চট্টগ্রামে লকডাউনে ভাড়াটিয়া উচ্ছেদ!

অমানবিক বাড়িওয়ালা

চট্টগ্রামে বাসা ভাড়া দিতে না পারায় নারী, পুরুষ ও শিশুদের বাসা থেকে বের করে দিয়েছে বাড়িওয়ালা। এমন অমানবিক ঘটনা ঘটেছে লালখান বাজারের দুবাই কলোনিতে সকালে। বকেয়া বাসা ভাড়া দিতে না পারায় মা, বৌদি, ছোট ছোট দুই ভাতিজি ও বৌদিকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছিল বাড়িওয়ালা। দিনভর কোন উপায়ন্তার না পেয়ে তাদের নিয়ে রাস্তাতেই আশ্রয় নেয় শ্রীধাম। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি পোস্ট করেন চট্টগ্রাম টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এনাম হায়দার। পরে তা চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের এডিসি (উত্তর) আবু বক্কর সিদ্দিকের নজরে আনেন সাংবাদিক সারোয়ার কামাল। এখবর পেয়ে এডিসি আবু বক্কর সিদ্দিক খুলশী থানা পুলিশের একটি টিম পাঠিয়ে বাড়িওয়ালার সঙ্গে কথা বলে তাদের বাসায় উঠিয়ে দেন।

ঘটনার শিকার ওই পরিবারের সদস্য শ্রীধাম জানান, তাদের স্থায়ী বাড়ি নোয়াখালী জেলার রামগঞ্জে। গত ৮ বছর ধরে বাস করেছেন লালখান বাজার এলাকায়। বড় ভাই ওয়াসায় অস্থায়ী একটি চাকরি করেন। পানির মোটর দেওয়ার কথা বলে ৩০ হাজার টাকা নেন তিনি। সেই টাকা ওয়াসার এক কর্মচারীকে দিয়ে মোটর বসানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এরইমধ্যে চাকরির মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে সেই কাজ করাতে পারেননি, টাকাও ফেরত পাননি। এনিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলো বাড়িওয়ালা। এছাড়াও গেল বছরের লকডাউনে তিন মাসের বাসা ভাড়া বকেয়া ছিল তাদের। সবমিলিয়ে গতকাল সকাল ১০টার দিকে সবাইকে বের করে দিয়ে বাসায় তালা দেয় বাড়িওয়ালা। দিনভর আকুতি মিনুতি, এলকার এর-ওর কাছে ধর্ণা দিয়েও কোন সাহায্য না পেয়ে রাস্তায় আশ্রয় নিই। পরে সকালে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বাসায়ও উঠেছি, বিষয়টি সমাধাও হয়েছে।

বকেয়া বাড়িভাড়াগুলো প্রতি মাসে ২ হাজার করে দেয়ার জন্য বাড়িওয়ালার সাথে পুলিশ সমঝোতা করে দিয়েছে বলেও জানান তিনি। জানতে চাইলে এডিসি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি নজরে আসার পর আমি পুলিশ পাঠিয়ে বাড়িওয়ালাকে বলেছি এমন লকডাউনে বাসা থেকে বের করা যাবেনা। তিন মাসের বাসা ভাড়া বাকি থাকার কথা জনালেও আমরা বলেছি তা পরবর্তীতে পরিশোধ করা হবে কিন্তু এ পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই তাদের বের করা যাবে না।

রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১ , ৫ বৈশাখ ১৪২৮ ৫ রমজান ১৪৪২

চট্টগ্রামে লকডাউনে ভাড়াটিয়া উচ্ছেদ!

অমানবিক বাড়িওয়ালা

চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামে বাসা ভাড়া দিতে না পারায় নারী, পুরুষ ও শিশুদের বাসা থেকে বের করে দিয়েছে বাড়িওয়ালা। এমন অমানবিক ঘটনা ঘটেছে লালখান বাজারের দুবাই কলোনিতে সকালে। বকেয়া বাসা ভাড়া দিতে না পারায় মা, বৌদি, ছোট ছোট দুই ভাতিজি ও বৌদিকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছিল বাড়িওয়ালা। দিনভর কোন উপায়ন্তার না পেয়ে তাদের নিয়ে রাস্তাতেই আশ্রয় নেয় শ্রীধাম। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি পোস্ট করেন চট্টগ্রাম টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এনাম হায়দার। পরে তা চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের এডিসি (উত্তর) আবু বক্কর সিদ্দিকের নজরে আনেন সাংবাদিক সারোয়ার কামাল। এখবর পেয়ে এডিসি আবু বক্কর সিদ্দিক খুলশী থানা পুলিশের একটি টিম পাঠিয়ে বাড়িওয়ালার সঙ্গে কথা বলে তাদের বাসায় উঠিয়ে দেন।

ঘটনার শিকার ওই পরিবারের সদস্য শ্রীধাম জানান, তাদের স্থায়ী বাড়ি নোয়াখালী জেলার রামগঞ্জে। গত ৮ বছর ধরে বাস করেছেন লালখান বাজার এলাকায়। বড় ভাই ওয়াসায় অস্থায়ী একটি চাকরি করেন। পানির মোটর দেওয়ার কথা বলে ৩০ হাজার টাকা নেন তিনি। সেই টাকা ওয়াসার এক কর্মচারীকে দিয়ে মোটর বসানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এরইমধ্যে চাকরির মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে সেই কাজ করাতে পারেননি, টাকাও ফেরত পাননি। এনিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলো বাড়িওয়ালা। এছাড়াও গেল বছরের লকডাউনে তিন মাসের বাসা ভাড়া বকেয়া ছিল তাদের। সবমিলিয়ে গতকাল সকাল ১০টার দিকে সবাইকে বের করে দিয়ে বাসায় তালা দেয় বাড়িওয়ালা। দিনভর আকুতি মিনুতি, এলকার এর-ওর কাছে ধর্ণা দিয়েও কোন সাহায্য না পেয়ে রাস্তায় আশ্রয় নিই। পরে সকালে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বাসায়ও উঠেছি, বিষয়টি সমাধাও হয়েছে।

বকেয়া বাড়িভাড়াগুলো প্রতি মাসে ২ হাজার করে দেয়ার জন্য বাড়িওয়ালার সাথে পুলিশ সমঝোতা করে দিয়েছে বলেও জানান তিনি। জানতে চাইলে এডিসি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি নজরে আসার পর আমি পুলিশ পাঠিয়ে বাড়িওয়ালাকে বলেছি এমন লকডাউনে বাসা থেকে বের করা যাবেনা। তিন মাসের বাসা ভাড়া বাকি থাকার কথা জনালেও আমরা বলেছি তা পরবর্তীতে পরিশোধ করা হবে কিন্তু এ পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই তাদের বের করা যাবে না।