মসজিদে মুসল্লির সর্বোচ্চ সংখ্যা নির্ধারণ প্রসঙ্গে

দেশে মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি চরম ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। শনাক্তের হারের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। মানুষের জীবনের সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের কঠোর ও সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে। এরই ধারাবাহিকতায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ও পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত মসজিদে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের শর্তে প্রতি ওয়াক্তে ও তারাবির নামাজে ইমাম, মুয়াজ্জিন ও হাফেজসহ মুসল্লির সংখ্যা নির্ধারণ করেছে সর্বোচ্চ ২০ জন। তবে শুক্রবারের জুমার নামাজের ক্ষেত্রে কোন সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।

উল্লেখ্য এখন পবিত্র রমজান মাস। অতি পবিত্র ও সংযমের এই মাসে অন্যান্য সময় অপেক্ষা মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা বেশি হয়ে থাকে। আর দেশের ছোট-বড় সব মসজিদের মুসল্লি ধারণ ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই এক নয়। অধিকাংশ মসজিদেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ২০ জনের বেশি মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করার সুযোগ থাকলেও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা অনুসরণের বাধ্যবাধকতায় নির্দিষ্ট-সংখ্যক মুসল্লির অতিরিক্ত কেউ নামাজে অংশগ্রহণ করতে পারছে না।

এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালনের শর্তে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদের সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা অনুযায়ী মুসল্লির প্রবেশ ও নামাজে অংশগ্রহণের নির্দেশনা দেয়া যেতে পারে। এতে করে আরও অনেকেরই ঘরের পরিবর্তে মসজিদের জামাতে নামাজ আদায়ের সুযোগ নিশ্চিত হবে। তাই পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতির কথা বিবেচনা করে উপর্যুক্ত বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।

আবু ফারুক

বনরুপা পাড়া

সদর, বান্দরবান।

শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১ , ৪ বৈশাখ ১৪২৮ ৪ রমজান ১৪৪২

মসজিদে মুসল্লির সর্বোচ্চ সংখ্যা নির্ধারণ প্রসঙ্গে

দেশে মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি চরম ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। শনাক্তের হারের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। মানুষের জীবনের সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে সরকার ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের কঠোর ও সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করে। এরই ধারাবাহিকতায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ও পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত মসজিদে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের শর্তে প্রতি ওয়াক্তে ও তারাবির নামাজে ইমাম, মুয়াজ্জিন ও হাফেজসহ মুসল্লির সংখ্যা নির্ধারণ করেছে সর্বোচ্চ ২০ জন। তবে শুক্রবারের জুমার নামাজের ক্ষেত্রে কোন সীমা নির্ধারণ করা হয়নি।

উল্লেখ্য এখন পবিত্র রমজান মাস। অতি পবিত্র ও সংযমের এই মাসে অন্যান্য সময় অপেক্ষা মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা বেশি হয়ে থাকে। আর দেশের ছোট-বড় সব মসজিদের মুসল্লি ধারণ ক্ষমতা স্বাভাবিকভাবেই এক নয়। অধিকাংশ মসজিদেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ২০ জনের বেশি মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করার সুযোগ থাকলেও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা অনুসরণের বাধ্যবাধকতায় নির্দিষ্ট-সংখ্যক মুসল্লির অতিরিক্ত কেউ নামাজে অংশগ্রহণ করতে পারছে না।

এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে প্রতিপালনের শর্তে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদের সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা অনুযায়ী মুসল্লির প্রবেশ ও নামাজে অংশগ্রহণের নির্দেশনা দেয়া যেতে পারে। এতে করে আরও অনেকেরই ঘরের পরিবর্তে মসজিদের জামাতে নামাজ আদায়ের সুযোগ নিশ্চিত হবে। তাই পবিত্র রমজান মাসের মর্যাদা এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতির কথা বিবেচনা করে উপর্যুক্ত বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।

আবু ফারুক

বনরুপা পাড়া

সদর, বান্দরবান।