নববর্ষ উপলক্ষে

মায়ানমার জান্তা ২৩ হাজার বন্দী মুক্তি দিচ্ছে

মায়ানমারের জান্তা সরকার নববর্ষের ক্ষমার অংশ হিসেবে দেশজুড়ে ২৩ হাজারের বেশি বন্দীকে মুক্তির আদেশ দিয়েছে। কারা বিভাগের মুখপাত্র এ খবর জানিয়েছেন। তবে সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী যেসব বিক্ষোভকারীদের সরকার আটক করেছে, তাদের কেউ এ ক্ষমার আওতায় মুক্তি পাবেন কিনা তা এখনও অনিশ্চিত।

মায়ানমারে বৌদ্ধ নববর্ষের প্রথম দিন এবং পাঁচ দিনব্যাপী সরকারি ছুটির সর্বশেষ দিন। প্রতি বছর এ দিন লোকজন বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শনে যায় এবং জল ছোড়াছুড়ির উৎসবে শামিল হয়। দেশজুড়ে আনন্দঘন পরিবেশে নববর্ষকে স্বাগত জানানো হয়। নববর্ষ উপলক্ষে বন্দীদের মুক্তি দেয়ার রীতি প্রচলিত রয়েছে মায়ানমারে।

তবে এ বছর গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীরা নববর্ষ উৎসব বর্জনের ডাক দিয়েছেন এবং এর পরিবর্তে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মায়ানমারের বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় জড়ো হয়েছেন। তারা বিক্ষোভে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি তোলেন। শান প্রদেশে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে হাজার হাজার লোক বিক্ষোভ করেছেন। একদিকে বন্দীদের মুক্তি দিচ্ছে সরকার, অন্য দিকে বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িতে ৮৩২ জন ওয়ারেন্টভুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। কারা বিভাগের মুখপাত্র কিয়াও তুন উ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘এরা অধিকাংশই ১ ফেব্রুয়ারির আগে থেকে বন্দী ছিলেন তবে অল্প কিছু রয়েছেন যাদের পরে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন এমন কাউকে মুক্তি দেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওই মুখপাত্র বলেন, তিনি ক্ষমার বিষয়ে বিস্তারিত জানেন না। কারাগারের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, কারাগারগুলো শনিবার থেকে ২৩ হাজার বন্দীকে মুক্তি দেয়া শুরু করবে। তিনি বলেন, ইয়াঙ্গুনের ‘ইনসেইন কারাগার থেকে আমরা আটশ বন্দীকে মুক্তি দেব।’

গত ফেব্রুয়ারিতেও বেশ কিছু বন্দীকে মুক্তি দিয়েছিল জান্তা সরকার। মানবাধিকার সংস্থাগুলো তখন আশঙ্কা করেছিল যে, জান্তাবিরোধী বিক্ষোভকারীদের জন্য কারাগারের জায়গা খালি করতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

তবে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আগে প্রায় নয়শ বিক্ষোভকারীকে মুক্তি দিয়েছিল সেনা সরকার। ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে সেনা সরকার ৩ হাজার ১শ’রও বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করে রেখেছে। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন সাতশ’র বেশি মানুষ।

রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১ , ৫ বৈশাখ ১৪২৮ ৫ রমজান ১৪৪২

নববর্ষ উপলক্ষে

মায়ানমার জান্তা ২৩ হাজার বন্দী মুক্তি দিচ্ছে

image

নববর্ষ উপলক্ষে বন্দীদের মুক্তি দেয় জান্তা সরকার। এ সময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে স্বজনরা -ইন্টারনেট

মায়ানমারের জান্তা সরকার নববর্ষের ক্ষমার অংশ হিসেবে দেশজুড়ে ২৩ হাজারের বেশি বন্দীকে মুক্তির আদেশ দিয়েছে। কারা বিভাগের মুখপাত্র এ খবর জানিয়েছেন। তবে সেনা অভ্যুত্থানবিরোধী যেসব বিক্ষোভকারীদের সরকার আটক করেছে, তাদের কেউ এ ক্ষমার আওতায় মুক্তি পাবেন কিনা তা এখনও অনিশ্চিত।

মায়ানমারে বৌদ্ধ নববর্ষের প্রথম দিন এবং পাঁচ দিনব্যাপী সরকারি ছুটির সর্বশেষ দিন। প্রতি বছর এ দিন লোকজন বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শনে যায় এবং জল ছোড়াছুড়ির উৎসবে শামিল হয়। দেশজুড়ে আনন্দঘন পরিবেশে নববর্ষকে স্বাগত জানানো হয়। নববর্ষ উপলক্ষে বন্দীদের মুক্তি দেয়ার রীতি প্রচলিত রয়েছে মায়ানমারে।

তবে এ বছর গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীরা নববর্ষ উৎসব বর্জনের ডাক দিয়েছেন এবং এর পরিবর্তে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল হতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মায়ানমারের বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় জড়ো হয়েছেন। তারা বিক্ষোভে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি তোলেন। শান প্রদেশে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে হাজার হাজার লোক বিক্ষোভ করেছেন। একদিকে বন্দীদের মুক্তি দিচ্ছে সরকার, অন্য দিকে বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িতে ৮৩২ জন ওয়ারেন্টভুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। কারা বিভাগের মুখপাত্র কিয়াও তুন উ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘এরা অধিকাংশই ১ ফেব্রুয়ারির আগে থেকে বন্দী ছিলেন তবে অল্প কিছু রয়েছেন যাদের পরে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন এমন কাউকে মুক্তি দেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওই মুখপাত্র বলেন, তিনি ক্ষমার বিষয়ে বিস্তারিত জানেন না। কারাগারের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, কারাগারগুলো শনিবার থেকে ২৩ হাজার বন্দীকে মুক্তি দেয়া শুরু করবে। তিনি বলেন, ইয়াঙ্গুনের ‘ইনসেইন কারাগার থেকে আমরা আটশ বন্দীকে মুক্তি দেব।’

গত ফেব্রুয়ারিতেও বেশ কিছু বন্দীকে মুক্তি দিয়েছিল জান্তা সরকার। মানবাধিকার সংস্থাগুলো তখন আশঙ্কা করেছিল যে, জান্তাবিরোধী বিক্ষোভকারীদের জন্য কারাগারের জায়গা খালি করতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

তবে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের আগে প্রায় নয়শ বিক্ষোভকারীকে মুক্তি দিয়েছিল সেনা সরকার। ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে সেনা সরকার ৩ হাজার ১শ’রও বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করে রেখেছে। এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছেন সাতশ’র বেশি মানুষ।