বাউফলে নারী নির্যাতন, ৯ জন আটক

জেলার বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপে আকলিমা বেগম নামে এক নারীকে মধ্যযুগীয় নির্যাতনের ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই বর্বর নির্যাতনের একটি ভিডিও ভাইরাল হলে পুলিশ তৎপর হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ মুকিত হাসান খানের নেতৃত্বে পুলিশ গত শুক্রবার থেকে গতকাল রাত পর্যন্ত ঝটিকা অভিযান চালায়। গতকাল পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসপি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এ তথ্য জানান। ওই হামলায় চার নারীসহ অন্তত ২৯ জন আহত হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি বাবুল হাওলাদার ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন শিকদারের কর্মী-সমর্থকদের মধ্য চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে ঊভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে ওই গ্রামের ৫টি বসতঘরে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষ কালু হাওলাদারকে বেধড়ক পেটালে স্ত্রী আকলিমা তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে যায়। এ সময় হামলাকারী শাকিল হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষ ওই গৃহবধূকে মাটিতে ফেলে মধ্যযুগীয় নির্যাতন চালানো হয়।

আটককৃতরা হলেন শাকিল হোসেন (৪০), শাহ আলম গাজী (৫০), জাফর হাওলাদার (৪০), হৃদয় বিশ্বাস (১৯), মো. সজিব হাং (১৯), মনির মৃধা (৩৫), পারভেজ মীর (৩৫), ইউছুফ মৃধা (৩০), আজিজুল হক (৪৫)। হামলা ঘটনায় গুরুতর আহত আকলিমাসহ চারজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রবিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২১ , ৫ বৈশাখ ১৪২৮ ৫ রমজান ১৪৪২

বাউফলে নারী নির্যাতন, ৯ জন আটক

প্রতিনধি, পটুয়াখালী

জেলার বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপে আকলিমা বেগম নামে এক নারীকে মধ্যযুগীয় নির্যাতনের ঘটনায় ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ওই বর্বর নির্যাতনের একটি ভিডিও ভাইরাল হলে পুলিশ তৎপর হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ মুকিত হাসান খানের নেতৃত্বে পুলিশ গত শুক্রবার থেকে গতকাল রাত পর্যন্ত ঝটিকা অভিযান চালায়। গতকাল পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসপি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এ তথ্য জানান। ওই হামলায় চার নারীসহ অন্তত ২৯ জন আহত হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি বাবুল হাওলাদার ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন শিকদারের কর্মী-সমর্থকদের মধ্য চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে ঊভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে ওই গ্রামের ৫টি বসতঘরে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষ কালু হাওলাদারকে বেধড়ক পেটালে স্ত্রী আকলিমা তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে যায়। এ সময় হামলাকারী শাকিল হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষ ওই গৃহবধূকে মাটিতে ফেলে মধ্যযুগীয় নির্যাতন চালানো হয়।

আটককৃতরা হলেন শাকিল হোসেন (৪০), শাহ আলম গাজী (৫০), জাফর হাওলাদার (৪০), হৃদয় বিশ্বাস (১৯), মো. সজিব হাং (১৯), মনির মৃধা (৩৫), পারভেজ মীর (৩৫), ইউছুফ মৃধা (৩০), আজিজুল হক (৪৫)। হামলা ঘটনায় গুরুতর আহত আকলিমাসহ চারজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।