরোরা ২০১৬ সালে যোগ দেন জাতিসংঘে। এর ২ বছরের মধ্যে তার মনে হতে থাকে যে উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ সৃষ্টি করা হয়েছে, সেই লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে এই সংগঠন।

২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, জাতিসংঘের নেতৃত্বে যাওয়া ছাড়া এটার উন্নত পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই ৩৪ বছর বয়সে এসে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরবর্তী মহাসচিব পদে প্রার্থী হবেন। যদি তাই হয় এবং তিনি এ যাত্রায় সফল হন তাহলে একসঙ্গে দুটি রেকর্ড গড়বেন।

একটি হলো সবচেয়ে কম বয়সে জাতিসংঘের মহাসচিব এবং অন্যটি হলো প্রথম কোনো নারী মহাসচিব।

অরোরা বলেন, জাতিসংঘ মানুষকে হতাশ করেছে। যাদেরকে তার সেবা দেয়ার কথা ছিল তারা তা দেয়নি। জাতিসংঘের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো সেবা দেয়ায় তার নিজস্ব অক্ষমতা।

সিদ্ধান্ত গ্রহণ কোন সমস্যা নয়। সমস্যা হলো তা বাস্তবায়ন, যেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। এর ফলে জাতিসংঘের প্রতি যে প্রত্যাশা, আস্থা, এর সৃষ্টিশীলতা সেসব হারিয়ে যাচ্ছে।

শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১ , ৪ বৈশাখ ১৪২৮ ৪ রমজান ১৪৪২

জাতিসংঘের মহাসচিব পদে লড়বেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অরোরা

জাতিসংঘের মহাসচিব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণী আকাক্সক্ষা অরোরা।

এই অল্প বয়সেই তিনি জাতিসংঘের মহাসচিব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যদি তাতে তিনি সফল হন তাহলে বিশ্ববাসীর আশ্রয়স্থল জাতিসংঘের প্রথম কোন নারী মহাসচিব হবেন তিনি।

আগামী অক্টোবরে এ পদে নির্বাচন। তাতে আগেভাগেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই তরুণী।

অরোরা ২০১৬ সালে যোগ দেন জাতিসংঘে। এর ২ বছরের মধ্যে তার মনে হতে থাকে যে উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ সৃষ্টি করা হয়েছে, সেই লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে এই সংগঠন।

২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, জাতিসংঘের নেতৃত্বে যাওয়া ছাড়া এটার উন্নত পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই ৩৪ বছর বয়সে এসে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরবর্তী মহাসচিব পদে প্রার্থী হবেন। যদি তাই হয় এবং তিনি এ যাত্রায় সফল হন তাহলে একসঙ্গে দুটি রেকর্ড গড়বেন।

একটি হলো সবচেয়ে কম বয়সে জাতিসংঘের মহাসচিব এবং অন্যটি হলো প্রথম কোনো নারী মহাসচিব।

অরোরা বলেন, জাতিসংঘ মানুষকে হতাশ করেছে। যাদেরকে তার সেবা দেয়ার কথা ছিল তারা তা দেয়নি। জাতিসংঘের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো সেবা দেয়ায় তার নিজস্ব অক্ষমতা।

সিদ্ধান্ত গ্রহণ কোন সমস্যা নয়। সমস্যা হলো তা বাস্তবায়ন, যেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। এর ফলে জাতিসংঘের প্রতি যে প্রত্যাশা, আস্থা, এর সৃষ্টিশীলতা সেসব হারিয়ে যাচ্ছে।