প্রথমদিন অর্ধেক ফ্লাইট বাতিল, ভোগান্তিতে প্রবাসী কর্মীরা

বিমানবন্দরে বিক্ষোভ, বিমান কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক

প্রধম দিনই অর্ধেক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় বিদেশ যেতে না পেরে প্রবাসী কর্মীরা গতকাল শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। তারা লকডাউনের মধ্যেও পথে পথে হয়রানির শিকার হয়ে বিদেশ যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরে গাড়ি নিয়ে গেছেন বলে তারা অভিযোগ করেন। কিন্তু বিদেশে বিমান যাওয়ার অনুমতি না পাওয়ায় তাদের ফ্লাইট বাতিল করলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে এ মিছিল করেন। বিমানবন্দর, সোনারগাঁও মোড় ও মতিঝিল বিমান অফিসের সামনে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রবাসীদের ভিড় ছিল। পরবর্তীতে বিমান কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

বিমানবন্দর থেকে জানা গেছে, ১২টি এয়ারলাইন্সের ১৪টি ফ্লাইটের মধ্যে কমপক্ষে ৭টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। সৌদি আরবের অনুমতি না পাওয়া ও যাত্রী না পাওয়ায় এসব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো। এদিকে লকডাউনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিমানবন্দরে এসে অনেকে শুনছেন ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। যাদের ভিসার মেয়াদ শেষের পথে তারা আছেন বেকার হওয়ার ঝুঁকিতে।

গতকাল বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সের রিয়াদগামী ফ্লাইট (বিজি-৫০৩৯) সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। এ কারণে এয়ারলাইন্সের নির্দেশনা অনুসারে ৬ ঘণ্টা আগে রাত ১টার মধ্যেই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসেছিলেন যাত্রীরাও। কিন্তু ফ্লাইটটি বাতিল হয়েছে। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে রাতে প্রবাসীকর্মীরা বিক্ষোভ করেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। পরবর্তীতে এসব যাত্রীদের হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করে বিমান।

গতকাল বিমানের পাঁচটি ফ্লাইট ছিল। এর মধ্যে চারটি বাতিল হয়েছে। বাতিল হওয়ার ফ্লাইটের মধ্যে রয়েছে সৌদি আরবের দাম্মামে একটি, রিয়াদে একটি, দুবাইয়ে দুটি ফ্লাইট। তবে রাতে সৌদি আরবে জেদ্দাগামী ফ্লাইট বাতিল করেনি বিমান। তারা সৌদি আরবে অনুমতির আশায় রয়েছে। প্রবাসীকর্মীরা বলছেন, লকডাউনে যান চলাচল বন্ধ। গাড়ি ভাড়া করে ঢাকায় আসার পর জানা যাচ্ছে ফ্লাইট বাতিল। এখন আমরা কোথায় যাব। আবার গাড়ি ভাড়া কে দেবে। আর যাদের ভিসার মেয়াদ বেশি দিন নেই, তাদের কপাল পুড়বে সময় মতো যেতে না পারলে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উপ-মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার বলেন, সৌদি আরবে ল্যান্ডিং পারমিশন না পাওয়ায় ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া যাত্রী সংকটের কারণে দুবাইয়ের দুটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ফ্লাই দুবাইয়ের দুটি ফ্লাইটও বাতিল হয়েছে। ইউএস বাংলা দুবাইগামী একটি ফ্লাইট বাতিল করেছে। তবে সালাম এয়ার ঢাকায় এসে যাত্রী নিয়ে গেছে।

ইউএস বাংলার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, সপ্তাহে ৯টি ফ্লাইট ঢাকা থেকে দুবাই, সাতটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে মাসকাট, চারটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে দোহা ও একটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুরে পরিচালনা করা হবে। তবে প্রথম দিন দুবাইয়ের একটি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। মাত্র ২০ জনের মতো যাত্রী পাওয়া গেছে। এখানে শুধু যাত্রী থাকলেই হচ্ছে না, করোনা টেস্টের রিপোর্টও লাগবে। লকডাউনে অনেকে আসতেও পারছেন না। সব মিলিয়ে যাত্রী সংকট আছে।

গতকাল বিকেলে সৌদি এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট ছিল। কিন্তু ফ্লাইটটি আদৌ যাবে কি না কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেনি। ফলে ভোর থেকেই রাজধানীর কাওরান বাজার এলাকায় সোনারগাঁও হোটেলের সৌদি এয়ারলাইনসের অফিসের সামনে অপেক্ষা করছেন প্রবাসীরা। অপেক্ষারত সৌদিগামী যাত্রীরা বলেন, সৌদি এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট ছিল, সেটি ছাড়বে কিনা, তারা যেতে পারবেন কিনা এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য এখানে অপেক্ষা করছেন। এখন পর্যন্ত সৌদি এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের কেউ তাদের বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেনি। তারা অপেক্ষায় আছেন। এ বিষয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আল ফারুক বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কয়েকটি বিশেষ ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রাওনা হবে। কিন্তু কখন ফ্লাইট চালু হবে কিংবা ছেড়ে যাবে এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ভোর থেকে অনেকে সৌদি এয়ারলাইন্স অফিসের সামনে অপেক্ষা করছেন। আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি এবং অপেক্ষারত জনসাধারণের সঙ্গেও কথা বলছি। কর্তৃপক্ষ এখনও কিছু জানায়নি। ফ্লাইটের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।

প্রবাসীকর্মীদের কর্মস্থলে ফেরা নিশ্চিত করতে গতকাল সকাল ৬টা থেকে থেকে পাঁচটি দেশে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এই পাঁচটি দেশ হচ্ছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুর। শুধু প্রবাসীকর্মীরা এসব ফ্লাইটে যেতে পারবেন। আর দেশে আসলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে প্রবাসী কর্মীদের। এ পাঁচ দেশে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ১২টি এয়ারলাইন্সকে অনুমতি দিয়েছ বেবিচক। এই ১২টি এয়ারলাইন্স হচ্ছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স, ওমান এয়ার, সালাম এয়ার, কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস, ইতিহাদ, এয়ার অ্যারাবিয়া, এয়ার অ্যারাবিয়া আবুধাবি, ফ্লাই দুবাই এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স।

রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১ , ৫ বৈশাখ ১৪২৮ ৫ রমজান ১৪৪২

প্রথমদিন অর্ধেক ফ্লাইট বাতিল, ভোগান্তিতে প্রবাসী কর্মীরা

বিমানবন্দরে বিক্ষোভ, বিমান কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

বিমানের ফ্লাইট বাতিলে ক্ষুব্ধ প্রবাসী কর্মীরা গতকাল শাহজালাল বিমানবন্দরে বিক্ষোভ করেন -সংবাদ

প্রধম দিনই অর্ধেক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় বিদেশ যেতে না পেরে প্রবাসী কর্মীরা গতকাল শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। তারা লকডাউনের মধ্যেও পথে পথে হয়রানির শিকার হয়ে বিদেশ যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরে পৌঁছান। বিমানবন্দরে গাড়ি নিয়ে গেছেন বলে তারা অভিযোগ করেন। কিন্তু বিদেশে বিমান যাওয়ার অনুমতি না পাওয়ায় তাদের ফ্লাইট বাতিল করলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে এ মিছিল করেন। বিমানবন্দর, সোনারগাঁও মোড় ও মতিঝিল বিমান অফিসের সামনে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রবাসীদের ভিড় ছিল। পরবর্তীতে বিমান কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

বিমানবন্দর থেকে জানা গেছে, ১২টি এয়ারলাইন্সের ১৪টি ফ্লাইটের মধ্যে কমপক্ষে ৭টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। সৌদি আরবের অনুমতি না পাওয়া ও যাত্রী না পাওয়ায় এসব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো। এদিকে লকডাউনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিমানবন্দরে এসে অনেকে শুনছেন ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। যাদের ভিসার মেয়াদ শেষের পথে তারা আছেন বেকার হওয়ার ঝুঁকিতে।

গতকাল বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সের রিয়াদগামী ফ্লাইট (বিজি-৫০৩৯) সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। এ কারণে এয়ারলাইন্সের নির্দেশনা অনুসারে ৬ ঘণ্টা আগে রাত ১টার মধ্যেই শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসেছিলেন যাত্রীরাও। কিন্তু ফ্লাইটটি বাতিল হয়েছে। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে রাতে প্রবাসীকর্মীরা বিক্ষোভ করেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। পরবর্তীতে এসব যাত্রীদের হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করে বিমান।

গতকাল বিমানের পাঁচটি ফ্লাইট ছিল। এর মধ্যে চারটি বাতিল হয়েছে। বাতিল হওয়ার ফ্লাইটের মধ্যে রয়েছে সৌদি আরবের দাম্মামে একটি, রিয়াদে একটি, দুবাইয়ে দুটি ফ্লাইট। তবে রাতে সৌদি আরবে জেদ্দাগামী ফ্লাইট বাতিল করেনি বিমান। তারা সৌদি আরবে অনুমতির আশায় রয়েছে। প্রবাসীকর্মীরা বলছেন, লকডাউনে যান চলাচল বন্ধ। গাড়ি ভাড়া করে ঢাকায় আসার পর জানা যাচ্ছে ফ্লাইট বাতিল। এখন আমরা কোথায় যাব। আবার গাড়ি ভাড়া কে দেবে। আর যাদের ভিসার মেয়াদ বেশি দিন নেই, তাদের কপাল পুড়বে সময় মতো যেতে না পারলে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উপ-মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার বলেন, সৌদি আরবে ল্যান্ডিং পারমিশন না পাওয়ায় ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া যাত্রী সংকটের কারণে দুবাইয়ের দুটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া ফ্লাই দুবাইয়ের দুটি ফ্লাইটও বাতিল হয়েছে। ইউএস বাংলা দুবাইগামী একটি ফ্লাইট বাতিল করেছে। তবে সালাম এয়ার ঢাকায় এসে যাত্রী নিয়ে গেছে।

ইউএস বাংলার মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, সপ্তাহে ৯টি ফ্লাইট ঢাকা থেকে দুবাই, সাতটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে মাসকাট, চারটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে দোহা ও একটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে সিঙ্গাপুরে পরিচালনা করা হবে। তবে প্রথম দিন দুবাইয়ের একটি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। মাত্র ২০ জনের মতো যাত্রী পাওয়া গেছে। এখানে শুধু যাত্রী থাকলেই হচ্ছে না, করোনা টেস্টের রিপোর্টও লাগবে। লকডাউনে অনেকে আসতেও পারছেন না। সব মিলিয়ে যাত্রী সংকট আছে।

গতকাল বিকেলে সৌদি এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট ছিল। কিন্তু ফ্লাইটটি আদৌ যাবে কি না কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেনি। ফলে ভোর থেকেই রাজধানীর কাওরান বাজার এলাকায় সোনারগাঁও হোটেলের সৌদি এয়ারলাইনসের অফিসের সামনে অপেক্ষা করছেন প্রবাসীরা। অপেক্ষারত সৌদিগামী যাত্রীরা বলেন, সৌদি এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট ছিল, সেটি ছাড়বে কিনা, তারা যেতে পারবেন কিনা এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য এখানে অপেক্ষা করছেন। এখন পর্যন্ত সৌদি এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের কেউ তাদের বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেনি। তারা অপেক্ষায় আছেন। এ বিষয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আল ফারুক বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কয়েকটি বিশেষ ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রাওনা হবে। কিন্তু কখন ফ্লাইট চালু হবে কিংবা ছেড়ে যাবে এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ভোর থেকে অনেকে সৌদি এয়ারলাইন্স অফিসের সামনে অপেক্ষা করছেন। আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি এবং অপেক্ষারত জনসাধারণের সঙ্গেও কথা বলছি। কর্তৃপক্ষ এখনও কিছু জানায়নি। ফ্লাইটের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।

প্রবাসীকর্মীদের কর্মস্থলে ফেরা নিশ্চিত করতে গতকাল সকাল ৬টা থেকে থেকে পাঁচটি দেশে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এই পাঁচটি দেশ হচ্ছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুর। শুধু প্রবাসীকর্মীরা এসব ফ্লাইটে যেতে পারবেন। আর দেশে আসলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে প্রবাসী কর্মীদের। এ পাঁচ দেশে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ১২টি এয়ারলাইন্সকে অনুমতি দিয়েছ বেবিচক। এই ১২টি এয়ারলাইন্স হচ্ছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স, ওমান এয়ার, সালাম এয়ার, কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস, ইতিহাদ, এয়ার অ্যারাবিয়া, এয়ার অ্যারাবিয়া আবুধাবি, ফ্লাই দুবাই এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স।