ম্যানেজ বাণিজ্যে বড়াল নদীর মাটি ইটভাটার গ্রাসে : রাজস্ব ক্ষতি

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের শাহনগর ও খালপাট গ্রামের নিকট বড়াল নদীর পানি শুকিয়ে জেগে ওঠা বুক থেকে অবৈধ ভাবে মাটি কেটে নিচ্ছে প্রভাবশালীরা। এজন্য নদীতে লাগানো হয়েছে ৮/১০টি ভেক্যু মেশিন। প্রতিদিন এখান থেকে মাটি কেটে দেশে তৈরি গাড়িতে লোড করে নেওয়া হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন ইটের ভাটায়। ফলে লাখ লাখ ঘনফুট মাটি সহজেই লোপাট হচ্ছে। সরকারের রাজস্ব বিভাগের অনুমতি ছাড়াই এ মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে এ দৃশ্য চোখে পড়ে।

স্থানীয় ইটভাটার মালিক সমিতির নেতারা বিভিন্ন মহলকে ‘ম্যানেজ’ করে দিন-দুপুরে নদীর মাটি কেটে নিচ্ছেন। সমিতির সভাপতি জনৈক অধ্যক্ষ এজন্য দশটি ভাটার মালিকদের নিকট থেকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করেছেন। উপজেলা ভূমি অফিস ও স্থানীয় মিডিয়া কর্মীদের শান্ত রাখতে ওই টাকা খরচ করা হচ্ছে বলেও স্থানীয় অধিবাসীরা জানান। এভাবে প্রভাবশালী কতিপয় ব্যক্তি সরকারি সম্পত্তি থেকে বিনামূল্যে মাটি নিয়ে কোটি টাকার বাণিজ্য করছেন আর সরকার মোটার টাকার রাজস্ব থেকে হচ্ছে বঞ্চিত।

ভাটা মালিক সমিতির নেতা ও সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুজ্জামান তরুণ বলেন ‘আগে মাটি কাটা হলেও এখন লকডাউনের জন্য মাটি কাটা বন্ধ আছে।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘গতকাল এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি, ‘রাতের বেলা মাটি কাটা হয় এমন খবর পেয়ে সহকারি কমিশনারকে বিষয়টি পর্যবেক্ষেণের দায়িত্ব দিয়েছি।’

রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১ , ৫ বৈশাখ ১৪২৮ ৫ রমজান ১৪৪২

ম্যানেজ বাণিজ্যে বড়াল নদীর মাটি ইটভাটার গ্রাসে : রাজস্ব ক্ষতি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, পাবনা

image

পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের শাহনগর ও খালপাট গ্রামের নিকট বড়াল নদীর পানি শুকিয়ে জেগে ওঠা বুক থেকে অবৈধ ভাবে মাটি কেটে নিচ্ছে প্রভাবশালীরা। এজন্য নদীতে লাগানো হয়েছে ৮/১০টি ভেক্যু মেশিন। প্রতিদিন এখান থেকে মাটি কেটে দেশে তৈরি গাড়িতে লোড করে নেওয়া হচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন ইটের ভাটায়। ফলে লাখ লাখ ঘনফুট মাটি সহজেই লোপাট হচ্ছে। সরকারের রাজস্ব বিভাগের অনুমতি ছাড়াই এ মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে এ দৃশ্য চোখে পড়ে।

স্থানীয় ইটভাটার মালিক সমিতির নেতারা বিভিন্ন মহলকে ‘ম্যানেজ’ করে দিন-দুপুরে নদীর মাটি কেটে নিচ্ছেন। সমিতির সভাপতি জনৈক অধ্যক্ষ এজন্য দশটি ভাটার মালিকদের নিকট থেকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা উত্তোলন করেছেন। উপজেলা ভূমি অফিস ও স্থানীয় মিডিয়া কর্মীদের শান্ত রাখতে ওই টাকা খরচ করা হচ্ছে বলেও স্থানীয় অধিবাসীরা জানান। এভাবে প্রভাবশালী কতিপয় ব্যক্তি সরকারি সম্পত্তি থেকে বিনামূল্যে মাটি নিয়ে কোটি টাকার বাণিজ্য করছেন আর সরকার মোটার টাকার রাজস্ব থেকে হচ্ছে বঞ্চিত।

ভাটা মালিক সমিতির নেতা ও সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুজ্জামান তরুণ বলেন ‘আগে মাটি কাটা হলেও এখন লকডাউনের জন্য মাটি কাটা বন্ধ আছে।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘গতকাল এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি, ‘রাতের বেলা মাটি কাটা হয় এমন খবর পেয়ে সহকারি কমিশনারকে বিষয়টি পর্যবেক্ষেণের দায়িত্ব দিয়েছি।’