রংপুরের সোয়া কোটি মানুষের জন্য মাত্র ২৬টি আইসিইউ বেড

রংপুরসহ বিভাগের ৮ জেলায় করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন গড়ে ৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। অন্যদিকে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার জন্য মাত্র ২৬টি আইসিইউ বেড রয়েছে। যা দিয়ে মুমূর্ষু করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে গত ৫ দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার একদিনেই মারা গেছে ৪ জন। এদের মধ্যে তিনজন রংপুর কোভিট হাসপাতালে একজন গাইবান্ধায়।

অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তদের আইসোলেশনে রাখার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না স্বাস্থ্য বিভাগসহ প্রশাসন। ফলে সংক্রমণের হার বাড়ছে। অন্যদিকে করোনা পরীক্ষা করার ব্যাপারে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার কোথাও বুথ খুলে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে না। ফলে নমুনা দেয়ার জন্য মানুষকে বিভিন্ন স্থানে ছোটাছুটি করতে হচ্ছে। তারপরও দুটি পিসিআর মেশিন দিয়ে করোনা পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে না বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। গতকালও রংপুর মেডিকেল কলেজে ১শ’ ৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। একই অবস্থা দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে। দুই পিসিআর মেশিনে নমুনা পরীক্ষার জটের সৃষ্টি হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ও সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর মার্” মাসে রংপুর বিভাগসহ সারাদেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পর এবারও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত্রের সংখ্যা অনেক বেশি। গতকাল পর্যন্ত রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ২শ’ ২৮ জন। রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, আক্রান্তদের মধ্যে রংপুরে ৪ হাজার ৪শ’ ১৬ জন, পঞ্চগড়ে ৮শ’ ২০ জন, নীলফামারী জেলায় ১ হাজার ৪শ’ ৮০ জন, লালমনিরহাটে ১ হাজার ১৭ জন, কুড়িগ্রামে ১ হাজার ৯২ জন, ঠাকুরগায়ে ১ হাজার ৬শ’ ৮ জন দিনাজপুরে ৫ হাজার ১শ’ ৬৫ জন এবং গাইবান্ধায় ১ হাজার ৬শ’ ৩০ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে ১৫ হাজার ৯শ’ ৯৮ জন। মারা গেছে ৩শ‘ ২৮ জন। করোনা আক্রান্ত হয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে আছে ৮শ’ ৫৪ জন।

স¦াস্থ্য বিভাগ সূত্রে আরও জানা যায়, করোনার নমুনা সংগ্রহে দীর্ঘসূত্রতার কারণে করোনা পজেটিভ প্রতিবেদন পাওয়ার আগেই নিশ্চিত হতে না পারায় আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। গত ৭ দিনে রংপুর বিভাগে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪শ’ ৬০ জন।

এদিকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর যারা বাসায় অবস্থান করছেন তাদের বাড়িসহ আশপাশের এলাকা এর আগে যেভাবে লাল পতাকা উড়িয়ে দিয়ে লকডাউন ঘোষণা করা হতো এবার আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পরও তা করা হচ্ছে না বলে রংপুর করোনা প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ খায়রুল আনাম বেঞ্জু জানিয়েছেন।

অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মুমূর্ষু রোগী যাদের আইসিইউ দরকার তা পাওয়া যাচ্ছে না বলে রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে রংপুর করোনা স্পেশালাইজড হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নুরন্নবী জানিয়েছেন, এখানে ১০টি আইসিইউ বেড রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত সেখানে ৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছে। এছাড়া কোভিট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৪৭ জন রোগী। অন্যদিকে দিনাজপুর হাসপাতালে আইসিইউ বেড আছে ১৬টি। রংপুর বিভাগে মোট ২৬টি আইসিইউ বেড আছে যা দিয়ে কোনভাবে মানসম্মত এবং প্রয়োজনীয় জরুরি চিকিৎসাসেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আরও কিছু আইসিইউ বেড পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

এদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও পিসিআর প্রধান অধ্যাপক ডা. নুরন্নবী লাইজু জানিয়েছেন, রংপুর ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে দুটি পিসিআর মেশিন আছে। প্রতিটির ক্যাপাসিটি ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করার। তারপরও রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার মধ্যে ৪টি করে জেলার নমুনা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেয়া হচ্ছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, কয়েকদিন ধরে নমুনা একটু বেশি আসছে কিন্তু ১৮৮টির বেশি নমুনা পরীক্ষা করার সক্ষমতা পিসিআর মেশিনগুলোর নেই। তারপরও জরুরিভিত্তিতে নমুনা পরীক্ষার কাজ চলছে।

রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রংপুর সিটি করপোরেশনের করোনার নমুনার সংগ্রহ করার দায়িত্ব রংপুর সিটি করপোরেশনের। তারা নমুনা সংগ্রহ করছে আমরাও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠাচ্ছি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, কয়েকদিন ধরে করোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে। সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আহাদ আলী জানান, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে আইসিইউ বেড সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি বলে জানান।

রংপুর করোনা প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ কায়রুল আনাম বেঞ্জু অভিযোগ করেন, নমুনা পরীক্ষার কোন বুথ আমরা দেখছি না। ঠিকমতো নমুনা সংগ্রহ করা হলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। তিনি আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।

রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১ , ৫ বৈশাখ ১৪২৮ ৫ রমজান ১৪৪২

রংপুরের সোয়া কোটি মানুষের জন্য মাত্র ২৬টি আইসিইউ বেড

লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর

রংপুরসহ বিভাগের ৮ জেলায় করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন গড়ে ৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। অন্যদিকে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার জন্য মাত্র ২৬টি আইসিইউ বেড রয়েছে। যা দিয়ে মুমূর্ষু করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে গত ৫ দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার একদিনেই মারা গেছে ৪ জন। এদের মধ্যে তিনজন রংপুর কোভিট হাসপাতালে একজন গাইবান্ধায়।

অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তদের আইসোলেশনে রাখার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না স্বাস্থ্য বিভাগসহ প্রশাসন। ফলে সংক্রমণের হার বাড়ছে। অন্যদিকে করোনা পরীক্ষা করার ব্যাপারে রংপুর বিভাগের ৮ জেলার কোথাও বুথ খুলে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে না। ফলে নমুনা দেয়ার জন্য মানুষকে বিভিন্ন স্থানে ছোটাছুটি করতে হচ্ছে। তারপরও দুটি পিসিআর মেশিন দিয়ে করোনা পরীক্ষা সম্ভব হচ্ছে না বলে দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে। গতকালও রংপুর মেডিকেল কলেজে ১শ’ ৪০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। একই অবস্থা দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে। দুই পিসিআর মেশিনে নমুনা পরীক্ষার জটের সৃষ্টি হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

রংপুর মেডিকেল কলেজ বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ও সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর মার্” মাসে রংপুর বিভাগসহ সারাদেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পর এবারও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত্রের সংখ্যা অনেক বেশি। গতকাল পর্যন্ত রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ২শ’ ২৮ জন। রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, আক্রান্তদের মধ্যে রংপুরে ৪ হাজার ৪শ’ ১৬ জন, পঞ্চগড়ে ৮শ’ ২০ জন, নীলফামারী জেলায় ১ হাজার ৪শ’ ৮০ জন, লালমনিরহাটে ১ হাজার ১৭ জন, কুড়িগ্রামে ১ হাজার ৯২ জন, ঠাকুরগায়ে ১ হাজার ৬শ’ ৮ জন দিনাজপুরে ৫ হাজার ১শ’ ৬৫ জন এবং গাইবান্ধায় ১ হাজার ৬শ’ ৩০ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে ১৫ হাজার ৯শ’ ৯৮ জন। মারা গেছে ৩শ‘ ২৮ জন। করোনা আক্রান্ত হয়ে হোম কোয়ারেন্টিনে আছে ৮শ’ ৫৪ জন।

স¦াস্থ্য বিভাগ সূত্রে আরও জানা যায়, করোনার নমুনা সংগ্রহে দীর্ঘসূত্রতার কারণে করোনা পজেটিভ প্রতিবেদন পাওয়ার আগেই নিশ্চিত হতে না পারায় আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। গত ৭ দিনে রংপুর বিভাগে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৪শ’ ৬০ জন।

এদিকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর যারা বাসায় অবস্থান করছেন তাদের বাড়িসহ আশপাশের এলাকা এর আগে যেভাবে লাল পতাকা উড়িয়ে দিয়ে লকডাউন ঘোষণা করা হতো এবার আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পরও তা করা হচ্ছে না বলে রংপুর করোনা প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ খায়রুল আনাম বেঞ্জু জানিয়েছেন।

অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মুমূর্ষু রোগী যাদের আইসিইউ দরকার তা পাওয়া যাচ্ছে না বলে রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে রংপুর করোনা স্পেশালাইজড হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নুরন্নবী জানিয়েছেন, এখানে ১০টি আইসিইউ বেড রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত সেখানে ৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছে। এছাড়া কোভিট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৪৭ জন রোগী। অন্যদিকে দিনাজপুর হাসপাতালে আইসিইউ বেড আছে ১৬টি। রংপুর বিভাগে মোট ২৬টি আইসিইউ বেড আছে যা দিয়ে কোনভাবে মানসম্মত এবং প্রয়োজনীয় জরুরি চিকিৎসাসেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আরও কিছু আইসিইউ বেড পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।

এদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও পিসিআর প্রধান অধ্যাপক ডা. নুরন্নবী লাইজু জানিয়েছেন, রংপুর ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে দুটি পিসিআর মেশিন আছে। প্রতিটির ক্যাপাসিটি ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করার। তারপরও রংপুর বিভাগের ৮টি জেলার মধ্যে ৪টি করে জেলার নমুনা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেয়া হচ্ছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, কয়েকদিন ধরে নমুনা একটু বেশি আসছে কিন্তু ১৮৮টির বেশি নমুনা পরীক্ষা করার সক্ষমতা পিসিআর মেশিনগুলোর নেই। তারপরও জরুরিভিত্তিতে নমুনা পরীক্ষার কাজ চলছে।

রংপুরের সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রংপুর সিটি করপোরেশনের করোনার নমুনার সংগ্রহ করার দায়িত্ব রংপুর সিটি করপোরেশনের। তারা নমুনা সংগ্রহ করছে আমরাও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠাচ্ছি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, কয়েকদিন ধরে করোনা সংক্রমণের হার বেড়েছে। সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আহাদ আলী জানান, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে আইসিইউ বেড সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানিয়েছি বলে জানান।

রংপুর করোনা প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ কায়রুল আনাম বেঞ্জু অভিযোগ করেন, নমুনা পরীক্ষার কোন বুথ আমরা দেখছি না। ঠিকমতো নমুনা সংগ্রহ করা হলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। তিনি আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান।