করোনা সংকটে এক বছরে পাদুকা শিল্পে ধস

৩ লক্ষাধিক মানুষের জীবন-জীবিকা সংকটে

মহামারী করোনায় গেল এক বছরে সিজনের সময়ে লকডাউনের কারণে দেশীয় পাদুকা শিল্পে ধস নেমে এসেছে। ফলে এই পাদুকা শিল্পের সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার কারখানা মালিক, কাঁচামাল ও উৎপাদিত পাদুকা বিক্রেতাসহ শত শত পাইকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং কারখানায় কর্মরত প্রায় দেড় লক্ষাধিক শ্রমিকসহ অন্তত ৩ লক্ষাধিক মানুষের জীবন ও জীবিকা সঙ্কটে পড়েছে। ফলে এবারও পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। গেল বছর সিজনের আগ মুহূর্তে লকডাউনের কারণে এই পাদুকা ব্যবসায় যে ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেবার বুক ভরা আশা নিয়ে যখন এবার পুরোদমে পাদুকা উৎপাদন এবং বেচা-কেনা শুরু হয়, ঠিক তখনই-করোনার সংক্রামণ ঠেকাতে এবারো সরকার সারাদেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করছেন। ফলে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। দু’চোখে অন্ধকার দেখছেন তারা।

জানা গেছে, প্রায় দু’যুগ ধরেই দেশের বন্দরনগরী ভৈরবে উৎপাদিত পাদুকা সারাদেশের চাহিদা মেটিয়ে বিদেশে রফতানি করা হয়েছে। ফলে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে এই পাদুকা শিল্প। ছোট-বড় সকলের পছন্দের নানা ডিজাইনের এবং নানা রঙের পাদুকা তৈরিতে এই শিল্পে নারী-পুরুষসহ প্রায় দেড় লক্ষাধিক শ্রমিকের কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এসব ফ্যাক্টরি বা কারখানায় উৎপাদিত পাদুকা বিক্রির জন্য বেশ কয়েকটি পাইকারি মার্কেট রয়েছে। এসব মার্কেটে প্রায় এক হাজারেরও অধিক পাইকারি দোকান রয়েছেন। এছাড়াও ভৈরবে পাদুকা তৈরিতে কাঁচামাল, পেস্টিং, বক্স, প্রিন্টসহ নানা অনুষঙ্গ বিক্রেতাও রয়েছেন শত শত। ফলে দেশের পোষাক শিল্পের পরেই এই ভৈরব দেশ-বিদেশে পাদুকা শিল্পের রাজধানী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে গুণগত মানসম্পন্ন এবং টেকসই পাদুকা উৎপাদনের ফলে দেশে এবং বিদেশে এর চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। শুধু তাই নয়, দেশের নামী-দামী ব্যান্ড ‘বাটা, এপেক্স ও লট্টু’সহ নাম করা দেশের বিভিন্ন ব্যান্ডের পাদুকা এখানে উৎপাদন করা হচ্ছে। পাদুকা একটি সিজনাল ব্যবসা। ফলে এই পাদুকা শিল্প কারখানায় বা ফ্যাক্টরিগুলো সারাবছর কাজ কম থাকলেও রমজানের এক মাস আগ থেকে পুরোদমে ব্যস্ত সময় পার করে শ্রমিকরা। নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিনরাত এক করে কাজ করেন তারা। এছাড়াও পরিবহনে সুযোগ-সুবিধা এবং খরচ কম হওয়ায় দেশের অধিকাংশ জেলা থেকে পাইকাররা এখান থেকে পাদুকা কিনতে আসেন। কিন্তু গেল বছর সিজনের আগ মুহূর্তে করোনায় লকডাউনের কারণে ব্যাপক হারে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেবার আশা নিয়ে যখন এবার পুরোদমে পাদুকা উৎপাদন এবং বেচা-কেনা শুরু হয়, ঠিক তখনই-করোনার সংক্রামণ বেড়ে যাওয়ায় এবারও সরকার সারাদেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করছেন। ফলে দু’চোখে অন্ধকার দেখছেন ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া করোনাকালীন সময়ে সরকার বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিলেও এই পাদুকা শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা রয়েছেন বঞ্চিত।

এছাড়াও আগামী এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় অধিকাংশ কারখানা এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে আগের মতো আর ব্যস্ততা নেই পাদুকা পল্লীতে। শহরের সবকটি পাদুকার পাইকারি মার্কেটগুলোও বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে দিশেহারা ব্যবসায়ীরা। চরম দুশ্চিন্তায় আর হতাশায় ভুগছেন তারা।

অন্যদিকে গেল বছর লকডাউনের সময় বিভিন্ন ব্যাংক এবং এনজিও থেকে নেয়া ঋণের কিস্তি স্থগিত বা বন্ধ রাখলেও এবার কিস্তি বন্ধ রাখার ব্যপারে কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। ফলে চাপের মুখে ব্যবসায়ীরা।

কথা হয় শহরের বাহার মার্কেটের লেইস ফুটওয়্যার বিডি’র ম্যনেজিং ডাইরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার এরশাদ আলীর সঙ্গে, তিনি জানান, তার ফ্যাক্টরিতে প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক কাজ করছে। কিন্তু মহামারী করোনায় তারা গেল বছর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবার সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেবার আশা নিয়ে যখন ফ্যাক্টরিতে পুরোদমে কাজ করছেন, ঠিক তখনই লকডাউন ঘোষণা করছে সরকার। ফলে কিভাবে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিবেন এই নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

জিসান মার্কেটের মুন ফিউ ফুটওয়্যারের পরিচালক স্বপন মিয়া জানান, করোনার সংক্রামণ ঠেকাতে সরকারের লকডাউনের সিদ্ধান্ত আমরা মানি বা মানতে বাধ্য। কিন্তু সরকার যদি আমাদের প্রতি সুনজর না রাখে, তাহলে আমরা ব্যাপকহারে লোকসানের মুখে পড়বো। গেল বছর সিজনের আগেও লকডাউন এবারও সিজনের আগে বা বেচা-কেনার সময় লকডাউন। এই এক বছরে দু’টি লকডাউনে পাদুকা শিল্পে ধ্বস নেমেছে। ফলে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি।

এছাড়াও করোনাকালীন সময়ে সকল ঋণের কিস্তি বন্ধ রাখার পাশাপাশি এই পাদুকা শিল্পের যেকোন সংকটে পাশে দাড়াবে সরকার। এমনটাই প্রত্যাশা করেন ব্যবসায়ীরা।

এ প্রসঙ্গে ভৈরব পাদুকা কারখানা মালিক সমিতির সভাপতি আল আমিন মিয়া জানান, ১৫টি বড় ফ্যাক্টরিসহ ছোট-বড় মিলে ভৈরবে প্রায় দশ হাজার পাদুকা কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় বা ফ্যাক্টরিতে নারী-পুরুষসহ প্রায় দেড় লক্ষাধিক শ্রমিক কাজ করছে। প্রাণঘাতী করোনায় লকডাউনের কারণে হাজার হাজার কারখানা মালিক, কাঁচামাল ও উৎপাদিত পাদুকা বিক্রেতাসহ শত শত পাইকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং দেড় লক্ষাধিক শ্রমিকসহ অন্তত ৩ লক্ষাধিক মানুষের জীবন ও জীবিকা তছনছ হয়ে পড়েছে। কিন্তু এই পাদুকা শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা সরকার থেকে কোন প্রণোদনা পায়নি। তাই পাদুকা শিল্পের প্রতি সুনজর দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কারখানার মালিক সংগঠনের এই নেতা। সরকার এই শিল্পের দুর্দিনে বা সঙ্কট সময়ে তাদের পাশে দাড়াবে এবং সহযোগিতার হাত বাড়াবে বলে মনে করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা।

সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১ , ৬ বৈশাখ ১৪২৮ ৬ রমজান ১৪৪২

করোনা সংকটে এক বছরে পাদুকা শিল্পে ধস

৩ লক্ষাধিক মানুষের জীবন-জীবিকা সংকটে

সোহেল সাশ্রু, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ)

image

লকডাউনে বন্ধ পাদুকা মার্কেট -সংবাদ

মহামারী করোনায় গেল এক বছরে সিজনের সময়ে লকডাউনের কারণে দেশীয় পাদুকা শিল্পে ধস নেমে এসেছে। ফলে এই পাদুকা শিল্পের সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার কারখানা মালিক, কাঁচামাল ও উৎপাদিত পাদুকা বিক্রেতাসহ শত শত পাইকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং কারখানায় কর্মরত প্রায় দেড় লক্ষাধিক শ্রমিকসহ অন্তত ৩ লক্ষাধিক মানুষের জীবন ও জীবিকা সঙ্কটে পড়েছে। ফলে এবারও পরিবার-পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। গেল বছর সিজনের আগ মুহূর্তে লকডাউনের কারণে এই পাদুকা ব্যবসায় যে ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেবার বুক ভরা আশা নিয়ে যখন এবার পুরোদমে পাদুকা উৎপাদন এবং বেচা-কেনা শুরু হয়, ঠিক তখনই-করোনার সংক্রামণ ঠেকাতে এবারো সরকার সারাদেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করছেন। ফলে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। দু’চোখে অন্ধকার দেখছেন তারা।

জানা গেছে, প্রায় দু’যুগ ধরেই দেশের বন্দরনগরী ভৈরবে উৎপাদিত পাদুকা সারাদেশের চাহিদা মেটিয়ে বিদেশে রফতানি করা হয়েছে। ফলে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে এই পাদুকা শিল্প। ছোট-বড় সকলের পছন্দের নানা ডিজাইনের এবং নানা রঙের পাদুকা তৈরিতে এই শিল্পে নারী-পুরুষসহ প্রায় দেড় লক্ষাধিক শ্রমিকের কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এসব ফ্যাক্টরি বা কারখানায় উৎপাদিত পাদুকা বিক্রির জন্য বেশ কয়েকটি পাইকারি মার্কেট রয়েছে। এসব মার্কেটে প্রায় এক হাজারেরও অধিক পাইকারি দোকান রয়েছেন। এছাড়াও ভৈরবে পাদুকা তৈরিতে কাঁচামাল, পেস্টিং, বক্স, প্রিন্টসহ নানা অনুষঙ্গ বিক্রেতাও রয়েছেন শত শত। ফলে দেশের পোষাক শিল্পের পরেই এই ভৈরব দেশ-বিদেশে পাদুকা শিল্পের রাজধানী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে গুণগত মানসম্পন্ন এবং টেকসই পাদুকা উৎপাদনের ফলে দেশে এবং বিদেশে এর চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। শুধু তাই নয়, দেশের নামী-দামী ব্যান্ড ‘বাটা, এপেক্স ও লট্টু’সহ নাম করা দেশের বিভিন্ন ব্যান্ডের পাদুকা এখানে উৎপাদন করা হচ্ছে। পাদুকা একটি সিজনাল ব্যবসা। ফলে এই পাদুকা শিল্প কারখানায় বা ফ্যাক্টরিগুলো সারাবছর কাজ কম থাকলেও রমজানের এক মাস আগ থেকে পুরোদমে ব্যস্ত সময় পার করে শ্রমিকরা। নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিনরাত এক করে কাজ করেন তারা। এছাড়াও পরিবহনে সুযোগ-সুবিধা এবং খরচ কম হওয়ায় দেশের অধিকাংশ জেলা থেকে পাইকাররা এখান থেকে পাদুকা কিনতে আসেন। কিন্তু গেল বছর সিজনের আগ মুহূর্তে করোনায় লকডাউনের কারণে ব্যাপক হারে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেবার আশা নিয়ে যখন এবার পুরোদমে পাদুকা উৎপাদন এবং বেচা-কেনা শুরু হয়, ঠিক তখনই-করোনার সংক্রামণ বেড়ে যাওয়ায় এবারও সরকার সারাদেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করছেন। ফলে দু’চোখে অন্ধকার দেখছেন ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া করোনাকালীন সময়ে সরকার বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিলেও এই পাদুকা শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা রয়েছেন বঞ্চিত।

এছাড়াও আগামী এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় অধিকাংশ কারখানা এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে আগের মতো আর ব্যস্ততা নেই পাদুকা পল্লীতে। শহরের সবকটি পাদুকার পাইকারি মার্কেটগুলোও বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে দিশেহারা ব্যবসায়ীরা। চরম দুশ্চিন্তায় আর হতাশায় ভুগছেন তারা।

অন্যদিকে গেল বছর লকডাউনের সময় বিভিন্ন ব্যাংক এবং এনজিও থেকে নেয়া ঋণের কিস্তি স্থগিত বা বন্ধ রাখলেও এবার কিস্তি বন্ধ রাখার ব্যপারে কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার। ফলে চাপের মুখে ব্যবসায়ীরা।

কথা হয় শহরের বাহার মার্কেটের লেইস ফুটওয়্যার বিডি’র ম্যনেজিং ডাইরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার এরশাদ আলীর সঙ্গে, তিনি জানান, তার ফ্যাক্টরিতে প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক কাজ করছে। কিন্তু মহামারী করোনায় তারা গেল বছর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবার সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেবার আশা নিয়ে যখন ফ্যাক্টরিতে পুরোদমে কাজ করছেন, ঠিক তখনই লকডাউন ঘোষণা করছে সরকার। ফলে কিভাবে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিবেন এই নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

জিসান মার্কেটের মুন ফিউ ফুটওয়্যারের পরিচালক স্বপন মিয়া জানান, করোনার সংক্রামণ ঠেকাতে সরকারের লকডাউনের সিদ্ধান্ত আমরা মানি বা মানতে বাধ্য। কিন্তু সরকার যদি আমাদের প্রতি সুনজর না রাখে, তাহলে আমরা ব্যাপকহারে লোকসানের মুখে পড়বো। গেল বছর সিজনের আগেও লকডাউন এবারও সিজনের আগে বা বেচা-কেনার সময় লকডাউন। এই এক বছরে দু’টি লকডাউনে পাদুকা শিল্পে ধ্বস নেমেছে। ফলে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি।

এছাড়াও করোনাকালীন সময়ে সকল ঋণের কিস্তি বন্ধ রাখার পাশাপাশি এই পাদুকা শিল্পের যেকোন সংকটে পাশে দাড়াবে সরকার। এমনটাই প্রত্যাশা করেন ব্যবসায়ীরা।

এ প্রসঙ্গে ভৈরব পাদুকা কারখানা মালিক সমিতির সভাপতি আল আমিন মিয়া জানান, ১৫টি বড় ফ্যাক্টরিসহ ছোট-বড় মিলে ভৈরবে প্রায় দশ হাজার পাদুকা কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় বা ফ্যাক্টরিতে নারী-পুরুষসহ প্রায় দেড় লক্ষাধিক শ্রমিক কাজ করছে। প্রাণঘাতী করোনায় লকডাউনের কারণে হাজার হাজার কারখানা মালিক, কাঁচামাল ও উৎপাদিত পাদুকা বিক্রেতাসহ শত শত পাইকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং দেড় লক্ষাধিক শ্রমিকসহ অন্তত ৩ লক্ষাধিক মানুষের জীবন ও জীবিকা তছনছ হয়ে পড়েছে। কিন্তু এই পাদুকা শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা সরকার থেকে কোন প্রণোদনা পায়নি। তাই পাদুকা শিল্পের প্রতি সুনজর দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন কারখানার মালিক সংগঠনের এই নেতা। সরকার এই শিল্পের দুর্দিনে বা সঙ্কট সময়ে তাদের পাশে দাড়াবে এবং সহযোগিতার হাত বাড়াবে বলে মনে করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা।